নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু মাথার ভিতর তাগিদ অনুভব করি। কত কী দেখছি চারপাশে, কত কত অনুভব বুদ্বুদের মত জেগে ওঠে, ইচ্ছে করে রেখে দেই শব্দ মালা গেঁথে। কিন্তু শব্দগুলো ফুল হয়ে ফোটে না। কেন কে জানে?
কখনও কেউ তুমুল ভীড়ে
একলা হয়ে যায়।
উথাল পাতাল ঢেউয়ে ভাসা
একরত্তি জলের ফোঁটা -
ঢেউ মিছিলে সবার সংগে-
একলা ভেসে রয়।
গায়ের সাথে গা লেগে যায়-
তেমন করে বাঁচা
অষ্টেপৃষ্ঠে দমবন্ধ,
একরত্তি খাঁচা।
তবু...
কেমন যেন অস্থির সময়। আমরা ছুটছি । খুব যে বেশি ব্যস্ততা কাজের- ঠিক তেমনটি নয় সবসময়। তবু যেন কেমন অগোছালো। একটা অতৃপ্তি যেন থেকেই যায়। কীভাবে নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে...
সুখের জন্যে ,
একটি শান্ত নদী চেয়েছিলাম ।
এবেলা -ওবেলা জোয়ার- ভাঁটায়
চলবে ফিরবে পোষ মেনে নেওয়া স্রোত ।
আমি সে নদীতে কখনও কোন
প্লাবন প্রত্যাশা করিনি ।
সুখের জন্যে-
পাহাড় চূডায় একটি...
মিহি মায়ার চাদর জড়িয়ে কুয়াশায়
একজোড়া অলৌকিক খেজুর গাছ-
অমৃতের কলসী হাতে-
অনাদিকাল থেকে অপেক্ষমাণ ।
সবুজ সুখের ডগায়
জ্বলজ্বল চোখে-এক বিন্দু অশ্রু
অন্তর্ধানের ঠিক আগে- অপেক্ষায় আছে।
প্রায়ান্ধকারে টুপটাপ ঝরে পড়ে
অপার্থিব গাবের কুসুম,
হাস্নাহেনার ঝোপ...
বিস্তর জরুরী কাজ সারা হলে
আমরা একটি দিনের দরজায়
তালা লাগিয়ে চাবিটি ছুঁড়ে দিয়েছিলাম-
নিস্কম্প তিমিরে, প্রতিদিনের মত ।
নৈশভোজ শেষ হলে
ঠিক যেভাবে ছুঁড়ে ফেলি...
কিশোরী কুড়িয়েছিল ফুল,
রাশি- রাশি, থোকা-থোকা-
হ’তে পারে ভুল-
তবু সে মালা গেঁথেছিল।
সম্মোহিত সোনালী সাগরে
সমর্পনের অলীক জোয়ার ডাক দিলে-
উদ্ভিন্ন জ্যোৎস্না ডুবে মরে-
কিশোরীও সমূল ডুবেছিল ।
এরপর অশরীরি ক্রুর অমাবশ্যা রাতে
লুন্ঠনের বিভৎসতম...
আমায় কি সমুদ্র ডেকেছে-
উত্তাল দামামা কেন বুকে?
আমায় কি আগুন ছুঁয়েছে-
অনন্ত দহন কেন চোখে?
অলক্ষ্য কোন টানে মন কাঁদে -
তবে কি আকাশ ডেকে গেছে?
মাটি তো শক্ত করেই বাঁধে
কেউ কি শিকড় ছিঁড়ে বাঁচে?
আমার...
তুমি কোচরে বকুল এনে
গাঁথ যদি বৃক্ষের শরীরে-
অথবা পেতে দাও ঘাসের জমিনে
সুরভিত হবে না বাগান ।
কোকিলের কন্ঠ ছিঁড়ে
ভাসে যদি রক্তগংগা গান
ইথারে নিশানা খোঁজা -
বালখিল্য নিতান্ত নাদান ।
সকাল...
পায়ের নীচে এক সমুদ্র সরষে গড়াগড়ি,
একপা\' এদিক, একপা\' ওদিক- চটুল ফিঙে-
চতুর্দিকেই পথের ছড়াছড়ি।
আমি তো চাই , মৌণ পাহাড় হতে-
আমি তো চাই -অন্ধকারের চৌমাথাতে-
ঠায় বসে রই- তারার আসন পেতে...
আলোটুকু যখন তুলে দিচ্ছিলাম
তোমার বাড়িয়ে দেওয়া হাতে-
সোনার কৌটোয় কোন ব্যথা
গোপনে তুলে রেখেছিলাম কিনা
বুঝে উঠতে পারিনি ।
না ক্লান্তি, না বিষন্নতা কিংবা আশাহনন-
এসবের আর কোন মানে নেই আদতে ।
জাহাজের...
চারপাশের উচ্চকিত প্রদর্শনীর ভীড়ে
ক্লান্ত হতে হতে -
আর কোন প্রদর্শনী ভালো লাগছিলো না বলে-
স্বস্তি তখন অজ্ঞাতবাসে যেতে চেয়েছিল।
কেননা, গোলাপী কাপড়ে মোড়া উৎসবের রং
তখন বড় উৎকট মনে হচ্ছিল, সোনালী দেয়ালে
আলোর...
আমি জানি,
একটু পরেই আলোটুকু নিভে যাবে,
দিন চলে যাবে অন্যদিনের ঘরে
তবু আমি থাকি দরজার পাট খুলে,
যদি সে থমকে দাঁড়ায় মনের ভুলে !
জানি আমি ,
বেলাশেষে ফুল সৌরভ মুছে ফেলে-
পাঁপড়ির মায়া...
কখনও উত্তাল সময় এসে
আলোকবর্ষ গতির মুখোমুখি-
নিশ্চল দাঁডিয়ে বলে - চল ।
কখনও দাঁড়িয়ে থাকি পথে-
রুটের সময় আসে, অথচ-
অপাংক্তেয়,
নির্মোহ ফেলে চলে যায়।
কখনও সময়ে আবাস বলে ভ্রম হয়,
কখনও একঘেয়ে ম্লান -
আষাঢ়ের...
রাত্রি হলে আকাশ নেমে আসে
ঝুলবারান্দায় বসে আমার পাশে।
হাত বাড়িয়ে শক্ত আলিঙ্গনে
বুক পেতে নেয়- মনের কথা মনে।
মনের পাত্র শূন্য হলে পরে
ঝুলবারান্দা দূরের পথ ধরে ।
মনের কথা ছলকে পড়ে তবু
পাত্র...
তখন কেবল দৃশ্যমান ছিল চিত্রপট ।
শান্ত সূর্যোদয় পেরিয়ে ঝলসে ওঠা দুপুর ,
কানামাছি খেলা বিকেল,
পূবের দিকে ডানা মেলে
মায়াময় ঘরে ফিরে আসা সন্ধ্যা,
কখনও চাঁদ -জানালায় এসে
উঁকি-ঝুঁকি, অজ্ঞাত কথোপকথন ।
অতলান্তিকে...
©somewhere in net ltd.