নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।
১.
দুর্মূল্যের বাজারে নিঃসঙ্গতা আমার
দরকষাকষি করে কেনা সস্তা মেকাপের মত
পলেস্তারা সেটে দেয় মনের উপর।
২.
শেষ যা্ত্রীর প্রস্থানের পর
প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা রাত্রির ট্রেনের মত
নিঃসঙ্গতা জেগে ওঠে অতলান্ত আঁধারের বুকে।
৩.
হাত ছুঁয়ে রেখেছো ঠিকই
নিঃসঙ্গতা...
অনিন্দিতা, এসো একবার নতুন করে বাঁচি
একবার নতুন করে করি সুর রচনা
নতুন রাগিনী বাজুক অনুভূতির অনুরণনে।
সংক্রান্তির রাতে যে সূর্যকে জানিয়েছো বিদায়
নতুন রূপে তারই কি নয় প্রত্যাবর্তন বারেবারে ?
নিজেকে পাল্টে নিয়েছি আমি...
প্রভাতে আদিগন্ত আলোক উদ্ভাস
কিংবা গোধুলীর মায়বী পরশ
বসন্ত কিংবা বর্ষার আগমনে
প্রেয়সীর আলিঙ্গনে সুতীব্র বাসনা
আমার জন্য নয়।
নিষিদ্ধ পল্লীর ভাগাড়ে পড়ে থাকা
ত্যাগের তৃপ্তিটুকুর মত
নিঃসঙ্গতা আমার।
মানুষের কিংবা প্রকৃতির সাথে
চলতে চলতেই প্রত্যাবর্তিত আমি
নিজের কাছেই...
১.
সন্ধ্যায় হঠাৎ বর্ষণ,
চারিদিকে নর্দমার প্লাবন
রিকশার গদির উপরে পা
তবুও বর্ষা জুড়িয়ে দিচ্ছে গা।
২.
বর্ষার মত এমন কোন শিল্পী আছে কি আর
ভাস্কর্যের প্রতিটি ভাঁজই নিখুঁত, ছোঁয়ায় তার
প্রকৃতি তার তুলির ছোঁয়ায় ফিরে পায়...
ইট পাথরের দালান কোঠার
বস্তি এই শহর ঢাকায়
চলছে মানুষ যন্ত্রদানব
পিষ্ট অর্থনীতির চাকায়।
এই শহরের ঘুপচি ঘর এক
টানাপোড়নের ছোট্ট বাড়ি
আমার শিশুর ছোট্ট পায়ে
সেইটুকুই বিশাল ভারী।
আমার শিশুর নেই পরিচয়
বিশাল নীল আকাশের সাথে
আকাশটা...
মেয়েটার জন্য প্রথম লেখা কিছু কথা ডায়রির পাতা থেকে
১
দিচ্ছি তোকে সোনার বাংলা
সোনা রঙটা তুই করে নে
রঙতুলিটা সাবধানে রাখ
সোনার মানুষ নেই এখানে।
২
রক্তে আমার দ্রোহ বাজে
দ্রোহের বীজটা তুই
সেই বীজটাই বুনেছি আমি
চষে মনের...
এখন আর বারুদ ঘষে আগুন জ্বলে না
চেতনার স্ফুলিঙ্গ এখন আর ঘটায় না বিস্ফোরণ
ছাপোষা কেরানীর মত জীবনটাকে
কোনমতে টেনেটুনে বয়ে নিয়ে চলা।
বাসের দরজার ধারে বাদুরঝোলা যাত্রীর মতন
সকরুণ দৃষ্টি সামনের আসনের দিকে।
ব্যাঙের মত...
জলের বুকে বিম্বিত ছবিটার দিকে অপলক
তাকিয়ে থাকা যেন ডুবন্ত জীবনটার খোঁজে।
তারপর চোখ তুলে দেখে নেয় শান বাঁধানো ঘাট।
ওপারের কুষ্ণচূড়ার ডালে বসে থাকা কাক
তাকায় তন্বী দেহের পানে ভাবলেশহীন,
তারপর একবার দুইবার ডেকে...
হে নাগরিক চাঁদ
সুউচ্চ অট্টালিকার আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে
কী দেখ তুমি ?
সোডিয়াম আলোয় আচ্ছন্ন তামাটে শহুরে জীবন ?
কষ্টকাতর পথ চলা নাকি গতিময়তার ব্যবধান ?
অস্থির সময়ের সাথে হত-আশা বেকার জীবন ?
কী দেখছো...
১,
কী লাভ নিজেকে নিয়ে জুয়া খেলায়
জানে না জুয়রী নিজেও
শুধু জানে ঈশ্বর নামে একজন খেলোয়ার
তার প্রধান প্রতিপক্ষ এই খেলায়
তাই প্রতি বার বাজিটা রাখে
নিজের সাধ্যের অধিক উচ্চতায়
কারণ বিশ্বাস একবার যদি হারে ঈশ্বর
সুদাসলে...
১
অপেশাদার ভঙ্গিতে আমি হাতড়ে চলি
অন্ধকার অনুভূতির গহীনে
নারীর কোমল বুকে ডুব দিয়ে নিতে চাই
শেষ উত্তাপটুকু হিম হয়ে আসা দেহের পরতে।
২
শীতের রাতে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকা কুকুরে সাথে
নিজের কী ব্যবধান, তারই সন্ধান...
ইদানিং রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়
পান মুখে কেউ যদি পায়ের উপর ছুড়ে দেয় পিক
কিংবা ভদ্রলোকদের থুক করে ছুড়ে ফেলা কফ
আমার পায়ের কিংবা প্যান্টের আকর্ষনে ছুটে আসে
আমি একবার তাকাই তাদের নির্বিকার...
মাথার ভিতরে যখন যন্ত্রণার ঘুনপোকারা
অনবরত খুটখুট শব্দ করে চলে
তখন তোমার বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে
সন্ধ্যার আবছায়ায় দেখি
বেতের ইজি চেয়ারটা বারন্দায় দুলছে ধীরে ধীরে,
মোটা কালো ফ্রেমের চশমার ভেতর দিয়ে
তুমি তাকিয়ে আছো আমার দিকে,
তোমার...
প্রস্থানের ঠিক আগে
তুমি একবার যদি বলো
"এভাবে চলে যাবার খুব কি ছিল প্রয়োজন"।
উত্তর শোনার অপেক্ষায়
তুমি হয়তো অধীর বড্ড বেশী।
কিন্তু আমারও কি নেই অধীরতা।
শুধু দুজনের মাঝে ব্যবধান প্রাণের স্পন্দন।
তুমি তো রাখো নি ধরে
আমি না হয় ধরেই রেখেছি
তুমি তো চাও নি হতে কবি
আমি না হয় কবিই হয়েছি
©somewhere in net ltd.