নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক পশলা বিশুদ্ধ আনন্দ পেলে লক্ষ জনম এমনিতেই পাড়ি দিতে পারি।এই আনন্দ খোঁজাতেই আমার আনন্দ
বড্ড ভুল সময়ে পৃথিবীতে এসেছি
ইট- পাথর, সিমেন্টের মারপ্যাচে গড়া হতাশার বিশাল গর্তে পড়ে রয়েছি,
সব কিছুর ভীড়ে ভুলে গেছি সেই অমোঘ সত্য;
মানুষ মূলত একা,ভুলবশত একা।
নিজের স্বার্থ পায়ে ঠেলে, ভালোবাসার জন্য...
যারা সরলতা ও বিশুদ্ধতার খোঁজে দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানায়
ওরা তো আমাদের ই ছেলে,
যারা হাজার রকমের পতনের পরও মানুষের কাছেই আশ্রয় খুঁজে, মানুষকেই ভরসা করে,
ওরা তো আমাদের ই...
আমি সেদিনও কিছু বলতে পারি নি
সুস্বাদু পোলাও-কোর্মার সাজানো লোকমার অন্তরালে আমাকে কত সহজে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে তবুও কিছু বলতে পারি নি,
কত বার
বিবমিষা,বিরক্তি, বিষন্নতা আমাকে খুবলে খুবলে খেয়েছে,
কতবার
অমানুষের নখর...
একটি মহাকাব্য লিখবো,
কাব্যটি লিখবো না বলার ঢংগে ক্ষোভ আর ঘৃণার নীরবতা মিশিয়ে
সময়ের অনিরুদ্ধ ক্যালিগ্রাফে লিখে যাবো;
শেকড়হীন মানুষের স্পর্ধার কথা,
ক্ষমতাহীন মানুষের মহীরুহ প্রতিশোধের কথা,
তেলতেলে সুবিধাবাদের নির্দয় পরাজয়ের কথা
আমার...
পদ্য নয় পদ্মাবতীকে এখন পেতে হলে প্রতিবাদে প্রখর হতে হবে
এখন চোখে রোদ্র নিয়ে ঘুমানোর সময় না,
এই দোআঁশলা জীবনকে শুধু উৎযাপন করাই এখন যথেষ্ট নয়,
ব্ল্যাক আউট এই আধারকালে
সাদা ক্যাডিলাক...
খুব ইচ্ছে করে চট চট করে
কিছু একট নিয়ে ফেঁদে ফেলি লম্বা লম্বা উপন্যাস
বইয়ের কোনায় ঘাপটি মেরে থাকা শুকনো ফুলে জীবন ছড়িয়ে দেই,
ইচ্ছের পালে পাখা লাগিয়ে উড়ে বেড়াই আদিগন্ত আকাশ,
ইচ্ছে...
আমি সব সয়ে নিচ্ছি;
যেমন গাছ সয়ে নেয়
স্রোতের বিপরীতে বৈঠা ঠেলতে ঠেলতে চামড়াগুলো খসখস করছে,
মৌনতার নীরব শ্মশানে দারুন পুড়ছি!
ক্লান্তির শেকলে আচ্ছামত ফেসে গেছি,
দু চোখ বন্ধ করে আমি সব মেনে নিয়েছি,
অবশ্য...
একদা আমি ভয়ানক দূর্বার ছিলাম
আমার শরীর ছিল তরুন পাতায় ভরা
একান্ত চৌহদ্দির মাঠ ফুড়ে বেরিয়ে আসতো তাজা তাজা দু:সাহস,
কবিতা ছিলো আমার করোটির মুল শক্তি
বিরামহীন চঞ্চলতা নিয়ে আমার কবিতারা হেঁটে...
আমরা মালিন্য দূর করে সৃজন করি সৌন্দর্যের
পতপতে পতাকা
সাহিত্যের খাত থেকে আমরা পলি সরিয়ে দ্যূতিময় নবীন জলধারা জাগিয়ে তুলি,
আমরাই নিঃশ্বাসের ছাউনি পেরিয়ে দীর্ঘশ্বাসের উদার আকাশে উন্মোচিত হই
আত্মগ্লানির অনল থেকে বেরিয়ে...
আর ছুটতে চাই না ভুল গন্তব্যে,
মিছে ঠিকানায়
বেখেয়ালিপনা আর কানাকড়ির দামে
মোটেও বিকোতে চাই না,
অহমের মাথা খেয়ে \'প্রতিষ্ঠা\' নামক মরা কোকিলের পিছনে আর নয় ছোটাছুটি।
যথেষ্ঠ হয়েছে;
ঠিকাদারী মানসিকতার এই শুয়োরপালে আর নয়...
রক্ত-মাংস নয় আমরা জলরং তেলরং খড়িমাটি দিয়ে একজন পেশিবহুল কৃষক নির্মান করতে চাই,
যে কৃষক মৃত্যুর কল্লোল থামিয়ে তেপান্তরের মাঠে নিয়ে আসবে গভীর আত্মপ্রত্যয়,
যে কৃষক প্রথা ও নিয়মের বেড়াজাল ডিংগিয়ে দিতে...
হাত হাতে রেখে একটুখানি থাকো
চোখে চোখ রেখে একটুখানি বসো
একটুখানি সাহস দাও দেখবে এই
মরা চোখে সহসাই জাগবে জাদুর ঝিলিক!
একবার, শুধু একটুখানি আশকারা দিয়ে দ্যাখো,
দেখবে আমার এই ছেঁড়া ঝুলি থেকে...
আলোকিত উজ্জল সরণিতে তাদের সচরাচর হাঁটা হয় না
তারা ভালোবাসার মিনার একবার ছেঁচে ছেনে দাঁড় করায় তো আরেকবার ভেংগেচুড়ে হয় খানখান;
তাদের যাপিত জীবনে
রসগোল্লা রচে না উল্টো জোটে
বসন্তের গরম...
আবার কবে আসবে মখমলে জড়ানো
সেই নিভৃত সন্ধ্যা?
কবে থেকে যে পাহাড়ি ঝর্ণার মৃদুমন্দগান শোনা হয় না
সেই কবেই অন্ধকারের চোরা গর্তে হারিয়ে গেছে আমার সশস্ত্র সুন্দরেরা।
শেষ কবে কাঁঠালি চাপার নীড়ে
লাল...
আজ আমার কবিতারা কথা কইছে
তবে কী জোয়ার এলো সমুদ্রে?
বিষণ্ণ আকাশও আজ মেতে উঠেছে প্রিয় শশীগল্পে
তবে কী অস্বস্তির খটখটে রৌদ্রের মাঝে এক পশলা বৃষ্টির শীতল অনুভূতি সৃষ্টি...
©somewhere in net ltd.