somewhere in... blog

অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

ওসির নির্দেশ মতো ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব লাশ পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার সহ তিনজন কনস্টেবল যথাস্থানে তৈরি ছিলেন। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ওনাদের।খানিক বাদেই ওসি সুরিন্দর ভক্ত চলে এলেন। একরাশ বিরক্তি তখনও ওনার চোখমুখে। তবে তার মধ্যে অনেকটা ফিল্মি কায়দায় হাতে সানগ্লাসটা ধরে খালি চোখে চারপাশটা একবার দেখে নিয়ে চোখে পরলেন। এবার কনস্টেবল অমিতকে সামনে বসতে বলে বাকি দুজনকে পিছনে নিয়ে নিজে মাঝখানে বসলেন। ড্রাইভারের সঙ্গে চোখাচোখি হতেই ইশারা করলেন গাড়ি চালাতে। ড্রাইভার মুকেশকে অবশ্য ওসি সাহেব একটু বেশি খাতির করেন।আসল নাম মুকেশ রাই। কিন্তু থানায় সকলে ওকে গোর্খাজি বলেই চেনে। পাহাড়িরা এমনিতেই শান্তশিষ্ট প্রকৃতির হয়ে থাকে। মুকেশ তাদেরই যেন এক সার্থক প্রতিনিধি। স্বল্পভাষী নিরীহ স্বভাবের মুকেশের মুখে সবসময়ই একটা হাসি লেগেই আছে ঠোঁটের এক কর্ণারে।থানায় অবশ্য ওর পরিচয় অন্য একটি নামে। সকলেরই কাছে ড্রাইভার মানেই গোর্খাজি। অনেকেই তো ওর আসল নামটাই পর্যন্ত জানে কিনা সন্দেহ। ওসি সাহেব চতুর মানুষ ,লোক চেনেন। কাকে দিয়ে কী কাজ করাতে হয় ভালো বোঝেন।তাই সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেও গোর্খাজির প্রতি উনি খুবই সদয়। আসলে পাহাড়ি ছেলে বলে কথা! রাতবিরেতে ঘোরাঘুরি করতে হয়।ফলে গোর্খাজিদের মতো পাহাড়ি বিছেদের উত্ত্যক্ত করলে ফল যে ভালো হবে না সেটা বিলক্ষণ বোঝেন।যে কারণে গোর্খাজিকে ওসি একটু বেশি স্নেহ করেন আর কি।এটা তো গেল একটা দিক।অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের ছেলেরা বেশিরভাগই ড্রাইভিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। তবে গোর্খাজির ড্রাইভার হিসেবে পুলিশের গাড়ির চালক হবার পিছনে অন্য গল্প আছে।সে কাহিনি হবে আরেকদিন।

যাইহোক সাহেবের ইশারা মতো গোর্খাজি গাড়িতে উঠে পড়ল। ড্রাইভারের আসন থেকে পিছনে ঘাড় ঘুরিয়ে সাহেবের হাতে কাগজ মোড়ানো কিছু একটা দিয়ে নিজেরটা মোড়ক খুলে মুখে ঢোকালো।গোর্খাজি জানে দুপুরে খাওয়ার পর সাহেব একটু পান পছন্দ করেন।ও নিজে আগে গুটখা সেবন করত। যেখানে সেখানে পিক ফেলত।এই নিয়ে স্টাফদের কাছে বকাঝকা কম খায়নি। কিন্তু কিছুতেই অভ্যাস ছাড়তে পারছিল না।গোর্খাজির চরিত্রের এই একটা দিক যা প্রায় সব বাঙালি পুলিশ অফিসারদের অপছন্দের ছিল। কিন্তু পছন্দ না করলেও কিছু করারও ছিল না। ভালো-মন্দ মিশিয়ে এভাবেই দিন কাটছিল ওর। পরিবর্তনটা হয় ওসি সুরিন্দর ভক্তের আগমনের পর। উনি গোর্খাজিকে গুটখার পরিবর্তে পানের নেশার প্রতি আসক্তি করে তোলেন। অবশ্য পুলিশের লোক, বিনা কারণে কোনো কাজ করেন না। কাজেই গোর্খাজিকে পানের প্রতি আসক্ত করার পিছনে নিশ্চয়ই ওসি সাহেবেরও কোনো মতলব ছিল। নিজের পানের যোগানদাতা হিসেবে গোর্খাজিকে দায়িত্ব দেওয়া তারই অঙ্গ বলাই যায়।গোর্খাজিও ওসি সাহেবের জন্য কিছু করতে পেরে দারুণ খুশি। প্রথম দিকে দু-একটা পান সেবন করতে করতে আস্তে আস্তে পানের নেশা ওকেও পেয়ে বসে।আর এভাবেই পান সেবন করতে করতে সে তার কিশোরকাল থেকে বয়ে আনা বহুদিনকার বদ অভ্যাস গুটখাকে একসময় বিদায় জানায়। কেটে যায় গুটখার আসক্তি।হয়ে ওঠে পান প্রেমী।

