এটা একটি টিউবওয়েল।
২০০৯ সালে, যখন আমি নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন প্রতিদিন এই টিউবওয়েল দিয়েই গোসল করতাম। স্কুল শেষে ক্লান্ত, ঘামাক্ত শরীর নিয়ে যখন ঠান্ডা পানির ঝাপটায় নিজেকে স্নান করতাম, তখন এক অপার স্বস্তি অনুভব করতাম। সেই মুহূর্তগুলো ছিল যেন প্রকৃতির পরম আশীর্বাদ।
আমাদের গ্রামে অনেক টিউবওয়েল ছিল, কিন্তু নানী বাড়ির টিউবওয়েলের পানি ছিল সবচেয়ে ঠান্ডা। এমন ঠান্ডা, যা শুধু শরীর নয়, মনে জমে থাকা ক্লান্তিকেও ধুয়ে মুছে দিতো। বিশেষ করে গরমকালে কিংবা রমজান মাসে এই টিউবওয়েল হয়ে উঠতো পুরো পাড়ার নির্ভরতার জায়গা। সবাই এখান থেকে পানি আনত—শুধু প্রয়োজন নয়, একরকম টান থেকেই।
আজ অনেক কিছুই বদলে গেছে।
নানী আর নেই।
জমি ভাগের আলোচনায় বাড়ির উঠোনে আগের সেই চেনা ছায়া নেই।
এখন এই বয়সে নানী বাড়িতে থাকা অনেকের চোখে অশোভন।
তবুও…
এই টিউবওয়েলটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
স্মৃতির মতো—নীরব, ঠান্ডা, অথচ গভীর।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৪