somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ গোপন কথা রয় না গোপনে

১৯ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিকেল বেলাটা আসলেই অনেক সুন্দর। তখন থাকে না কোন রোদের উত্তাপ, থাকে শুধু রোদের চলে যাওয়ার পথে রেখে যাওয়া একটু কোমল ছোয়া। এই বিকেলবেলাটা অনেক ভালোভাবেই কাটায় সারা আর রনি। সারাদিন ল্যাব আর ক্লাশ করা ক্লান্ত দুটি দেহকে উৎফুল্ল করতে রোদের রেখে যাওয়া কোমল ছোয়া একটা ডোজের মতো কাজ করে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে রনির প্রায়ই মনে হয় সারার গাল বেয়ে আসা চুলটাকে নিজ হাতে সরিয়ে দিতে। আজব হয়ে একটা জিনিস প্রায়ই লক্ষ্য করে সে; প্রতিটা সময় যখন তারা দুইজন একসাথে থাকে তখন সারার কিছু চুল গাল বেয়ে এসে ঝুলে থাকে। কথা বলার সময় এই চুলের নৃত্য যেন ক্লান্ত নায়কের মনে একটু সুখ নিয়ে আসে। কিন্তু ব্যাপারটা সে বুঝতে পারে না যে জিনিসটা কি আপনা হতেই হয় নাকি নায়িকা নিজ ইচ্ছায় করে। যেভাবেই এটা হোক না কেন রনিএকটু ভিতু টাইপের ছেলে বলে বিগত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করেও এই চুল সরিয়ে দেয়ার কাজে সফল হতে পারছে না।

ক্লাশের এই দুটি ছেলেমেয়ের মাঝে বন্ধুত্ব হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই। তারা দুইজনই খুব চুপচাপ, সাথে এক চামচ ঘরকোণে এবং এক চিমটি লাজুক বলে কেউ তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহন করতে রাজী ছিল না বিধায় তারা নিজেরাই নিজেদের বন্ধু হয়ে যায়। একটা ছেলে আর মেয়ে কখনো বন্ধু হতে পারে না এই কথাকে পায়ে দলিয়ে তারা দুইজনই ক্যাম্পাসের দিনগুলি পার করতে লাগলো। দুইজনের মাঝে বন্ধুত্ব জিনিসটা কিছুটা একতরফাই ছিল যদিও সেটা ছিল অজানা। সারা রনিকে বন্ধু হিসেবে দেখলেও রনি ছিল এক কাঠি উপরে। মিটিমিটি পায়ে ভয়ার্ত চোখে শত আজানা আতংক নিয়ে যখন মেয়েটি প্রথম ক্লাশে ঢুকে তখনই তাকে ভালো লাগে। যদিও রনি ভিতু বলে আজ পর্যন্ত কথাটাকে সুখচাপা দিয়ে রেখেছে।

ইদানিং সারার মন খারাপের রোগটা একটু বেশীই হচ্ছে। না আছে ক্লাশে মনযোগ, না আছে ল্যাবে।আজ মাস ছয়েক পর সে ক্যাম্পাসে এসেছে। এই সময়ে অনেক বদলে গেছে ও। যাওয়ার সময় বলেও যায় নি। ফোন ও অফ ছিল। আর এখন ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফিরতে পারলেই সে যেন বাঁচে। ফোন দিলে ফোন রিসিভ করছে না। করলেও অল্প কথা বলে রেখে দিচ্ছে, ক্লাশে এসেও ভালোভাবে কথা বলছে না। কেমন জানি একটা গা ছাড়া ভাব। এই জিনিসটাই ভাবিয়ে তুলছে রনিকে। ওর সাথে প্রায় সবকিছুই শেয়ার করে সারা। এখন পর্যন্ত কোন জিনিস লুকায়নি। তাহলে এমন কি হলো যে তাকেও বলা যাচ্ছে না।

