আবৃত্তি: জীবনানন্দ দাশের ছায়া
বাঁশি: মুর্তুজা কবীর মুরাদ
ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি: ঢাকা ইমেজ
শব্দ এডিটের সফটওয়্যার: অডাসিটি
শব্দ থেকে ভিডিও রূপান্তর: পিকাসা
মোবাইলে ধারণকৃত বিধায় শব্দের মান খুব বেশী উন্নত নয়। কবিতাটি ইমেইলে পাওয়ার পর amr থেকে wav e নেয়ার জন্য http://www.convertfiles.com/ সার্ভিস ব্যবহার করা হয়েছে। মূল কবিতা পরিমার্জিত হয়ে যাওয়ায় আবৃত্তিকৃত ভার্শনের কথা নিচে দেয়া হলো।
-------
ভুলে যাওয়া ঠিকানা
(ড্রাফট ১.০)
বাড়ির চার বছরের ছেলেটার জন্য
একটা গ্লুকোজ বিস্কুটের প্যাকেট
আর কন্যার জন্য তিলের নাড়ু নিয়ে
দরজার কড়া নাড়তেই
ভুল বুঝতে পারি,
দরজাটা অন্য,
৪৮/১ নম্বর বলে কোন বাড়ি নেই
বিস্মিত লন্ড্রী কর্মচারী বললো,
মায়াবাজার বলে কোন পাড়ার নাম সে শোনেনি
এই যে ভাই, আপনি কি এখানেই থাকেন?
মোড়ে না একটা অশত্থগাছ ছিল?
সাদা ধবধবে চুলের
নরেন, ষাটোর্ধ মিশুক যে মানুষ যে বিকেলে ধুতি পরে হাটতে বের হয়,
তার বড় ছেলে ননীদাস স্বর্ণকার
ঐ যে নকুলদের চালের দোকানের পাশে যে বসে
ফাল্গুনে ছেলেটা ধুম ধাম করে তুলে আনে
সরুদেবীকে, নিখুঁত মাপের দেবী ফেলে
পুজোর মন্ডপে শ্যামা যে বউটাকে মুগ্ধ অপলক দৃষ্টিতে
সবাই দেবীর মতো দেখে
এবার নিশ্চয়ই চিনবেন
চুনী, মানে বাড়ির মেজো ছেলেটা, গিরিবাজ পায়রা পোষে
বড় চিলাঘুড়ি বানিয়ে ওড়ায়
আর তার সেজ দিদি সবিতার মিষ্টি গানের গলা -
দোতলা থেকে সুর্যোদয়ের আলোয়
সারগামে গলা সাধে
আর কেউ না হোক তার বাজখাই পিসিমার
কন্ঠটাতো ভুলে যাবার কথা না।
মানুষ বদলালে বোধ হয় এমন হয়
চেনাতে খুব কসরত করতে হয়
কারো কথা না শুনে
সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসি
কড়া নাড়ি, দরজাটা ধাক্কা দেই
চুপচাপ
যেন কোন মানুষ নেই কোথাও
সেই দোতলায় ওঠার সিঁড়িটা নেই
দেয়াল নেই, দরজা নেই, নেমপ্লেট নেই
এমন কি
যেন কোন বাড়িও নেই
-------------------------------
জীবনানন্দদাশের ছায়াকে আবারও ধন্যবাদ তার আবৃত্তির জন্য