কেতলীর প্রমোদ জাহাজে
নেচে যায় বাষ্পের নর্তকী,
বুদ্বুদের বাজী ফোটে বাতায়নে আলো উঁকি খায়
উত্তুঙ্গু হাওয়ায় খুলে যায় সুড়ঙ্গের ঝাঁপি ।
চূর্ণিত বীজের গর্ভাশয়ে স্বাদের জননী
হেকিম অগ্রাহ্য করে অল্প মাসে পানিতে নেমেছে পোয়াতি
সিরামিক ঘন্টা বাজে, খৈয়ামের দূত নামে স্বচ্ছ মোহনায়
দুধেল এক ফালি পুর্নিমা অভিমানে গলে গলে যায়
তোলপাড় অন্ধকার ঘন কালো যমুনার ফেনা,
অপ্সরীরা নিরাপদে রূপালী বজ্রার চামচে,
ডুবু ডুবু চিনির-মসলায়, বাণিজ্যতরীর আনা গোনা
মন কন্যা এলোকেশ, বিষন্ন প্রাসাদে বন্দিনী
নি:শ্বাসের মেঘদূত বলে শিঙ্গা ফুকে -
স্বর্গ থেকে দেবদূত প্রতীক্ষায় পানের টেবিলে
উষ্ণ অমিয়ধারা ওষ্ঠে তুলে নাও চুমুকে চুমুকে ।