শব্জী সমাচার
বেগুন বলে- ওরে মূলো
নাকের ডগায় কেন ঝুলিস;
মূলো বলে- ক্ষেপলে তুই
তেলে বেগুনে কেন জ্বলিস!
শাক বলে- মাছ ঢাকতে
আমার কোন জুড়ি নাই,
লাউ বলে- আমায় পেলে
চিমটি একটা কাটা চাই।
পেঁপে বলে- কাঁচা-পাকা
আমায় কিন্তু কেনে সবাই,
পেটের সকল রোগ নাকি
আমার কোন বিকল্প নাই।
ওল বলে- আমি বুনো
তবুও তোদের লোভ কমেনা,
বাঘা তেঁতুল ছাড়া নাকি
আমায় খেতে ঠিক জমেনা।
করল্লা বলে- তেতো আমি
তবু আমায় খাওয়া চাই,
পটল বলে- পটল তোলার
কথা কাউকে বলতে নাই।
ঢেঁড়শ বলে- আমার নাকি
আদুরে নাম লেডিস ফিঙ্গার,
তবুও দেখ আমার ভেতর
নাইতো কোন অহংকার।
শশা বলে- রূপচর্চায়
আমায় দেখি সবাই চায়!
ফালি ফালি কেটে পরে
যত্ন করে চোখে লাগায়।
লেবু বলে- আমায় চিপে
জলে গুলে শরবৎ খায়,
আলু বলে- আমায় পেলে
সেদ্ধ করে ভর্তা বানায়।
কাঁচামরিচ হেসে বলে-
আমায় খেয়ে জব্দ সবাই;
একটু বেশী হলে পরেই
হাতের কাছে জল চাই।
ঝিঙ্গা বলে- আমায় খেতে
একটু বেশী খরচ হয়,
বাজার ঘুরলে বুঝবে তবে
চিংড়িতো আর সস্তা নয়।
কচুর লতি রেগে বলে-
তোরা শুধু বাজে বকিস,
ইলিশ মাথা, চিংড়ি হলে
আমায় একটু খেয়ে দেখিস।
কাঁচকলা বেশ ভোলাভালা
তেমন কিছুই বলার নাই,
তবুও বলে- পাকা রাঁধুনীর
আমার কোপ্তা বানানো চাই।
এঁচোড় বলে- গরম মশলায়
রাঁধলে ঘিয়ে মাংশের মতো,
একবার খেলে বুঝবে বাছা
যতোই দেবে খাবে ততো।
সজনে ডাটা মুখচোরা তাও
বলে একটু মুচকি হেসে,
জিভে জল গড়ায় সবার
যখন ডালে থাকি ভেসে।
চালকুমড়ার নবাবী ভাব
মাটিতে তার পা পড়েনা,
জর্দ্দা পোলাও রান্না হলে
তাতেও তার মন ভরেনা।
গাঁজড় বলে- শোন টমেটো
আমরা দুজন মিলেমিশে,
চিরকালই স্বাস্থ্য সেবায়
রয়ে গেলাম সালাদ ডিশে।