....................একটি ভৌতিক রাতের কাবজাব শিৎকার-চিৎকার....................
সন্ধার আকাশটায় তাকাতেই দূর দিগন্তের সোনালী আভাটা চোখে পড়লো। নজড়কারা, মায়াবী সৌন্দর্যের সে আলো ভেদ করে ছুটে চলছি আমার পথ ধরে। খন্ড খন্ড মেঘের টুকরা সোনালী আকাশটাকে ঢেকে দিচ্ছে। ক্রমেই মায়া জাল ভেদ করে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে আমার চলার পথটুকু। হঠাৎ পশ্চিম আকাশে নজড় পরতেই দেখি মেঘের অন্ধকার চেপে ধরেছে চাঁদের টুটি। প্রাণপণ চেষ্টায় যখন চাঁদটুকু মেঘের অন্ধকারের সাথে পেরে উঠেনি তখন সত্যি সত্যি আধা ভৌতিক হয়ে উঠলো চারদিক। এরই মাঝে আমি পথ চলছি আমার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
শশ্মানঘাটের এ রাস্তাটা বরাবরই লোকজন এড়িয়ে চলে কোন এক অজানা কারনে। দুপাশের ঘন বাঁশঝাড়, আশাপাশে মানুষের কোন বসবাস না থাকায় এ রাস্তাটা আসলেই কিছুটা ভৌতিক লাগে। লোক মুখে শুনেছি অমাবস্যার অন্ধকারে এ শশ্মানঘাটে অস্তিত্বহীনদের মেলা বসে। ফিসফাস আওয়াজ হয়, অট্রহাসির শব্দ শোনা যায়। কিন্তু কেউ কখনও কাউকে দেখেনি। সেদিন অস্তিত্বহীন শব্দটা শুনে আমি হাসি। একজন ধমক দিয়ে বললো, ওদের নাকি এভাবেই বলতে হয়। ভূত বললে নাকি ওদের সাহস বেড়ে যায় তখন মানুষদের ভয় দেখায়। আমি আবার হাসি। এবার ভূতখেকো মজিদ ভাই খেকিয়ে উঠে। আমার নাকি সাহস বেড়ে গেছে। কিছুটা দৃষ্টিকটু তার দাঁতের দিকে আমার নজর পরলো দেখলাম দাঁত থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
শো শো বাতাস বইছে। মেঘেরা প্রাণপণে এদিক ওদিক ছুটছে। এরই মাঝে চাঁদটুকু কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা যায়। আমি জোড়ে হাঁটা শুরু করলাম। যে করেই হোক বৃষ্টির আগেই শশ্মানঘাটটা পার হতে হবে। বাতাসে বাশেঁ বাশেঁ সংঘর্ষের চিৎকার ভেসে আসছে। প্রকৃতির আকুলতা সাথে তাল মিলিয়ে বাঁশঝাড়ের প্রাণীগুলো করুন সুরে ঢেকে যাচ্ছে। আমার সেদিকে নজড় দেওয়ার সময় কোথায়? আমি ছুটছি আমার গন্তব্যে। বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে, সেই সাথে কিছুটা ঠান্ডাও লাগছে। বুঝতে পারলাম অল্প দূরে কোথাও হয়তো বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। মনে মনে ভাবছি যে করেই হোক বৃষ্টির আগেই শশ্মানঘাটটা পার হতে হবে। আশে পাশে কোন মানব বসতি বা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন কিছু নেই। যদিওবা ঠিক শশ্মানঘাট টার উপরে একটা কালী মন্দীর আছে। কিন্তু সেখানে একা একা দাঁড়ানো কি সম্ভব? ভাবছি আর দৌড়াচ্ছি।
নাকে ধূপের গন্ধ আর পুড়া কয়লার গন্ধ ভেসে আসলো। বুঝতে পারছি শশ্মানঘাটের খুব কাছে পৌছে গেছি। সামনে দিয়ে চোখ জ্বলজ্বল করে কিছু প্রাণী সরে গেলো শশ্মানঘাট টার দিকে। রাতের অন্ধকারে শেয়ালেরা নদীর পাড়ের এ নির্জন শশ্মানঘাটটায় আসে কাঁকড়া ধরে খাওয়ার জন্য। শো শো একটা আওয়াজ আসছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বৃষ্টি ভিজিয়ে দিলো। দৌড়ে কালিমন্দিরটার বাড়ান্দাতে উঠলাম। হাফাচ্ছি। লুঙিটা কাঁচা মেরে কোমরের সাথে বেঁধে দাড়িঁয়ে আছি। ভয় কাটানোর জন্য কিছুটা অন্য মনস্কভাব তৈরী করার চেষ্টা করলাম।
ছপাৎ...... ছপাৎ....... শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্ধকারে দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। রাস্তায় জমে যাওয়া বৃষ্টির পানির উপর দিয়ে কেউ দৌড়াচ্ছে সেটা স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে। আমি উপুর হয়ে মন্দিরের বাড়ান্দাটায় বসে পড়লাম। কেউ একজন মন্দিরের দিকেই দৌড়ে আসতেছে। আমি মাথা নিচু করেই 'কুউহ'র মতোন শব্দ করলাম। লোকটা বাড়ান্দার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। ঘন ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ এ বৃষ্টির মাঝেও শোনা যাচ্ছে। আমি বসে থেকেই প্রাণপণে চিৎকার দিয়ে বললাম 'কেডা?'। মনে হলো কন্ঠ দিয়ে কোন শব্দ বের হলোনা। কিন্তু লোকটা উল্টো পথে আবার দৌড় শুরু করলো। আমিও কি বুঝে লোকটার পিছনে দৌড়ানো শুরু করলাম জানিনা। কিন্তু লোকটি সম্ভবতঃ আমার দৌড়ানির শব্দ পেয়ে আরো জোড়ে দৌড় দেওয়া শুরু করলো। আমিও লোকটির পিছনে জোড়ে দৌড়াতে থাকলাম।
কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলাম ঐ লোকটির সামনে দিয়ে আরেকজন দৌড়াচ্ছে। আমিতো অবাক। তা দেখে আমার সামনের লোকটি পাথরের মতো দাঁড়িয়ে গেলো। আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম। সবার সামনের লোকটিও দাঁড়িয়ে গেলো এবং আমাদের দিকে আসা শুরু করলো। বৃষ্টির মাঝেও ক্রমাগত ঘামছি। ধীর পায়ে পিছনের দিকে হাঁটতে থাকলাম খুব সাবধানে, সর্ন্তপনে। ভয়ে ভয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম আরো কেউ আছে কিনা দেখার জন্য। তখনি সামনে ঝোপ করে শব্দ হলো। দেখি সবার সামনে থাকা লোকটি লাফ দিয়ে ধান ক্ষেতে পড়ে গেলো আর আমার সামনের লোকটি সোজা দৌড় শুরু করলো বাজারের দিকে। আমিও উনার পিছনে পিছনে দৌড়াতে থাকলাম। আর পিছন থেকে ধানক্ষেত থেকে শোনা যাচ্ছে স্বদেশ পাগলার গালি।
সবাইকে রইলো ভূত মেলায় নেমন্ত্রণ
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন