সামনে এগিয়ে যেতে থেমে যেতে চায়,
চলে আর লাভ নেই এভাবে যুক্তি দিয়ে
বুঝিয়েছে কত জন,
সে যুক্তি ভাঙলেও
কালো বিড়ালছানা যাত্রাপথে হেটে গেলে
মানিব্যাগ নিয়ে ফিরে আসতে ছোট বোন পিছু ডাকলে
মিথ্যে সংস্কারে অযথাই পথে থামি
বন্ধুমহলে হাসা হাসিতে, নিজের ভুলগুলো নিজেই দেখে নিলে
নিজেকে মেধাহীন ও অসার মনে হয় আর
চলন্ত চাকায় কেউ যেন ব্রেক চেপে ধরে
মাথা ব্যথায় ফের চলতে ড্রয়ারে কখনো সিটামল নাপা কিছুই থাকে না,
অসুস্থ বন্ধুর পিতার জন্য ও-নেগেটিভ রক্ত খুঁজে হয়রান হলে অথবা,
বিদ্যুতহীন গ্রামে গিয়ে
যদি খবর আসে ধর্মঘট, তবে স্থির হয়ে যায় সব চাকা
কত নেশায়, উদ্বেগে, ব্যস্ততার অজুহাতে চলন্ত মানুষ
আর চলে না,
নাটক পাড়ার আড্ডায় নেশা জমে যায়,
ফ্রীজ নষ্ট হলে, চন্দ্রিমায় মোবাইল ছিনতাই
গায়েহলুদের গাঁদা ফুলের জন্য ছুটোছুটি,
অথবা চেনা চ্যানেলে ভাল চাকরির সম্ভাবনায় প্রায়ই বিরতি,
জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে বিবিসিতে পেতে থাকে কান
তারপর সন্ধায় চার্জারলাইটের আলোয়
সৃজনশীল সময় যায় শিশুকে এবিসি পড়াতে
কত সহজেই থেমে যায় এসব
মন যতক্ষণ চালিয়ে নেয় ততক্ষণ সব ঠিক
অথচ মনের মন বোঝা দায়,
প্রেমে ঈর্ষায় দাম্পত্য দুশ্চিন্তায় ক্ষণে ক্ষণে চলে থামে
ঠিক ঠাক হাততালি না পেলে মাথা নিচু,
এমন কি পুরস্কার প্রাপ্তির আনন্দেও
অচল হয় এই ভোতা পেন্সিল
কখনো রিকশায় ফুটপাথে উদোম শিশু দেখে
কখনো দরজা খুলে ভিখিরি বৃদ্ধাকে মৃত মা ভেবে
সুশীতল শান্ত সময়ে হঠাত্ পৃথিবীটাকে
আর ভাল না লাগলে
সৃষ্টিশীল জাহাজটা মাঝ সমুদ্রে নোঙড় ফেলতে চায়
---
ড্রাফট ১.০ / বানানের ত্রুটি মার্জনীয়