ওসি সাহেবের সঙ্গে গোর্খাজির মাঝে মাঝে নিভৃতে কিছু সময় কাটত। এমনি একদিন অবসরে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন,
- গোর্খাজি ( বয়সে ছোট হলেও আদর করে ওসিও গোর্খাজি ডাকেন) তোমার গুটখার নেশা কতদিনকার?
নির্মল একটা হাসি দিয়ে গোর্খাজি জানিয়েছিল,
- স্যার বহুদিনকার। সেই স্কুল জীবন থেকে চলে আসছে।
ওসি আবার জানতে চান,
- কীভাবে এই নেশায় পড়লে বাছা?
-স্যার কিছুটা স্কুলের বাজে বন্ধুদের খপ্পরে পড়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু এর পিছনে অন্য কারণ ছিল।
ওসি আগ্রহের সাথে জানতে চান,
- অন্য কারণ? ইন্টারেস্টিং! তো কী কারণ আমাকে বলা যাবে?
-আজ্ঞে স্যার।বলা যাবে না কেন? নিশ্চয়ই যাবে। বিষয়টি হলো আমি তখন ক্লাস এইটে উঠেছি।সেই বছর আমাদের এখানে ট্রেকারের ভাড়া অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।আমার বাড়ি থেকে রাম্মানে স্কুলের দূরত্ব প্রায় দশ কিমি-টিমি হবে।
-এতদুর স্কুল? ওসি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন।
-আজ্ঞে স্যার! ও আর এমন কি দূর।
- আশেপাশে আর কোনো স্কুল ছিল না, ওসি আবার জিজ্ঞেস করেন।
- না স্যার,বলে সাময়িক থেমে গিয়ে একটুখানি গলাটা ঠিক করে নিয়ে আবার বলতে শুরু করে ,
-আজ্ঞে স্যার যে কথা বলছিলাম।বাবার সামান্য আয়। দক্ষিণবঙ্গে কলকাতার কাছে একটা স্কুলে স্বল্প বেতনের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করে। সুযোগ পেলে বছরে দু একবার বাড়ি আসে। যেটা আয় করে তার পুরোটাই মানি অর্ডারে পাঠিয়ে দিত। তার জন্যে আবার অনেক দূরে পোস্ট অফিসে মাঝে মাঝে খোঁজ নিতে হতো আমাদের।বাবা যা পাঠাত তাতে কোনোক্রমে মা সহ আমাদের তিন ভাই বোনের চলে যেতো।
ওসি জিজ্ঞেস করেন,
-দার্জিলিংয়ের ঢালু জমিতে অনেকেরই সবজি চাষ করতে দেখি।গোর্খাজি তোমাদের বাড়িতে কোনো ফসল হতো না?
-আজ্ঞে স্যার কিছুটা ফসল হতো বৈকি। বাড়ির আশপাশে সামান্য যা ঢালু জমি ছিল সেখানে মা কিছুটা চাষাবাদ করত। পালং টমেটো, বেগুন, স্কোয়াশ প্রভৃতির চাষ হতো । এইসব নিয়ে আর বাবার পাঠানো টাকায় কোনোক্রমে আমাদের চলে যেতো।
কিছুক্ষণ থেমে গিয়ে গোর্খাজি আবার বলতে লাগলো,
-সে বছর ট্রেকার ভাড়া একটাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়ি।আগে মাঝে মাঝে ট্রেকারে গেলেও ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় আর গাড়িতে যাওয়া সম্ভব হলো না। অগত্যা ট্রেকার ছেড়ে আমরা কয়েকজন দুবেলা হেঁটে হেঁটে স্কুল যাওয়া-আসা শুরু করি। আগেই বলেছি হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস আগেও ছিল। কিন্তু নিয়মিত শুরু করি এসময়ে।আর এই দীর্ঘ পথে নুতন শেখা গুটখা আমার মতো কয়েকজন বন্ধুর আড্ডা মারতে মারতে রাস্তা এগোনোর প্রধান মাধ্যম ছিল। প্রথমদিন বন্ধু অখিলেশ হাতে গুটখা ধরিয়ে দিয়েছিল। খুব একটা ভালো লাগেনি। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই মনের অবস্থা বদলে যায়। নুতন শেখা গুটখা তখন মাদলের মতো আমাদের আকৃষ্ট করে। আমরা রীতিমতো গুটখার প্রেমে পড়ে যাই। অস্বীকার করব না স্যার, নুতন আনন্দ উদ্বেলতা আমাদের আসা-যাওয়ার পথকে উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে।
ওসি আবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন,
- সে না হয় বুঝলাম তুমি গুটখার নেশায় পড়েছো। কিন্তু অবাক হচ্ছি তুমি দশ কিমি রাস্তা পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে শুনে।?
- আজ্ঞে স্যার এটাই আমাদের মতো পাহাড়ের নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে শুধু তখনো নয় এখনও দস্তুর। কিছুক্ষণ নিরব থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
- তাও তো দিন কাটছিল স্যার। স্কুলে যাচ্ছিলাম নিয়মিত। কিন্তু তারপর যে কোথা থেকে কী হয়ে গেল একটা প্রলয় এসে সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল।আর সামলাতে পারলাম না নিজেকে। হারিয়ে গেলাম জীবনের মুল স্রোত থেকে....