২৪ সেপ্টেম্বর হতে এখনো কয়েকদিন বাকী। তাদের বন্ধুত্বের তিন বছর পূর্ণ হবে। রনির মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা কাজ করছে। ইদানিং সে একটু সাহসী হয়েছে। শিখেছে কিভাবে প্রপোজ করতে হয়। কয়েকদিন ধরে প্র্যাকটিসের উপর আছে। সারার এই মন খারাপ তার আর ভালো লাগছে না। তার মতে নারীর মন খারাপ জিনিসটা আসলেই অনেক কাজের, ঠিক যেমন নরম কাদামাঠির মতো, তখন তাকে যেকোন বিষয়ে মানানো অনেক সহজ হয়। এই সহজ কাজটা করার জন্যই রনি এখন প্রস্তুত। কিন্তু অপেক্ষার সময় যে অনেক দেরীতে পার হচ্ছে! রনি হাতে ছোট্ট একটা কেক আর সাথে কিছু গোলাপ নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসলো। কেমন জানি একটা ফিল্মী আমেজ চলে এসেছে তার মাঝে কারন সে তার মনের কথা বলতে যাচ্ছে। একটু ফিল্মী তো থাকতেই হবে। কিন্তু বেঞ্ছে বসা নায়িকা তার এসব পাগলামো কার্যকলাপ দেখছেও না। নায়ক কিছুটা নিরুৎসাহিত হলেও মানিয়ে নিল। কিছুক্ষন পর নিশ্চয়ই সে তার হবে।

- রনি, একটু পাশে বসবা প্লীজ? তোমাকে একটা কথা বলব

আনন্দের মাঝে মন খারাপের স্বরে তার নাম ধরে ডাকাটা আনন্দের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটালেও নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে নায়িকার পাশে বসলো।

- হুম বল।

- তুমি তো আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু - না?

- হুম। কেন? তোমার কি মনে হয়?

- আমার মনে হয় যে তুমি আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তোমার মত বন্ধু আমি আর কোথাও পাই নি। পাব কিনা তাও জানি না। তুমি অনেক ভালো রনি।

- হঠাৎ এ কথা বলতেছ কেন? কিছু হয়েছে? কোন সমস্যা? এমন মনমরা হয়ে আছ কেন কয়েকদিন ধরে? কি হয়েছে আমাকে বললে তো কোন সমস্যা দেখছি না আমি।

- আমি আসলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। আমার বেঁচে থাকার আর কোন ইচ্ছে নেই। সবার সামনে মুখ দেখানোর যোগ্য আমি আর নেই।

- আরে আজব তো!কাঁদতেছ কেন? কি হয়েছে আমাকে বলবা তো? তুমি জান যে তোমার কান্না আমি সহ্য করতে পারি না। প্লীজ তুমি বল।

- তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি। আমার জীবনে একটা কথাই আমি তোমার কাছে লুকিয়েছি। তুমি জাননা যে আমার একজনের সাথে প্রেম ছিল। তার নাম পলাশ। আমার চাচাত ভাই।

নিজের ভালোবাসার কথা বলতে এসে এভাবে হোঁচট খাবে নায়ক তা কল্পনাতেও আনে নি। এমনিতেই তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে তার পছন্দ না। তার উপর এই রোমান্টিক সময়ে এসে যখন তৃতীয় ব্যক্তির কথা শুনল তখন নিজেকে খুব কষ্টে সামলে রাখলো।

