আমারও তো ইচ্ছে ছিল শঙ্খচিল বা শালিক হওয়ার
ফিনফিনে শরীর টাকে ইচ্ছে মতো ঘুরিয়ে নিয়ে
জঙ্গলে যাই ঠোঁটে তুলি বিলের পানি
সারাদিন কিচির মিচির গান গেয়ে
গাছের ডালে ঘুমিয়ে যাই ক্লান্ত দেহে
উড়িনি যে তা নয় সত্যি, উড়োজাহাজ
যেন এক দৈত্য পাখী, পেটের ভেতর বন্দী হয়ে
শীতল-তাপে, খাবার খেয়ে - কাচের সেই জানলা দিয়ে
ঝুলিয়ে রাখা আকাশ দেখায় মন ভরে না
আমারও তো ইচ্ছে থাকে পাখীর মতো মুক্ত থাকার
যেখান খুশী চলে যাওয়ার। যদিই যাই ভিন দেশেতে
অনুমতির কাগজ গুছাই, পকেট গুনে ভ্রমণবাড়ি; ওদের মতো
যদি হতো বাতাসে ভর, যখন তখন ঝিল জঙ্গলে,
সোঁদা মাঠে জিরিয়ে নেয়া, খিদে পেলে কুড়িয়ে খাওয়া ফলের রস আর শস্য দানা
আমার কেন ইচ্ছে থাকে মুক্ত হওয়ার, স্বাধীন হওয়ার? অবশেষে
উড়তে পেলে গাছ পেরিয়ে উঁচু মেঘে, চাঁদের কাছে
নিচে থাকে সুতোর নাটাই - বাঁধা বিভেদ, আইনকানুন, পরিবার, বন্ধু স্বজন, পোষাকী সুখ, সমাজধর্ম, কাজের চাপ, বেঁচে থাকার ধারের দেনা, ঘড়ি দেখে অফিস ছোটা, সওদাবাজার আরো হাজার মাঞ্জার ধার কাটে আমায়
অনেক রাতে তবুও আমার স্বপ্ন থাকে, ভুলে যদি
মেলি ডানা ঐ আকাশে শঙ্খচিল আর শালিক যেমন