গুটখা এখন অতীত গোর্খাজি এখন ওসি সাহেবের মতো পান প্রেমী হয়ে উঠেছে।তাই পূর্ব অভ্যাস মতো গাড়িতে উঠেই সাহেবের হাতে একটি মোড়ক উপহার দিয়ে নিজেরটা মুখে পুরে স্টিয়ারিংয়ে হাত দেয়।মুখে পান গুঁজে কিছুটা নেশায় বিভোর থেকে স্থানে স্থানে বোল্ডার ছড়ানো পাথরের উপর দিয়ে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িটি এগোতে থাকে। এমন এবড়োখেবড়ো রাস্তায় গাড়ি খুব সাবধানে চালাতে হয়। মানভঞ্জনের পর এদিকটায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে এমনিতেই ল্যান্ড রোভারের প্রচলন বেশি। তবে পুলিশের এই জিপ গাড়িটাও পাহাড়ের পক্ষে বেশ সহায়ক; আদর্শ বলা যায় আরকি।এমন একটি গাড়ি নিয়ে গোর্খাজি অত্যন্ত সন্তর্পণে এগিয়ে চলেছে। এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয়, পাহাড়ে পুলিশের পোস্টটিং, চাকরির নিয়মে বদল হলেও ড্রাইভারদের বদল একেবারেই হয় না। সমতলের পুলিশ অফিসাররা পাহাড়ে চাকরিতে এলে যে কারণে আগেভাগেই পাহাড়ি ড্রাইভারদের হাতে রাখতে চেষ্টা করে ।