- এই কথাটা তো আমাকে বলতে পারতে। লুকিয়ে রাখার মতো তো কিছু ছিল না এইখানে।

- তুমি প্লীজ এখন কোন কথা বলবা না। আমাকে না বলা কথাগুলা বলতে দাও।

- বলো

- ওর সাথে আমার ২ বছর আগে সম্পর্ক হয়। ও প্রথমে আমার বোনের সাথে সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপু রাজি হয়নি দেখে আমার সাথে কিভাবে জানি হয়ে গেছে। বিশ্বাস কর রনি আমি জানিও না কিভাবে যে কি হয়ে গেল। ওর সাথে আমার সম্পর্কে র কথা কেও জানত না। এইজন্য আমার বাসায় আসাতেও ওর সমস্যা ছিল না। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ছাদে হাটাহাটি করছি তখন ও আমার সামনে হাজির! জানিনা তুমি বিশ্বাস করবা কি না কিন্তু সে আমাকে তখন "কিস" করতে চেয়েছিল। আমি যতই মানা করি সে ততই মানে শুনতে নারাজ। আব্বা আম্মা ভাইয়া আপু তখন ঘুমে ছিলেন, তাই আমিও ভাবলাম যে সমস্যা হবে না। আমিও সাহস করে ওকে কিস করলাম। ঠিক তখন ই দেখি আব্বু ছাদে আসছেন। ভাগ্য ভালো ছিল কিছু বুঝতে পারেননি। কিন্তু আমার হয়ত জানা ছিলো না যে আমার বিপদ তখন থেকেই শুরু হচ্ছে। কিছুদিন পর বিকেল বেলা আমরা রিকশা নিয়ে আমরা বাইপাস রোডে ঘুরতে বার হই। সেখানে ও কিছু আপত্তিকর ব্যবহার করে আমার সাথে যা মুখে বলা সম্ভব না। আর ওই দৃশ্য গুলা কিছু পথচারী দেখে ফেলে এবং অনেক বাজে মন্তব্য করে। আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল যে আমি হয়ত ভুল শুনছি। কিন্তু যখন দেখলাম যে সত্যি তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। বিশ্বাস করে রনি, আমার তখন মরে যেতে ইচ্ছা করছিল। এইগুলা ছাড়াও ওর সাথে আমার আরো গভীর সম্পর্ক ছিল। একদিন আমি জানতে পারলাম যে আমার পরিবার আমাদের সম্পর্কের কথা জেনে গেছে। তখন আমি ওকে বললাম আমাকে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সে আমাকে আমার মুখের উপর না বলে দিল। চাচা চাচীকে বলার পর তারাও তখন ওর পক্ষই নিচ্ছিল। শত চেষ্টা করেও পারলাম না নিজেকে সত্যি বলে প্রমান করতে। মনে হচ্ছিল যে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। আমি ওকে এত করে বুঝালাম, ভিক্ষা চাইলাম কিন্তু ও আমাকে কোন পাত্তাই দিল না। আমি তখন খালি হাত নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসার মানুষজনকে অনেক অপরিচিত মনে হল। তাদের কাছে হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলাম। বাবা মাও পলাশের কাছে এসে অনেক কান্নাকাটি করলো কিন্তু কোন লাভ হলো না। আমি এখনো জানিনা যে তারা আমাকে মন থেকে ক্ষমা করেছেন কি না। আমি ওকে ভুলে যেতে চাই রনি। আমি ওই মানুষ রূপী শয়তানটাকে ভুলে যেত চাই। তুমি আমাকে সাহায্য কর রনি। প্লীজ রনি। বন্ধু হিসেবে আরেকটিবার হাতটি বাড়াও। আর একটি কথা রাখবা প্লিজ? এই কথাটা কাউকে বলো না তুমি।

পুরোটা সময় রনি একটা ঘোরের মধ্যে ছিল। নিজের ভিতরে পশুর আগমনটাকে সে ভালোভাবেই অনুভব করছিল। মনের মানুষের কাছে তার ভালোবাসার কথা বলতে এসে যে এই পরিস্থিতির সামনাসামনি হবে সপ্নেও ভাবে নি সে। নিজের পশুত্বকে বশ করে সারার হাতের উপর হাত রেখে খুব সুন্দর করে বলল “তোমার কিচ্ছু হবে না, আমি তো আছি”। এভাবেই হাতের উপর হাত রেখে পেরিয়ে যায় সারার মন হালকা করা আর রনির মনে আজানা এক পশুত্বকে সষ্টি করা বিকেল। তাদের কেকটা আর কাটা হলো না।

রাত জিনিসটা নানা কারনেই অনেকের প্রিয়। লুকিয়ে কান্না করা, নিজের সাথে কথা বলা, কল্পনার রাজ্যে ভেসে যাওয়ার জন্য। সারার বলা প্রতিটা শব্দ তাকে কুড়ে কুড়ে খেতে লাগলো। যে সারাকে সে আজ প্রায় তিনবছর ধরে ভালো জেনে এসেছে মাত্র দুই ঘন্টার ব্যাবধানে তার সম্পর্কে এতো খারাপ ধারণা জন্ম নেবে তা সে কল্পনাই করতে পারে নি। ঐদিনের পর থেকে সারার প্রতি রনির মনোভাব, আচরন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে লাগলো। আগের মতো সেই দেখাশোনাটা নেই। কেমন যেন গা ছাড়া একটা ভাব। এখন সারা কিছু পরিমান ভুল করলেই তা পাহাড় সমান উচ্চতায় গিয়ে ঠেকে রনির কাছে। সারাও অবাক হয় রনির এই পরিবর্তন দেখে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না। কারন কেউ যদি কারো একটা গোপন কথা জানে তাহলে সে পরোক্ষ ভাবে ওর কাছে জিম্মি হয়ে থাকে; ওর বিরুদ্বে কিছু বলতে গেলে অনেকবার ভেবে বলতে হয়। সারার সাথে এই দুরত্বের মাঝে তমা নামের অন্য একটি ক্লাশমেটের সাথে তার ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়। রনি এখন আগের সেই ইন্ট্রোভার্ট রনি নেই। সে এখন অনেক বেশী এক্সপোজ করে নিজেকে। রঙ্গচটা প্যান্টের সাথে টাইট টি শার্ট এখন ওর বেশী পছন্দ হয়ে গেছে। সারা সব দেখেও কিছু বলতে পারে না। পুরো ক্যাম্পাসের একটি মাত্র কাছের মানুষকে সে এইভাবে হারাবে সে কোনদিন কল্পনা করতে পারেনি। সারা এখন শুন্য চোখে তাকিয়ে থাকে তার সবচেয়ে কাছের মানুষটির বদলে যাওয়ার দিকে।

