নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইগার নদীর জল,দিয়েছিল
তোমায় প্রশ্রয়;তাই যখন তখন
তুমি ডুবে যেতে বাইগারের জলে।
আপন মনে কী ভাবতে, আকাশের পানে চেয়ে?
দোয়েলের শিস অথবা বর্ষার মেঠো
কাদা,সারা অঙ্গে;বাংলা মাতার সকল স্নেহ
তুমি কী একেলা পেতে?
মাতার স্নেহ,সবুজের মায়া,তোমায়
শিখিয়েছিল উদার...
এই মাটির নরম অস্থি থেকে
তৈরী হয়েছো তুমি।তাই তোমার
শরীরে বাংলা মায়ের ঘ্রাণ।
এই জল-জঙ্গলে বেড়ে উঠেছো
বাংলার দামাল ছেলে তুমি।
মা অন্ত প্রাণ।মায়ের দুঃখে
কাঁদে তোমার প্রাণ।তাই যৌবন
বিলিয়ে দিলে শাসকের কারাগারে।
শাসকের লাল চোখ-কে ডরায়?
মায়ের খোকা-...
হায়,কাল কেউটে কী হামাগুড়ি দেয়
না কী দু\'পায়ে দৌড়ায়-
তবে ঘরের ভেতর বাসা বেঁধেছিল।
কাল কেউটের দল
সযত্নে লালিত পালিত হচ্ছিল
সবার অলক্ষ্যে?
বুকটা তার বিশাল ছিল
কত বড়-
ছত্রিশ,না বিয়াল্লিশ?
এতো ছোট?
না তার বুকটা ছিল
আকাশের মতই বিশাল
তাইতো ছোট্ট...
গাঁয়েরও স্বর আছে
শুনতে কী চাও?
তবে ভরা হাটে একবার তুমি যাও।
গাঁয়েরও রঙ আছে
দেখতে কী চাও?
তবে ভরা ফসলের মাঠে
একবার যাও।
গাঁয়েরও ঘ্রাণ আছে
পেতে চাও
শিশির ভেজা পায়ে
শিউলি তলায় যাও।
গাঁয়েরও মায়া আছে
ওই সাঁঝের মতন
যার টানে...
রতন খুব বিরক্ত হয়।বিরক্ত না হবার কোন কারণ নেই।
রোজ রোজ একই ঘটনা।দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামা পড়া
শুরু করলে চন্দন দৌড়ে আসবে ।বাপের সাথে সেও দোকান
যাবে।আর না নিতে চাইলেই প্রথমে খুন খুন...
দুটি যন্ত্রের দানবীয় সংঘর্ষে
অনেক স্বপ্নের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটে।
শোকের বাড়ির কান্না
সে তো পরিবর্তনহীন
বেদনায় নীল।
ধোঁয়াটে কুয়াশার ন্যায় সড়ক দুর্ঘটনা
হারিয়ে যায় স্মৃতির পাতা হতে।
শোক সে তো জীবিতদের তাড়িয়ে মারে।
(এক)
হায় প্রজাপতি সময়
কেন পৃথিবীতে এতো ভাললাগা?
ওহে দরদী হাওয়া
কেন বয়ে নাও ভালবাসা?
ওই প্রেয়সির ভ্রমরকালো আঁখি
কেন যে তোর প্রেমে পড়ি?
(দুই)
কেন এতো অভিমান
বারে বারে অকারণ
কেন দাও আঘাত,আমায়
ভেঙ্গে যায় এ হৃদয়
হায়,ওই হাসিময় মুখে
কী যে...
দেহের শোণিত ধারায় রোদের
আলো চমকায়
হতভম্ব প্রকৃতি আর সময় স্থির হয়ে রয়।
সাধারণ মানুষ যারা ছিল দাঁড়িয়ে
অথবা চলমান ওই রাস্তায়
তারা পরিণত হয় এক একটি প্রস্তর খন্ডে।
তিনজন-যুবক,যুবক?হায়েনা নয়? অথবা
শার্দুল কিম্বা নেকড়ে?
তারা হিংস্র,তবে ধীর,স্থির
অত্যন্ত...
