এক গর্দভ ইউটিউবার ৭১কে ২৪এর থেকে বড় বলতে গিয়ে আমাদের শিখায় যে ৭১ বড় কারণ সেটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়ে ছিল। আর আপামর জনসাধারণ সেটায় অংশগ্রহণ করেনি। এই হলো যুক্তি আর সেটাতে আপামর জনসাধরণ বাহবা দিলো। মনে হচ্ছে ফেসবুক চালানোটাই এখন অনুচিত। এত এত বাল বুদ্ধিজীবি ওখানে বিচরণ করেন যে আর থাকাই উচিত না। বালের একটা সুবিধা হলো ওর কোন শ্যাম্পু, যত্নাদি কিছুই লাগেনা। ও যত পাকে ততই ল্যাঞ্জার উপর প্রভাব ফেলে। আদার ব্যাপারী ব্লগে থাকাই উচিত। জাহাজের খবর সব ফেসবুকে। তো যাই হোক, ছোটবেলায় মজার ছলে শেখা বুলি "It is difficult to hide ল্যাঞ্জা" আসলেই সত্য ছিল। সুখের সময়ে ল্যাঞ্জা ঠিকই বের হয়ে আসে। আমরাও ল্যাঞ্জা দেখতে পারতেছি।
চব্বিশের অভ্যুত্থানে দেশের জন্ম হয়নি। জন্মগত যে ত্রুটি থাকে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হইছে। একটা দল যারা ৭১ এর স্বাধীনতার প্রকাশ্য বিরোধী ছিল তারা এই অস্ত্রোপচারকে স্বাধীনতা নাম দিয়ে নিজের পাছা বাঁচানোর এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছে। কিন্তু ওনাদের পাছা যে ৭১ এই ফুটো হয়ে গিয়েছে তা এখনো বুঝতেছেন না। তবে এই জাতিরে ধর্মের নাম দিয়ে যে কোন কিছুই করানো সম্ভব।
স্বাধীনতা বিক্রি করে যারাই রাজনীতি করবে তারাই মূলত স্বাধীনতার হেনস্তা করবে। বাংলাদেশের রাজনীতি, ধর্ম, দর্শন সব চেতনায় ভরা। নিরেট চিন্তক দরকার। ড. মোহাম্মাদ ইউনুসের মত উচ্চাভিলাসী মানুষের দরকার। যাদের দরদ থাকবে, মেধা থাকবে, সামর্থ্য থাকবে। যারা আম জনতার আবেগকে পুজি করে দেশ বিক্রি করে ক্ষমতা আগলে রাখবে না।
যাই হোক স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মানুষ নিজের স্বাধীনতা উপলদ্ধি করুক। হুজুগের দেশে চিন্তকরা জায়গা করে নিক। মানুষ একটু ভাবতে শিখুক। প্রকৃতি ও পরিবেশ স্বাধীন ভাবে বিচরণ করুক। বৃক্ষরাজিতে সবুজ-শ্যামল বাংলা আবার ভরে উঠুক তার কোলাহল আর ভোরে রোদের নরম কোমল উষ্ণতার মত লাজুক শিহরণে। সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।