আমার ভেতরে চুপিসারে মানুষটা লুকিয়ে রাখি
বিকেল বেলা কথা হয়েছে, বারান্দার রেলিং ধরে হাঁটছিল
পেছনের দরজা
ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ করে বন্ধ করে
হাঁটতে বেরিয়ে যাবে
কিন্তু চশমা
নেবার জন্য ফিরে এসেছে।
স্মৃতিশক্তি কমে গেলে যা হয় - রাত দুটোয় ভাইয়ার নাম ধরে
আমাকে ডেকে তুলে বলছে,
খোকা, ফজর হয়েছে? পশ্চিম দিক তো এইটা, তাই না?
বিস্মৃতি যাতে খুঁজে না পায় সেজন্য তাকে
খুব গভীরে আড়াল করি। ঝানু খোদকেরা
তাকে না পেয়ে অস্থিচামড়ার জমাট দেহ নিয়ে গিয়ে
গোর দিয়েছে। মাটিতে মিশে গেলে ভাবছে আমি ভুলেই গেছি। কিন্তু ভুলিনি, কেননা তাকে লুকিয়ে রেখেছি।
আর এই একটু আগেও মানুষটা যেমন করে
বুকের অন্দরে ছবি ঝোলানো রূমটায়
হাত কুঁকড়ে ঘুমিয়েছিল,
চিনি ছাড়া চা এগিয়ে দিতেই
চিমসানো গালে বিড় বিড় করে করে
মাকে ডাকছিল
যখন লিখছি এই কবিতাটা - একাকীত্ব উড়ে আসতেই
পিছন থেকে আমার চুলে হাত বুলিয়েছিল
এপিটাফের ভাঙা ইঁটে একটা কালো পিপড়ে বের হয়ে আসে।
তাকে বলি, ভেতরে কি অন্য কোন মানুষ আছে?
সে অবাক হয়ে বলে
মানুষের প্রসঙ্গ আসছে কেন?
সাদা কাফনের কাপড়ে অনেক শতাব্দী ধরে কিছু প্রাণরসায়ন শুয়ে ছিল। সেই পুরনো অণুগুলো বাউল হয়ে ঘর ছেড়েছে, নতুন কোন গান বাঁধতে দেহতত্ত্বের সুরে।
তার মানে, আমার ধারণা ঠিক -
অন্যদেহে এই মানুষটা আবারও আমাকে পথ হাঁটাবে।