মাঝেমাঝে লিখতে গিয়ে আমার হাত চলেনা
আঙুল গুলো লক্ষ্যচ্যুত হয়, কেঁপে উঠে হাত,
ঠোঁট জোড়া শুকিয়ে যায়, ক্ষমতাহীন হয় শব্দ ছড়াতে।
তৃষ্ণায় জর্জরিত কণ্ঠনালী কেমন জানি গলাটাকে
ভারি করে দেয়।
মাথা তুলে সামনে তাকিয়ে দেখি, গাছের সবুজেরা
সব তোমার রঙ ছুঁয়ে কেমন জানি মিলেমিশে আছে
মাইল পেরিয়ে মাইল চোখ ঝাপসা করে দিয়ে।
কপালের দু'দিকে ব্যথা টের পাই তখন,
ভাবি বুকের ভেতর বাড়ির কি খবর;
সেখানে নাকি হৃৎপিন্ড থাকে?
মনের সব জায়গায় তুমি আর তোমার আহ্লাদী
চাওয়া পাওয়াদের বসত।
মন যে বুকের ভেতরেই থাকে! তাই এতো ব্যথা বুকে।
আর তোমার কষ্টদের আমি ঠিক বুঝে নেই
টের পাই আরও বেশী কাছ থেকে নীল কণ্ঠস্বর
ভেসে আসে আরও নীল হয়ে,
অবশ হয়ে যায় চারপাশ, আর হৃৎপিন্ড সেসবকিছু বহন করে।
সত্যি বলছি তুমি ভেসে ভেসে আসোনি,
কাঁদতে দেখিনি তোমায়, ছিল যতোটুকু সে সুখ কান্না।
ঝড়ের বেগেও আসোনি যে চোখের নিমিষেই হারাবে
তাই হারানোর ভয় ছিলনা।
সেদিন ঠিক এসেছিলে, ভালোবেসে ছিলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