(এক)
তুমি উড়ো
তাই প্রজাপতি উড়ে
তুমি হাসো
তাই রোদ হেসে উঠে
তুমি ভালবাস
তাই পৃথিবী ভালবাসাময়।
(দুই)
তুমি দুঃখ পেলে
আকাশ জুড়ে মেঘ জমে
তোমার চোখে জল
তাই অঝোরে বৃষ্টি নামে
তোমার বুক ভরা অভিমান
তাই ফুল,পাখি ম্রিয়মাণ।
(এক)
নারীর শ্বেতশুভ্র সুডৌল স্তন
পুরুষের বাসনায়
আগুন জ্বালায়
প্রাণের ঝর্ণাধারায়
সঞ্জিবনী সুধায়
টইটুম্বর নারীর স্তন।
(দুই)
ভেজা অঙ্গে,উত্থিত স্তনে
কি বা মায়া
কি বা যাদু হায়
ভালবাসার মায়ায়
চোখের তারায়
হায় কামনার আগুন জ্বলে।
১০/০৭/২০১৫
আকাশ বেশ গম্ভীর আর উদাসীও
বটে।শেষ বিকেল মায়াবী চোখে চেয়ে
রয় প্রকৃতির ভেজা অঙ্গে-ভেজা মাটি,
ভেজা বৃক্ষরাজি-লাজুক, সবুজ অঙ্গে।
পাখ-পাখালির কলকাকলিতে পূর্ণ
ভেজা কোমলপ্রকৃতি। নিস্তবদ্ধতার
বুকে ভেসে উঠে- বউ কথা কও,বউ
কথা কও।বাঁশের বনে অজানা শব্দ-
দীর্ঘশ্বাস?- কার?...
হায় প্রেম! হায় ভালোবাসা! কেন তুমি
এমন চঞ্চলা?কেন তুমি বারে বারে
হও বাঁধন হারা?হতাশ হাওয়ায়
উড়িয়ে ঘুড়ি,লাটাইখানি কেন ফেলি
হেলায় ফেলায় দিন কাটাও? চঞ্চলা,
ওগো চঞ্চলা;এ তোমার কেমন খেলা!
হৃদয়খানি ভাঙ্গলো যার, বুঝবে কী
তার ব্যাথা।
ভাঙ্গলো যাদের...
সবকিছুই আগের মত।এই রাস্তা,
বাড়ি,ঘর।আর নুনে ধরা জমিদার
বাড়ি।তাও আছে।তবে খসে পড়া ইট,
সুরকী,আরও বিশ্রীভাবে চেয়ে আছে
রাস্তার দিকে।ভাবছে কী অতীত নিয়ে?
পুরানো আতা গাছটি আর নেই।যার
ফলে লুকিয়ে আছে শৈশব।যার নীচে
দাঁড়িয়ে থাকতো এক লাজুক কিশোর।
এক...
আর তার চোখে নেই কোন স্বপ্ন
জীবন যেন এক দুঃস্বপ্ন।
বর্ষায় বেলী ফুলের ঘ্রাণ
আজ অনাঘ্রাত।
মাংস পিন্ডের উত্থিত দন্ড
একে একে অহংকার ব্যক্ত করে
এবং চরিতার্থ করে তাদের লালসা।
একবার
দুইবার
শরীর ভার বহন করে যতক্ষণ
ততক্ষণ।
গল্পগুলো একই রকম...
আমার ভাগ্যরেখা পাল্টে যায়,তোমার কোমল ছোঁয়ায়।
ভালবাসা-নদীর স্রোতের মত
শুধুমাত্র তীরের মানচিত্র পাল্টায়,
আর,পাল্টায় মধুর ঠোঁট।
যদি কোনদিন,থেমে যায় আমার হৃৎস্পন্দন
কিম্বা তোমার হৃৎস্পন্দন
তবে,ভালবাসা নিঃশেষিত হবে
এই পৃথিবীর বুকে।
যদি আমার দেহান্তর হয়,তোমার আগে,
আমার আঁখি পল্লবে রেখো
আমের...
©somewhere in net ltd.