মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট নিতে চান ভাল কথা, লুটপাট ও পাকিস্তানের বিপরীতে ভারতের স্ত্রী হয়া ঠাপ খাওনের দায়টাও নেন। অপ্রকাশিত সবগুলো চুক্তিপ্রকাশ করেন। ইন্ডিয়ার হাসফাস দেখে মনে হচ্ছে হাসিনা তাগো অক্সিজেন ছিলো আর সেটা এখন খুলে গেছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উপর আরোপিত ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভ ও ইন্ডিয়ার চোখে বাংলাদেশকে সবকিছু দেখতে বাধ্য করার দায় টাও নেন। নেন রক্ষীবাহিনীর দায়, বিনাবিচারে মানুষ হত্যার দায়, নদী, জল, স্থল, অন্তরীক্ষ সবকিছু তাদের ইজারা দেবার দায়টাও নেন। কেনো আওয়ামী উপদেষ্টা কইতো প্রতিবেশীর কাছ থেকে টেক্স নেয়া শোভা পায় না করিডোর দিয়া, আর আজকে স্কুল পড়ুয়া সন্তানকে রেখেই বাবাকে বেধে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় দেয় তার দায় ও নেন। মেজর জলিলদের কেনো ভারতীয় লুটের বিপরীতে ূাড়ানোর জন্য একটাও পদক জুটে নাই তার ব্যাখ্যা দেন। গনহত্যা সহ স্বাধীন দেশে মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও ইন্ডিয়ার ইন্ধনের দায় নিছেন কোনদিন? পাকিস্তান চুদায়া ইন্ডিয়ার চোখে, হৃদয়ে পাকিস্তানকে দেখায়া বাংলাদেশকে একতরফা তাদের ইশারায় চলতে বাধ্য করার দায়ও নেন। ফাকিস্তানের যে জুজুর ভয় দেখান বর্তমানে পাকিস্তানকে দেবার বাংলাদেশের কি আছে? সীমান্ত হত্যা থেকে সকল প্রকাী সুযোগ সুবিধা প্রাণ উজাড় করে জনগনকে ঘুমে রেখে অজানা নানাচুক্তির নামে দাসখত পরানোর দায় টা নেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাও সবরেনটির হুমকি কারা সেই চিন্তাটা করেন। কারা কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি জীবনেও চাইবে না সেটাও চিন্তা করেন। অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা এমন বই কেনো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লিখতে হয়েছিল সেই দায়টাও নেন। ব্যর্থতাগুলা একটু দেখেন। শুধরান। রাজাকার কিংবা স্বাধীনতা বিরোধীরা সৎ আপনাদের থেকে সৎ। মানুষকে ধোকা দেয় নাই। তাদের চরিত্রের বদল ঘটে নাই। আপনারা একসময় বলতেন আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা পরে এসে বলবেন সত্য ছিল মামলাটা, তাইলে মানুষকে ধোকা দিলেন কেনো? কেনোই বা ৪৭ ঠিক দুইবছর পর আওয়ামী মুসলিমলীগনগঠন করে গণডন্ত্রের মাহাত্ব প্রচার করে বলেন যে বিরোধীদল থাকলে ভাল আর স্বাধীনতার ঠিক দুইবছর পর নিজেরাই সবদল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল করেন? এই বৈপরীত্বের দায় নিয়েছেন? এখনো আক্তারুজ্জামানদের মত মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে ভয় দেখিয়ে বলেন যে ভারত বাংলাদেশে এটা মেনে নিবে না সেটা মেনে নেবে না! দেশ কি তাদের প্রেশক্রিপশনে চালানের জন্য স্বাধীন করেছেন?
কেনো এত চেতনাধারী হয়াও দেশ লুট করে সব শালারা বিদেশে স্থায়ী বসবাসের বন্দোবস্তো করেছে। এই সহজ সরল মানুষের রুটিরুজির টাকা লুট করে চেতনার নামে তাদের সম্পদ বানানোর মোক্ষম স্পট হিসাবে বেছে নিচ্ছে তারা, যাদের এমপি থেকে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সন্তানরাও এদেশে রাখে না? আরে আপনাদের থেকে রাজাকার যাদের বলেন যাদের যুদ্ধাপরাধী বলেন তারা দেশপ্রেমিক, আমেরিকা থাইকা ফিরা আইসাও ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ছে। আর আপনারা সারাদেশের কোটি কোটি সার্পোরারদের দেশে রেখে পালিয়ে যান কেনো, মরতে ভয় কেনো এত! যুদ্ধে যখন গেছিলেন তখন কি মরণকে ভয় করে গিয়েছিলেন? কেনো চেতনাধারীরা দেশের সমস্ত অর্গানগুলা নষ্ট করলো, জবাব দেন। এতএত শয়তানি, দূর্নীতি, মিথ্যা ও দেশবিরোধী কর্মজান্ডের পরেও, এত স্খকন দেখার পরেও ভাববেন যে কেউ আপনাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না? আপনার চরিত্র আর রাজাকারদের চরিত্র কম্পেয়ার করবে না?
আমাদের বিজয়কে ইন্ডিয়াও বিজয় হিসেবে পালন করবে, কোন প্রতিবাদ করবেন না? আমরাতো বুঝতে পারি না আপনারা কে কার প্রক্সি দিয়েছেন?
আমিতো দেখি রাজাকাররা সফল তাদের কোন ব্যর্থতা নাই। যা দেখছি তাতে মনে হয় তাদের ক্ষমতাও দরকার নাই। তারা নিজেরাই ক্ষমতা। এমপি হইলেও না হলেও। তারা দেখি প্রতিষ্ঠান গড়ে আর আপনারা বেহায়ার মত দখল করেন, করার আগে একটা খারাপ নাম দেন আর কি! পরে সেই টেকা লুট করে বিদেশে পাচার করে একেবারে দেশের নাগরিকত্বও ত্যাগ করেন। মেলা কথা বলা যায়। আপনাদের সব কথায় নাচব না সরি, মগজ বিক্রি করি নাই
রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করে আবার প্রত্যাহার করা লাগলো কেনো সেগুলো প্রকাশ করেন। প্রকাশ করেন দালাল আইনে ৩৯০০০ জনের মধ্যে ৭৫০ জন যারা দোষী হয়েছিল তারা কারা। প্রকাশ করেন নাহলে আমরা অন্ধকারে থাকি। অন্ধকারে থাকতে চাই না যেহেতু আমাদের আর কোথাও পৃথিবীতে আবাস নাই। এই পোড়ার দেশেই আলু পোড়া দিই। জন্মালে এখানেই মরি।