কোন সে উন্নয়নের পথে হাঁটছি বলো
এই গিঞ্জি শহর কি বাসের অযোগ্য নয়?
শূন্যে ভাসমান রাস্তা-নিচে রাজপথ
তবু কি থেমে আছে যানজট কিংবা দুর্ঘটনা?
দৌঁড়ের জীবন-
টেক্কা দিতে গিয়ে ওরা কেড়ে নেয় রোজ রোজ কত প্রাণ!
সাঁই সাঁই বেগে ছুটে আসা দৈত্যগুলো-হাওয়ার বেগে বলে উঠে.......
সামনে থেকে সরে খাড়া, নইলে মেরে দেবো
থেতলে দেবো-রাজপথ করে দেবো রক্তাক্ত!
এই যেনো ওদের অঙ্গিকার!
সরলে সর-নইলে মর।
হেল্পারগুলো ড্রাইভার হয়ে ক্ষমতা খাটায়
ওভারটেক করে নিয়ে যায় গাড়ী সম্মুখে:
আর কথা ছুঁড়ে হাওয়ায়, এ আমার পঙ্খীরাজ ঘোড়া যে;
চাকার তলায় কে পড়লো, কে বা মরলো,
তাতে আমার কী!
এই শহরের রাস্তায় চলমান বাসগুলো যেনো মুড়ির টিন
বাসগুলোর চোখে অশ্রু,
ওরা কান্না করলেই কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ।
ওদের গায়ে শত হাজার কাঁটাছেঁড়ার দাগ
ওদের চোখের পর্দাগুলো ফেটে চৌচির
কি ভয়ংকর ওদের পুরো দেহ-
তবু ওরা দাপটে পথ চলে
পিষে দেয় মানুষ, কেটে নেয় মানুষের হাত
থেতলে দেয় দেহ মানুষের-
ওদের পায়ে দানবের শক্তি আর
ওদের যারা চালায় তাদের দম্ভ যেনো আকাশচুম্বি
কেউ কিছু করতে পারবে না এমন মনোভাবে
ওরা ছুটে চলে পথ হতে পথে, শহর হতে বন্দরে,
ওদের থামায় কে?-কেউ নেই এখানে, এই শহরে!
©কাজী ফাতেমা ছবি
০৬-০৪-২০১৮
অট: এবার এক্সিডেন্টে অনেক মানুষ মারা গেল। এক বাপ হাসপাতালে যাবে, তার প্রথম সন্তান ভুমিষ্ট হয়েছে। যাওয়ার পথেই হুন্ডা এক্সিডেন্টে মারা গেল। সন্তান দেখল না তার বাবাকে, বাবাও দেখে যেতে পারলো না সন্তানের মুখ। আরেক জায়গায় স্বপরিবারের নিহত হয়েছে এক্সিডেন্টে। কান্না করারও কেউ রইলো না তাদের।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