এদিকে গাড়ি ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।এবড়োখেবড়ো পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ির বেগ অত্যন্ত কম। জায়গায় জায়গায় দশ-বারো কিমি-টিমিও হবে।পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সিঙ্গলীলা পর্বত। রাস্তার অপর পাশে গভীর উপত্যকা।তার নীচে অবিশ্রান্ত ভাবে বয়ে চলেছে রিম্বিক নদী। নেপাল সীমান্তে এই নদীটিকে স্থানীয়রা শ্রীখোলা নামেও ডাকে।অসম্ভব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে পাইন,ওক, চেস্টনাট, রডোডেন্ড্রন প্রভৃতির বৃক্ষরাজি। কপাল ভালো থাকলে হিমালয়ান ভাল্লুক,চিতা বাঘেরও দেখা মিলতে পারে। সঙ্গে আছে হাজার প্রজাতির পক্ষীকুল। তাদের সম্মিলিত কলকাকলিতে অপরূপা সিঙ্গলীলার মধুরিমা ,তার নৈসর্গিকতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে এমন অপার্থিব মনমুগ্ধকর প্রকৃতির মধ্যেও আছে উদ্বিগ্নতা, আছে যন্ত্রণা।পাহাড়ের প্রতি ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে বিভিন্ন প্রজাতির জোঁক ও বিষধর সাপ।সাপ না হয় ছেড়ে দিলাম। কিন্তু একটু অসাবধান হলেই পায়ে জড়িয়ে যেতে পারে চোষক।যে কারণে এখানে পায়ে হাঁটার জন্যে গামবুট অপরিহার্য। রাস্তার পাশে সুউচ্চ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে নানান প্রজাতির বৃক্ষরাজি। মনে হচ্ছে যেনো প্রতিটি মুহূর্তে ওদের মধ্যে এক অলিখিত প্রতিযোগিতা হচ্ছে, কে হবে বড়? কে হবে এলাকার সুউচ্চ মাথার অধিকারী।তারই মধ্যে সিঙ্গলীলার সমস্ত জায়গায় নানান প্রজাতির অর্কিড, ফার্ন ও লতাগুল্ম সমগ্র পাহাড়টাকে সবুজ আচ্ছাদনে ভরিয়ে তুলেছে। প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে হতেই পারে, কোনো এক নিপুণ শিল্পী মনের ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলেছেন সিঙ্গলীলার গায়ে স্থানে স্থানে।তারই মাঝে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে উঁকি মারছে কিছু কিছু বসত বাড়ি। এইটুকু বাদ দিলে মুল এলাকাটি একপ্রকার জনবসতিহীন বলাই যায়। বাড়িগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন পাহাড়ের গায়ে ঝুলে আছে। কোনো কোনো স্থানে অনেকটা উঁচুতে ঝুলে থাকা দুই একটি বাড়িও গাছগাছলির মধ্যে উঁকি মারছে। মনে হচ্ছে সেটাও যেন কোনো এক শিল্পী মনের কোলাজ মেলাতে না পেরে জোর করে বসিয়ে দিয়েছেন। বাড়িগুলিকে এমন নৈস্বর্গিক প্রকৃতির মাঝে কিছুটা বেমানান লাগছে বৈকি। যাইহোক প্রকৃতির এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে যে কোনো মানুষই বাস্তব জগত থেকে হারিয়ে যেতেই পারেন। যেমনটি হলো ওসি সুরিন্দর ভক্তের ক্ষেত্রেও। উনি এমন পরিবেশে বাইরের প্রকৃতির মধ্যে যেন হারিয়ে গেলেন। তাই নির্দিষ্ট স্থানে গাড়িটি চলে এলেও কয়েক মূহুর্ত লাগলো নিজের সম্বিত ফিরে পেতে।গোর্খাজি স্টার্ট বন্ধ করে নামতে বললে ওসি পাল্টা জিজ্ঞেস করেন,
- কি হলো গোর্খাজি গাড়ি কি বিগড়ে গেলো?
- না স্যার বিগড়ায় নি।আমরা চলে এসেছি। নামতে হবে।
- ও আচ্ছা,বলে কিছুটা সলজ্জ চাহনি নিয়ে ওসি সুরিন্দর ভক্ত বাকিদের নামতে নির্দেশ দিলেন।

