২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফল বাতিল করে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত!!!!!২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র ঘোষণা করে । ইশরাক অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন একজন মেয়র প্রার্থী। ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী কর্মী, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। ইশরাক হোসেনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন আওয়ামী লীগ ও তাঁদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁর নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। সুত্র ঃ যুগান্তর
২০২০ সালে নির্বাচনের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল , তাতে ফজলে নুর তাপসকে এক নাম্বার ও ইশরাক হোসেনকে দ্বীতিয় দেখানো হয়েছিল। সুত্র ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, ২০২০ ( উইকিপিডিয়া )
আওয়ামিলীগের সব কয়টা বিতর্কিত ইলেকশন তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত অবৈ্ধ ঘোষনা করতে পারে । কিন্তু আওয়ামিলীগের পতনের পর আদালত কোন আইনের বলে একটা বিতর্কিত ইলেকশনের ফলাফল বদল করার ক্ষমতা রাখে? আদালতের এই ঘোষনাতো খুবই ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত বহন করে। তারা আইন কানুনের কোন তোয়াক্কাই করছে না। তাদের ইচ্ছেমত নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তন করে রায় ঘোষনা করছে !! এরপরেতো ২০১৮ সালের মিডনাইট ইলেকশনের ফলাফল পরিবর্তন করে বিএনপিকেও জয়ী ঘোষনা করে রায় দিয়ে ফেলতে পারে।
এনসিপির ছাত্রনেতা উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, অনুদানের টাকায় ইফতার পার্টি ,গাড়ী নিয়া শো দাউন বাদ দিয়া জনগনের কন্ঠস্বর হয়ে উঠুন। আমরা জানি যে এনসিপির আখতার হোসেন ও মাফফুজুল আলম ঢাবির আইন বিভাগ থেকে পাশ করা আইনজীবি। স্বৈরাচারের পতনের পরেও যদি আদালত এখনও রাজনৈ্তিক দলের ইঙ্গিতে চলা আজ্ঞাবহ দাস হয়ে থাকে , তবে তার বিরুদ্ধে জোড়ালো আওয়াজ তুলুন। মানুষের অনেক আশা ভরসা আপনাদের উপড়। মানুষের আস্থার জায়গাটা মূল্যায়ন করতে শিখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৩