এপ্রিলের শুরুতে মাহিবাধুতে প্রচন্ড গরম পড়ে। দিনের বেলা রৌদ্রে বের হলে সূর্যের প্রচন্ড তাপে খবর হয়ে যায় :-< ।
সন্ধ্যার পরে অবশ্য খানিকটা ঠান্ডা হয়।
বছরের এ সময়টাতে জামরুল গাছগুলো ফুলে ফলে ভরে যায়।
এমনকি গাছের তলায় রাস্তা জুড়েও জামরুল পড়ে থাকে।
লাল রঙের জামরুল দেখতে যতই আকর্যণীয় হোক, সাদাগুলোই বেশী মজা। এগুলো সাইজে যেমন বড়, স্বাদও রসালো, মিষ্টি ।
মে মাসে এখানে বর্ষাকাল শুরু হয়।
সকাল বিকাল যে কোন সময়েই আকাশ ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। সাগরও থাকে প্রচন্ড উত্তাল।
আর হঠাৎ বৃষ্টি নেমে আমাদের কাজের বারোটা বাজিয়ে দেয় ।
কাজের ব্যাস্ততায় কোথাও বেড়াতে যাওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়না। ছুটির দিন গুলোতে সাগর পাড়ে হাটা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা, যদিও ৯০০মি. দৈর্ঘ্য আর মাত্র ২৫০মি. প্রস্থের ছোট্ট এই দ্বীপের মাঝখানে দাড়ালেও চারপাশে সাগর দেখা যায়।
এক শুক্রবারে স্হানীয় এক বন্ধুর আমন্ত্রণে স্পীডবোটে বেড়াতে যাবার সুযোগ হয়। ভদ্রলোক তার পরিচিত একজনকে পাশের আইল্যান্ড থেকে আনতে যাবেন। স্পীডবোটে আমাদের সাথে ৩-৪টা বাচ্চা কাচ্চা সহ একটা পরিবারও উঠলো। এদেরকে মাঝপথে মালেগামী এয়ার-ট্যাক্সীতে উঠিয়ে দিতে হবে। রিসর্ট আইল্যান্ডের সামনে গিয়ে (ছবিতে রিসর্ট আইল্যান্ড) আমরা এয়ার-ট্যাক্সীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। বিদেশী পর্যটক অথবা হানিমুন কাপলদেরকে মালে থেকে রিসর্টে আনা নেওয়ার জন্য সাধারণত এই এয়ার-ট্যাক্সী ব্যাভৃত হয়।
অবশেষে এয়ার-ট্যাক্সী এলে রিসর্ট থেকেও গেস্টদেরকে নিয়ে একটি বোট এসে ভাসমান জেটীর সাথে যুক্ত হলো। আমাদের ছোট্ট স্পীডবোটও জেটীর একপাশে ভিড়িয়ে মালেগামী যাত্রীদেরকে নামিয়ে দিলাম। এরপর আমাদের মূল গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
মহিলা আর শিশু যাত্রী আর ছিলনা বলে দিয়ে চালক প্রচন্ড গতিতে স্পীডবোট চালালো। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সেই আইল্যান্ডের কাছে পৌছে গেলাম।
বর্ষাকালে সাগর সবসময়ই উত্তাল। জেটীর কাছে এসেও ঢেউয়ে বোট দুলছিল ।
আইল্যান্ডের নাম ধানগীতি
ধানগীতির জেটী
ধানগীতির রাস্তাঘাটও মাহিবাধুর মতই। খুব তাড়াতাড়ি কাজ সেরে আবার মাহিবাধুর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
সবশেষে আমাদের স্পীডবোট, যেটাতে করে সেদিন ঝটিকা সফর দিলাম ।