একদিন বিকেলে রনি আর তমা সেই জায়গায় গেল যেখানটায় সারা আর রনি শেষবারের মতো দেখা করেছিল।

- তমা, আমি আসলে তোমাকে অনেক ভালো বন্ধু হিসেবে জানি। আমার তেমন কোন কথা নেই যে যা তুমি জান না।
- হুম। কেন , কি হয়েছে?
- আমি আসলে তোমার সাথে শেয়ার না করে শান্তি পাই না। তোমার সাথে একটা কথা শেয়ার করতে চাচ্ছি। কিন্তু তুমি এইটা কাওকে বলবা না প্লিজ।
- বল তো কি হয়েছে?
- আসলে আমি সারাকে যতটা ভালো ভাবতাম সে ততটা ভাল নয়।
- কি বলছ এসব? ও খারাপ হতে যাবে কেন?
- তুমি কি জান ওর যে আগে প্রেম ছিল। ওর সাথে অনেক গভীর সম্পর্ক ও ছিল। পরিবারের কাছে ধরা পরে যাওয়াতে সে তার প্রেমিককে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তার প্রেমিক তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়।
- ওমা। কি বল এসব? ওর আগে সম্পর্ক ছিল? আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে সারা এরকম হতে পারে, ওর মতো একটা ভালো মেয়ে ওই ভুল পথে যেতে পারে বিশ্বাস হয় না। আসলে এই সময়ে কেউই ভালো নয়।
- আমি তাহলে বলছি কি। তুমি প্লিজ কথাটা কাওকে বল না। ও নাহলে কষ্ট পাবে।
- তুমি আমার উপর আস্থা রাখতে পারো। আমি কাওকে বলব না।


কিন্তু শেষ পর্যন্ত তমাও রনির মতো তার কথা রাখতে পারে নি। সেও তার আরেক ভালো বন্ধুকে বলে দিল। এভাবে একজন একজন করে সম্পুর্ন ক্লাশ জেনে গেল সারার ব্যাপারে। তখন সারার ক্লাশে মুখ দেখানোটাই দায় হয়ে পরেছিল। কোন উপায় না পেয়ে সে হঠাৎ একদিন হারিয়ে যায় ক্যাম্পাস থেকে। বেশ কিছুদিন পর রনির মোবাইলে সারার আম্মুর নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করার পর কান্নার শব্দে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরে সে। সারার বাড়ি গিয়ে যা দেখে তা সে কোনদিন কল্পনা করতে পারে নি। গলায় ফাস দিয়ে সারা আত্মহত্যা করেছে। অনেকদিন মেয়েটা একঘরে হয়ে ছিল। কারো সাথে কোন কথা বলত না, ভালো করে খাবার খেত না। বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছিল নিজেকে এই অবাক করা জগত থেকে। ওপারে চলে যাওয়া সারার হাতে একটা চিরকূট পাওয়া যায়।। তাতে লিখা ছিল "তোমাকে বলেছিলাম কাওকে না বলতে, তুমি কেন আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে? আমি তোমার কি এমন ক্ষতি করেছিলাম যে আমার এই সর্বনাশ করলে? আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীটা তুমি দেখতে দাও নি। তুমি ভালো থেক।" তখন কেউ এইটার অর্থ না বুঝলেও রনি বুঝতে পারে যে সে কত বড় ভুল করেছে। এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে গিয়ে সেও একদিন হারিয়ে যায়। ঠিক একই অবস্থায় তাকে পাওয়া যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলানো অবস্থায়। অবাক করার ব্যাপার হল যে তার হাতেও একটা চিরকুট ছিল। সেখানে লেখা ছিল "স্যরি সারা। আমাকে মাফ করে দিও, তোমার কথাটি আমি রাখতে পারিনি”

সবাই ভালো থাকবেন
১২টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×