গাড়ি থেকে নেমে বেশ কিছুটা হাঁটতে হবে।রিম্বিকের এই জায়গাটা অনেকটাই নীচু।এই ফাঁকে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নেওয়া দরকার উপলব্ধি করে ওসি সুরিন্দর ভক্ত কনস্টেবল অমিতকে উদ্দেশ্য করে,
- আচ্ছা তুমি কখন খবরটা পেলে অমিত?
কনস্টেবল অমিত শ্রদ্ধার সঙ্গে,
- স্যার শোনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডিউটি অফিসারকে জানিয়েছিলাম। ওনার সঙ্গে কথা বলে তবেই আপনাকে জানাতে গেছিলাম।
ওসি সাহেব নিজের হাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে,
- এখন হয়েছে দুটো পঁয়ত্রিশ। আমাদের আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। কিছু সময় এদিক ওদিকে বাদ দিলে আরো এক ঘন্টা আগে, মানে সাড়ে একটা দেড়টা নাগাদ?কী বলো?
- আজ্ঞে স্যার।
ওসি আবার বললেন,
- আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম মানে মিন করছিলাম যিনি দেখেছেন তিনি ঠিক কটা নাগাদ দেখেছেন?
- স্যার লোকটা বললে, আজকে সকালে অনেকটা উঁচু থেকে বোল্ডারে কিছু একটা আটকে থাকতে দেখে আমার সন্দেহ হয়। নিচে নেমে দেখি নদীর মধ্যে বোল্ডারে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এক ব্যক্তি।দেহে প্রান আছে বলে মনে হলো না। আমি সঙ্গে আরও কিছু প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু ওপ্রান্ত থেকে লাইন কেটে দেয়।
ওসি সুরিন্দর,
-নম্বরটা নোট নিয়েছ?
- আজ্ঞে স্যার। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা ফোন করেছিলাম। কিন্তু রিং হয়ে গেল।কেউ ধরেনি। খানিক বাদে আবার চেষ্টা করতেই ফোনটা রিসিভ করে ওপ্রান্ত থেকে জানায়,
- এটা একটা এসটিডি বুথ, ধনুক গোড়া বাজার বলে ফোন কেটে দেয়।
ওসি সুরিন্দর চিন্তিত মুখে,
- ধনুক গোড়া বাজার মানে শ্রীখোলার একদম শেষের দিকে।
-আজ্ঞে স্যার।
কথা বলতে বলতে একটু দূরে দৃষ্টি গেল। কিছু লোক জটলা করছে। দূর থেকেই দৃষ্টি বিনিময় হলো। বোঝা গেল ওনারও পুলিশের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন।
চলবে....

ফুটনোট - আমি ব্লগে ফুল ভার্সনে ঢুকতে পারছিনা।বিগত অনেকদিন ধরে।যে কারণে আগের কোনো মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছিনা।এই পোস্ট লিখছি মোবাইল ভার্সনে। কমেন্টদাতাদের কাছ থেকে সময় চাইছি।ফুল ভার্সন এলে যথারীতি উত্তর দিব।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যারা সৌদি আরবের সাথে ঈদ করেছে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৪৬



সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতে মুসলিমরা কি আসলেই নির্যাতিত?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৪৩

গুজব রটানো কত সহজ দেখেন! ফেসবুক থেকে নেয়া একসাথে সংযুক্ত এই ৩টি ভিডিও দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কীভাবে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যা, তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসলেই কি নির্বাচন হবে?

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

আপনারা যদি নির্বাচনের পর সংস্কার সত্যি করতে পারবেন তাহলে ৫৩ বছর পারেননি কেনো?

- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

এই যে কয়েকদিনের মধ্যে এই কথাগুলো উঠছে এর মানে হলো আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না ভাই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

রংপুর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে তৈরী মডেল মসজিদের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশে ইসলামের নামে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বাস্তবে তার অনেকগুলোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

AI-এর লগে গ্যাঁজাইলাম =p~

লিখেছেন জটিল ভাই, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১২

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(স্ক্রিনসট)

সামহোয়্যার ইন ব্লগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×