নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেহের শোণিত ধারায় রোদের
আলো চমকায়
হতভম্ব প্রকৃতি আর সময় স্থির হয়ে রয়।
সাধারণ মানুষ যারা ছিল দাঁড়িয়ে
অথবা চলমান ওই রাস্তায়
তারা পরিণত হয় এক একটি প্রস্তর খন্ডে।
তিনজন-যুবক,যুবক?হায়েনা নয়? অথবা
শার্দুল কিম্বা নেকড়ে?
তারা হিংস্র,তবে ধীর,স্থির
অত্যন্ত নিপুনভাবে কুপিয়ে চলেছে
এক যুবকের মাথায়।-মাথায়!
রঞ্জিত চাপাতির অট্টহাসিতে
স্থবির হয়ে যায় পৃথিবী।
রঞ্জিত হয় রাজপথ,রঞ্জিত হয়
বাংলাদেশ
এই দেশ।
তারপর-
স্তব্ধসময় নিজেকে ফিরে পায়
ফিরে পায় চায়ের টেবিলে
ফিরে পায় পত্রিকার পাতায় পাতায়
ফিরে আসে মুখপঞ্জির দেয়ালে।
ওই যে ফসলের মাঠ যেথায় ফিঙ্গে
বসে আছে উদাস নয়ন মেলে
সেথায় এক শালিক আসে
আর বলে-ভাই ফিঙ্গে
তুমি জানো মুক্তমনা কী?
উদাস ফিঙ্গে চায়,বিরস কন্ঠে বলে-
হয়তো যারা অন্যের বিশ্বাসে আঘাত করে
অত্যন্ত কর্কশভাবে,তারা।
শালিক কি যেন ভাবে,তারপর বলে-
যারা উগ্রপন্থি তারাও কী মুক্তমনা?
ধানের ক্ষেতে বাতাস দোল দিয়ে যায়
প্রকৃতির মাঝে অজানা আনন্দধারা বয়
কেউ শালিকের প্রশ্নের উত্তর
দেবার প্রয়োজন বোধ করেনা।
হায় সত্য আর গুজব যেন যমজ ভাই
তাই উড়াল দেয় নীল আকাশে
একসাথে।
একটি খুনের ঘটনায়
ঝড় উঠে নিস্তরঙ্গ জনমনে
তারপর?-নীরব,স্থবির।
ভোরের আলোয়
একটি রাত বিদায় নেয়,
টুংটাং শব্দে চলে সাইকেল, হকারের
সাইকেল চলেছে রাস্তায়।
চায়ের টেবিলে বিছানো পত্রিকার পাতায়
বড় বড় ওই অক্ষর জানিয়ে দেয়
খুনিরা ধরা পড়েছে-
তিন খুনির একজন পলাতক।
-দু'জনের একজন মাদ্রাসার ছাত্র
আর অন্যজন পান বিক্রয় করে।
রঙ্গমঞ্চে পর্দা উত্তোলিত হয়
যারা অভিনেতা,অভিনয় করে যায়,
নির্দেশক-যিনি নাকি থাকেন
পর্দার আড়ালে, তার নির্দেশে।
মতবাদের সাথে মতবাদের যুদ্ধে
সম্মুখ সারিতে
দাঁড়িয়ে যায় একটি চাপাতি
আর একটি মস্তক
ঘাতক সময় অপেক্ষায় রয়।
১৪/০৭/২০১৫
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৩
সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ শহীদুল ভাই।
আপনার ওই ছবি অনেক আগের?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