আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের দেশের আইনে এই বিধান আগে থেকেই ছিল তবে কয়েকদিন আগে এই ধরণের ধর্ষণের বিচারের জন্য আলাদা ধারা তৈরি করা হয়েছে। আগে থেকেই আমাদের দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলন’ ছিল। আগে পৃথক ধারা ছিল না, এখন পৃথক ধারা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে নাকি মামলার জট কমবে।
আসলে এই ধরণের অপরাধকে ধর্ষণ বলা ঠিক না। বরং বলা উচিত প্রতারণা। পৃথিবীর কোথাও এই ধরণের প্রতারনাকে ধর্ষণ বলা হয় না। আমাদের দেশে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত কিছু আইনের চরম অপব্যবহার হয়। দেখা যায় জমি নিয়ে বিবাদ, কিন্তু নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আরেকটা ব্যাপার হল নারী নির্যাতনের অনেক মামলা জামিন যোগ্য না। ফলে এই আইনের অনেক অপব্যবহার হয়। ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলন’ সংক্রান্ত মামলাগুলিও বিবাদির জন্য অবিচার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষকে বিপদে ফেলার জন্য অনেক নারী এই ধরণের অপবাদ দিচ্ছে এবং সেই পুরুষ একজন ধর্ষক হিসাবে গণ্য হচ্ছে। কোন পুরুষ যদি বিবাহের প্রলোভন দেখিও থাকে, সেটা একান্তে গোপনে ঘটে থাকে। আমাদের সমাজে কাউকে সাক্ষী রেখে কোন পুরুষ আরেকজন নারীকে বলে না যে আমি তোমাকে কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে করবো আসো এখন আমরা এক সাথে ঘুমাই। আর এই ব্যাপারে আমাদের সাক্ষী হল আমার বন্ধু জনাব দবির। আমি বলতে চাচ্ছি যে এই ধরণের মামলার ক্ষেত্রে মেয়েই একমাত্র সাক্ষী। সে মিথ্যা কথা বলে ভোলাভালা পুরুষদের বিপদে ফেলতে পারে।
আরেকটা ব্যাপার হল কোন নারী যদি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক সাথে ঘুমায় এবং পরে আরেক ছেলের সাথে ভেগে যায় সেই ক্ষেত্রে পুরুষের হাতে কোন প্রতিকার নাই। অনেকে অবশ্য কলা গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। অনেকে সারা জীবন নারী জাতির চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে আর বলে যে জীবনে কোন দিন আর কোন মেয়েকে বিয়ে করবো না। বেচারা যদিও একজন ধর্ষিত পুরুষ (কারণ প্রতারণা করে তার সম্মতি নেয়া হয়েছিল) কিন্তু সামাজিক স্বীকৃতি নাই । আমাদের দেশে নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণের কোন আইন নাই। যে কারণে অনেক পুরুষ মিথ্যা প্রলোভনে এক সাথে কোন মেয়ের সাথে ঘুমাচ্ছে এবং ধর্ষিত হচ্ছে। অনেক দেশে পুরুষের সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন করলেও সেটাকে পুরুষ ধর্ষণ বলা হয়ে থাকে। ইহাই সঠিক।
ব্যাপারগুলি কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও এক তরফা ভাবে শুধু মেয়েদের সুবিধা দিয়ে আইন তৈরি করা ঠিক না। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী নির্যাতন মামলা ভুয়া হয়।