লাল পোড়া ইটের বাড়ির দরজায় এসে থেমেছি
ধ্বংস টুকু দেখে যেতে পথিকের আনাগোনা
এই যে দরোজা
এখানেও এক সময় ঘড়ি কথা বলতো
কপাট খুলে বের হতো মালিক, পিছু নিতো হয়তো
কৃতদাস, মোসাহেব, পাইক পেয়াদা ।
তারা কেউ থাকে নি, থাকবে বলে ওদের জন্ম হয় নি
ইতিহাসে চ্যাপ্টা কঙ্কাল হয়ে পড়ে আছে নক্ষত্রের শহরে ।
এখানে নারীরা অপেক্ষা করে যেত
তাদের পুরুষদের বাড়ি ফেরার জন্য - বনেদী ঘর
অপচয়ের জলসায় বাঈজীর নুপুরে,
বন্দী হলে জল ছিটকে যেতো ললাট লিখনে
ভোর হলে সুর্যের রবারে মুছে যেতো
স্বেচ্ছাচারীর পাপ । খুলে দিয়ে হাতের বাজু
নখের রঙ, মুখের পানরঞ্জনী কামনায় অঙ্গার হয়েছে কত কাল
প্রতীক্ষায় ক্লান্ত পত্নীর হা-স্পর্শ দেহ ।
কপাটবিহীন দরজা গলিয়ে খোলা খাঁ খাঁ বাতাস দীর্ঘশ্বাস ফেলে যায় প্রাসাদের গুমরে থাকা ক্রন্দন
নিরব টেরাকোটা আর পলেস্তার যেন বোবা স্বাক্ষী আজ।
পরিচিত মনে হয় সেই গল্প - মঞ্চ বদলে সেই কুশীলব, বহুমুখী নারী, ক্ষুধা, অপেক্ষা, উদ্বায়ী সোনার হরিণ,
কচক্রবৃত্তে আবর্তিত সেই শাসকেরা আবারও নিয়মমাফিক অধ:ক্ষিপ্ত হবে
এভাবে সহস্র বছর ধরে
গল্পের ভিতর অন্য গল্প
ইতিহাসের ভেতর আরেক ইতিহাস
পথিকের পদচিহ্ন দর্শনের জন্য
অন্য পথিকের আগ্রহ
ফিশারের ছবির মতো ঘুরপাক থায়