সজনে বৃক্ষে একটা ছোট চড়ুই বসেছিল,
তরুরাজি সবুজ পাতা নাড়িয়ে খেলছিল,
সূর্যের ঘৃতে পুষ্ট হয়েছিল বৃক্ষের শরীর
দুপুরে চড়ুইটা চারখন্ড হয়ে, রক্তে ভিজিয়েছিল গাছের আঙুল;
চড়ুইটাকে খাচ্ছে এক হিংস্র বাজপাখী,
বৃক্ষটার কচি আঙুলগুলো সিদ্ধ করে খাচ্ছে মানুষ।
অথচ সজনের ডালে বসে মানব শিশুটি ঘুড়ি উড়িয়ে দিলে
বৃক্ষ তাকে ছোঁয়নি, খায়নি, শাখার আন্দোলনে পুকুরের জলে ছুড়ে দেয়নি
বিকেলে উদ্ভিদশাখায় বিশ্রাম নিচ্ছিলো মেঠো ইঁদুরটা,
নিরীহ ইঁদুরটাকে ছিঁড়ে খেয়েছে এক বুনোবিড়াল,
মানুষেরা শাখাপ্রশাখা কেটেছে, কান্ডে আগুন জ্বেলে বেঁচেছে পৌষমাসে।
সজনেগাছের কান্ডে হেলান দিয়েছিল একজন মানুষ,
সজনে গাছটা তাকে ছোঁয়নি, খায়নি, ব্যথা দেয়নি বরং পাখায় বাতাস করেছিল
আজ সেই সজনেবৃক্ষটা নেই, তার আঙুল নেই, হাত নেই, কান্ড নেই
বৃক্ষটির বাবা ছিল বোন ছিল, অনেক কথা বলার ছিল,
তার বাঁচার ইচ্ছে ছিল, সে নিরামিষ ভোজীদেরও খাদ্য হতে চায়নি।
সেও এই মানুষদের মতো ইতিহাসে বিস্মৃত হতে চায়নি।
গতকাল অন্ধকার রাতে বাতাসেরা মশাল জ্বালিয়ে বৃক্ষের ঠিকানা খুঁজতে এসেছিল। পায়নি।