নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে ও মননে রবীন্দ্রনাথ ও লালনকে ধারন করেছি তাই মানুষেই পরম ভক্তি।
রাজকন্যা, কিসের বলো দুঃখ তোমার ?
বিশাল দালান, সুদৃশ্য শয়ন কক্ষ
পাচক দাসীর পরম সেবা
তবুও কেন দুঃখ তোমার ?
বাবা মা আর তাদের ব্যস্ত সময়
তোমার জন্য নাইবা দিল একটুখানি
সময়টুকুর মূল্য তাদের অনেক...
আমার জন্য তীব্র খরা তোমার বুকে জল
মাঠ ফেটে খাঁক, তবুও ধারা বইছে কলকল
মাঠের বুকেই বইল নদী, স্পর্শ না পায় সে
ফাটা বুকটায় শুধুই কাতর আর্তি শুনছে
যন্ত্রণাটুকু বইল নিরবে নদীকে আড়াল করে
নদী...
তোমায় নিয়ে হয় না লেখা
জ্যোৎস্না ভেজা মুগ্ধ রাতের কাব্য কথা
শরৎ মেঘে মন ভাসানো ছন্দ গাঁথা
তোমায় নিয়ে হয় না গড়া
স্বপ্ন নিয়ে শূন্য বাসর কৃষ্ণকুঞ্জ
গোপিনীপূর্ণ লোকালয়ের অন্তরালে
কিন্তু জেনো
তোমাকে নিয়ে মুখরতায়...
একদিন পাহাড়ের সাথে আত্মীয়তা করতে গিয়ে
মেঘগুলো সব পড়ল ঝরে বৃষ্টি হয়ে
ভিজল পাহাড়, ভিজল না তার বুকের ভেতর
মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে আকাশ হতে
মেঘগুলো সব খেলা করুক
আবির মাখা মেঘগুলো সব
কখনো সাজুক গোলাপ বাগান
কিংবা কোন বকনা বাছুর
ওদের সাথেই খেলা করে
কিশোর সময় কাটিয়ে দেবো
বার্ধ্যক্য তাড়িত দেহে
কিশোর মেঘের সঙ্গী হবো।
এক সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজবো বলে
বুকের মধ্যে ধারন করেছি চৈত্রের দহন
একই চেতনায় একই স্লোগানের কোরাস
তোমাতে আমাতে পেয়েছিল পূর্ণতার সুর
তোমার সাথে তেমনি করে আর হয় না সুর মেলানো
এখন আমি ভিন্ন জগত আকড়ে...
আমি কিংবা ঈশ্বর স্থান বদলের অপেক্ষায়
নির্বিকার দ্রষ্টা হয়ে সদা নিমগ্নতায়
ঘটনার পরম্পরা কিংবা রেশ
স্পর্শকাতরতায় ভোগায় না আমাদের
অপমান কিংবা ঘৃণাবোধ
প্রশংসা কিংবা তাচ্ছিল্য
কাতর করে তোলে না আমাদের
আমরা বিবাগী বসন্তের মত নির্বিকার
ফুলের ঝরে...
নিজের অস্তিত্ব জুড়ে এখন শুধু ঘূনপোকাদের খুটখুট শব্দ শুনতে পাচ্ছি
তবে কি ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু সময়ের দিকে ধাবমান আমি
কতটা সময় আর অপেক্ষার আছে বাকি
মহাকালের গহ্বরে হারিয়ে যাবার ?
আশ্রয় ও আশ্রয়হীনতার দোটানায় ভোগা
উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে
কীভাবে তোমার হাত ধরে বলব
আমার আকাশটাকে তোমার বসতি করে দেবো।
শূন্যে ভাসমান শূন্য ত্বরণের মানুষের
কখনো কি মানায় কারো ভর বয়ে বেড়ানো
কিংবা...
৩.
চোখ বুজে তুই দেখিস আকাশ নিত্য সকাল বেলা
তোর দুটি হাত করিস শুধু আমার কণ্ঠে মালা
ভালবাসাবাসি মোদের এমনি করেই চলে
মনের যত শক্তি দিয়ে ভালবাসি বলে
৪.
ঘুম আসে না যখনি তোর, বাচালতায়...
কী লোভ দেখাইলি রাধিকায় গো
রসিক কালা
কী লোভ দেখাইলি রাধিকায়
আইহনে বাইন্ধাছে গেহ
অপূর্ণাঙ্গ দেহ
রস আস্বাদিতে না পায় গো
রাধিকায়
কী লোভ দেখাইলি রাধিকায়
গো রসিক কালা
উদ্ভিন্ন যৌবানা রাধা
কুলবধুর শেকল বাধা
যমুনাতে তাপতনু জুড়ায় গো
রসিক...
অপেক্ষা কিংবা প্রতীক্ষার প্রহরগুলো
টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচের রিপ্লে দেখার মতই
যাচ্ছে চলছে কিন্তু ফুরোচ্ছে না
অপেক্ষা কিংবা প্রতীক্ষার প্রহরগুলো
ব্যস্ত সময়ে ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকার মতই
কেবল হাসফাঁস কিন্তু মুক্তির উপায় নিরুদ্ধ
স্বপ্নভুক অস্থির সময়
ঘুনপোকার মত কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
আমাদের যুথবদ্ধ স্বপ্নগুলো
যাপিত জীবন এখানে
বিষন্নতার নামাবলী গায়
বয়স্য ব্রাহ্মণের মতো
তাকায় তীক্ষ্ণ চোখে
প্রেমিকার মুখগুলো মনে হয়
সার্কাসের রঙমাখা পুতুল
ভালবাসা ময়লা নোটের মতই
খুব মুমূর্ষু এখন হাতের...
আজ অনেকটা ছোটা হলো
এই পথ ধরে ছুটতে ছুটতে যখন ক্লন্তি এসে ভর করল
বসলাম এক ল্যাম্পপোস্টের নিচে
আমরা দুজন মুখোমুখি
আমার চোখের দিকে চেয়ে আছো তুমি
আমি তাকাই না চোখে
তোমার চোখে খেলেছিলো কি...
ধু ধু প্রান্তরে সবুজ ঘাসের বুকে পা ফেলে হাঁটা
কিংবা মেঘেদের সাথে রোদ্দুর সেজে খেলা করা
হয়ে ওঠে না আমার
ফড়িঙের মত চপল ভঙ্গীতে বাতাসে ডানা মেলা
ঘাসফুলের সাথে খুনসুটি করে করে ক্লান্ত হওয়া
হয়ে...
©somewhere in net ltd.