মন্দিরের অল্প দুরে, কুড়ে ঘরে
বাস করে লক্ষীরাণী এবং দেবাসুর
শুকনো কাঠে আগুন দিয়ে ভাত ফুটিয়ে
খড়ের তাপে ঠান্ডা রাতে পা গুটিয়ে
গান গেয়ে সংসার চলে, অভাবী প্রচুর
দু:খ ভুলে বাতাসে ছড়ায় মেঠো বাঁশির সুর
বোষ্টমীটা গান ধরেছে,
পুরোহিতের ধ্যান ভাঙলো, বললো এসে
ওরে পাপী মন্দিরে যা
পূন্য কর্ম না জমলে
পরজন্মে হতে কি চাস বাজারের কুকুর?
লক্ষীরাণী কৌতুহলে
বললো সাধু, জানতে পরম সাধ
দেখে এলাম বিলাতি মেম, কী দারুণ আহ্লাদ!
কুকুরটাকে চুমু খায়, বুকে পোষে
ডুবিয়ে রাখে, ছানা পায়েস দুধের রসে
ঘেউ ডাকলে তুলে আনে আসমানের চাঁদ
পরজন্মে মানুষ হলে
গান থামালে মানুষগুলো করবে দুর দুর
দু:খী মেয়ে সুধায় তাকে
বলতে পারেন কোন সে পাপে,
হতে পারি মেমসাহেবের বিলাতি কুকুর?
---
ড্রাফট ১.০