নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।
সকাল বেলা না খেয়ে অপেক্ষা
তুমি এলে না
দুপুর বেলাও একই, শুধুই অপেক্ষা
রাত্রি বেলা তোমার সাথে
শেষ কফিটা শেষ করে
মাতবো রাত্রি উদযাপনে
তবুও তুমি এলে না
তোমার জন্য আমার অপেক্ষা
আর
আমার জন্য তোমারও অপেক্ষা
মা,
তোমার জন্য শুধুমাত্র একটি দিন তুলে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না। আশৈশব লালিত আমার একটি উচারিত শব্দে আত্মার অনুরণন অনুভব করি। আর আত্মা ছাড়া এই দেহটার কি কোন মূল্য দেয়া...
বুকের মধ্যে বুনেছি স্বপ্নের বীজ
চেতনা আর অনুভূতির লালনে
অঙ্কুরিত স্বপ্নেরা হয় না মহীরূহ
তবুও স্বপ্নের বীজ বপন ও লালন
এরই মাঝে ক্ষয়িষ্ণু স্বপ্নের জীবনী
তবুও স্বপ্নকে আকড়ে বুকের ভেতর
দিতে চাই সঞ্জীবনী সুধার প্লাবন
যদিও স্বপ্ন...
চমৎকার এক কাণ্ড করিলেন শিয়াল মাস্টার
পাঠশালার পাঠ চুকিয়ে কুমিরের ছানার
খুলিলেন রাজনীতি আকাদেমি একখান
শুরু হলো শিক্ষণ রাত আর দিন
রাজনীতি শেখা শুরু শিয়াল ছানার
বানর ছানাগুলো লেজে ঝুলে থেকে
হাততালি দেয় আর চর্চাটা দেখে
শিয়াল...
এখন আর জ্যোৎস্নায় স্নাত হওয়া কিংবা
মধ্যরাতে স্পর্শের জন্য অধীর অপেক্ষা নেই
মাথায় বুলিয়ে দেয়া হাত দুটো অপসৃয়মান
হৃদয় থেকেও প্রস্থান আবেগি অনুভূতিগুলোর
তবে কি গন্তব্য সন্নিকটে অতি ?
জুয়ার টেবিলে বসা এক যুবক জুয়ারী
সন্তর্পণে হাতের তাসগুলো দেখে
প্রতিবার তাস স্পর্শের আগেই বলে
চোখ বুজে ঈশ্বর এবার সহায় হোন
অন্য জুয়ারীদের মুখের কোণে হাসি
এবারও বুঝি সব খোয়াতে যাচ্ছে সে
যুবক জুয়ারীকে নয় উপহাস...
তোমার শেষ কবিতাটা কবে লিখছো আমাকে নিয়ে ?
হয়তো আজ এক্ষুনি কিংবা শত সহশ্রাব্দ পরে।
কি থাকবে সেখানে, আমাদের ভালবাসার কথা ?
কখনোই নয়।
কি করে পরিচিত মানুষ আবার অপরিচিত হয়ে উঠতে পারে
কি করে...
ইদানিং আমি বড্ড ক্ষেপাটে
যখন তখন জ্বলে উঠি
পুড়িয়ে ছাই করে দিতে চাই সব
সিগারেট শলাকা তার প্রথম শিকার।
ইদানিং আমি বড্ড ক্ষেপাটে
যখন তখন হয়ে উঠি ঝড়
সবকিছু করে দিতে চাই তছনছ
স্বলালিত স্বপ্নেরা তার প্রথম...
রাতের অন্ধকারে গলির কোন এক গুপচি ঘরে
যে মেয়েটা পেটের দায়ে পুরুষ পুরুষান্তরে
ঘুরতে থাকে, বিলোতে থাকে শরীর
সেটা তার পেশা, ভাল মন্দের বাদ বিচার
জন জনান্তরে ভিন্ন ভিন্ন চেহারায় আসতে পারে
কিন্তু তাকেও ভালবাসা...
আমি তোমার কাছ থেকে দূরে যেতে চাই
স্বপ্নাবিষ্টের মত তবুও ফিরে ফিরে আসি
সুদূরের হাতছানিতে মুগ্ধতার শূরায় মত্ত
অবশ শরীর তবু তোমার কাছেই ফিরে আসে
মাথার ভেতর তীব্র যন্ত্রণা যখন
ঘুনপোকার মত শব্দ করে চলে...
ইচ্ছের ডানা দু\'টো বন্ধ করে দিয়ে
মধ্যাকর্ষ ত্বরণের টানে নিম্নমুখী হতে থাকি
তবুও ইচ্ছারা স্বপ্নের ঘুড়ির মত ঘুরপাক খেতে খেতে
ডানা মেলে হতে চায় শঙ্খচিল
আমিও দেখতে চাই শেষ পর্যন্ত কে হয় জয়ী
দেখতে চাই...
অনিন্দিতা, তোমার জন্য হয় না লেখা
অস্তরাগের আবির রাঙা সেই কবিতা
তোমার জন্য ভালবাসার কবিতাখানি
রাজহাঁসের পালকগুলো কলম করে
হয় না লেখা সাঝেঁর বেলা মেঘ সরিয়ে
অস্তরাগের আবির রাঙা সেই কবিতা ।।
অনিন্দিতা, তোমার জন্য অপেক্ষাটা
হয়ে...
পুঁজিবাদের কঙ্কালের উপর গড়ে তোলা গণতন্ত্রের
পোস্টমর্টেম করার ইচ্ছা বহুদিনের
ফুলে ফেপে থাকা মাংসপিণ্ড ভেদ করে
দেখতে চাই সত্যিকারের গণমানুষের কথা
আছে কিনা কোন অস্থির গায়ে
পুঁজিবাদের কঙ্কালের ভেতর গণমানুষের
বিক্ষোভ, রক্ত, স্বেদ কালচে মজ্জা হয়ে...
১
তোর জন্যই এই দিনটা বঙিন করে সাজে
তোর জন্যই এই দিনটায় আনন্দ রাগ বাজে
তোর জন্যই এই দিনটার প্রতিবছর আসা
তোর জন্যই এই দিনটা নিয়ে প্রত্যহ প্রত্যাশা
তোর জন্যই এই দিনটায় ফুলদানীতে ফুল
তোর জন্যই...
প্রায়ই রাজা বনে যাই স্বপ্ন রাজ্যে
টানা পোড়নের খড়কুটোগুলো
মুহূর্তেই করে ফেলি দূর
তরল তারিত মস্তিস্কের অধিকার
আমার চেতনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে
বাকিটা অবচেতনের সুর
মৃদু আলো ডিমলাইট হয়ে যায়
রাত জাগা সহযাত্রী শুকতারা
চেতনা রাজ্যের অভিযানে
চেতনা বিলুপ্ত...
©somewhere in net ltd.