ইংরেজি নামঃ Blackberry
বৈজ্ঞানিক নামঃ Syzygium cuminii
জাতঃ
ফলের আকার অনুযায়ী দু’ধরনের জাম দেখা যায়। বড় জামকে কালোজাম এবং ছোট জামকে ছোট বা অঞ্চলভেদে লোহা জাম বলা হয়।
পুষ্টিগুনঃ ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
ওষুধিগুনঃ জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ থেকে প্রাপ্ত পাউডার বহুমুত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পাকা জাম সৈন্ধব লবন মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে চটকিয়ে ন্যাকড়ার পুঁটলি বেঁধে টানিলে যে রস বের হয় তা পাতলা দাস্ত, অরুচি ও বমিভাব দূর করে। জাম ও আমের রস একত্রে পান করলে বহুমূত্র রোগীর তৃষ্ণা প্রশমিত হয়।
উৎপাদন এলাকাঃ কুমিল্লা, নোয়াখালী, গাজীপুর, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় বেশি উৎপন্ন হয়।
ব্যবহারঃ জাম থেকে রস, স্কোয়াশ ও অন্যান্য সংরক্ষিত খাদ্র তৈরি করা যায়।
কুল
ইংরেজি নামঃ Ber
বৈজ্ঞানিক নামঃ Ziziphus mauritiana
জাতঃ কুমিল্লা কুল, সাতক্ষীরা কুল, রাজশাহী কুল, আপেল কুল (BSRMU কতৃর্ক উদ্ভাবিত) বাউকুল-১ (BAU কতৃর্ক উদ্ভাবিত) বারি কুল-১,২।
পুষ্টিগুনঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
ওষুধিগুনঃ কুল ও পাতাবাটা বাতের জন্য উপকারী। ফল রক্ত পরিস্কার এবং হজম সহায়ক। পেটে বায়ু ও অরুচি রোধে ফুল থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। শুকনো কুলের গুঁড়া ও আখের গুড় মিশিয়ে চেটে খেলে মেয়েদের সাদাস্রাবের কিছুটা উপকার হয়।
উৎপাদন এলাকাঃ বাংলাদেশের সর্বত্র উৎপাদন হয়। তবে রাজশাহী, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, নাটোর, পাবনা, নওগাঁ, ময়মনসিংথহ জেলাতে ভালো জন্মে।
ব্যবহারঃ কুল থেকে আচার ও চাটনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পর্ব-১ফল পরিচিতি পুষ্টগুন ও ওষুধিগুন (কাঁঠাল, আম,লিচু ও পেয়ারা)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২