ESWLমেশিন যেখানে রোগীকে শোয়ানো হয়।
সারা বিশ্বে মানুষের কিডনীষ্টোন এখন একটি কমন রোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রত্যেক বছর প্রায় ৩মিলিয়ন মানুষ কিডনীষ্টোন সমস্যার জন্য ডাক্তারের কাছে যায় চিকিৎসা নিতে এবং হাফ মিলিয়নেরও বেশী মানুষ কিডনীষ্টোন অপসারণ করে।
কিডনী পাথর কিভাবে অপসারণ করা যায়
কিডনী পাথর অপসারন করার জন্য সব সময় যে সার্জারীর প্রয়োজন পড়ে তা কিন্তু নয় । বেশিরভাগ কিডনী পাথর প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে রোগীকে প্রচুর পরিমানে পানি এবং তরল জাতীয় জিনিস পান করতে হয় এবং সাথে কিছু মেডিসিনের প্রয়োজন পড়ে।তবে পাথর যদি আকারে বড় হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেটা অস্ত্রপাচারের সাহায্যে অপসারন করা লাগবে । সুতরাং প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনী পাথর অপসারনের ব্যবস্থা নিলে সেটা হয় মংগলজনক।
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনী পাথর অপসারণের জন্য যে সব পদ্ধতি গ্রহন করা হয় সে গুলোর মধ্যে Extracorporeal Schock Wave Lithotripsy হলো সব চেয়ে সহজ সুবিধাজনক পদ্ধতি।
খুব কাছে থেকে ESWL মেশিন।
Extracorporeal Schock Wave Lithotripsy
Extracorporeal Schock Wave Lithotripsy সংক্ষেপে বলা হয় (ESWL.) ইলেকট্রিক শব্দ তরংগ, যার সাহায্যে কিডনীর পাথর টুকরো টুকরো করে ভাংগা হয়। এবং ভাংগা পাথরের টুকরো গুলো প্রস্রাবের সাথে শরীরের বাহিরে চলে আসে। এ পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হলো কোন প্রকার অস্ত্রপাচার ছাড়াই শরীরের ভিতর থেকে পাথর অপসারন করা হয় । বিশেষ করে গ্লডব্লাডার এবং লিভারের পাথর অপসারনের জন্য এ পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয়।
তবে পাথরের আকার যদি বড় হয় তাহলে ESWL পদ্ধতি কার্যকর হবে না । পাথরের আকার 5mm এর কম হতে হবে।
ESWL পদ্ধতি ব্যব হারের সুবিধা...
-- অপরেশনের টাইম লাগে মাত্র ৪৫-৬০মি. ।
-- রোগী কে হাসপাতালে একদিনের বেশি থাকা লাগে না।
-- ৩-৪ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ নিজে নিজেই করতে পারে।
-- ৮ দিনের ভিতর রোগী তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে
যে সব কারনে ESWL পদ্ধতি ব্যবহার করা বিপদজনক...
---- যদি রোগী গর্ভবতী হয়। শব্দ তরংগ এবং X-ray-- এর কারনে ভ্রুনের ক্ষতি হতে পারে।
---- যদি রোগীর শরীরে রক্তপ্রবাহের কোন সমস্যা থাকে।
---- যদি রোগীর কিডনী বা প্রস্রাবে কোন ইনফেকশন থাকে।
---- যদি রোগীর কিডনী ক্যান্সার থাকে।
---- যদি রোগীর কিডনীর আকার ও গঠন অস্বাভাবিক থাকে।
ESWL করার পুর্বে যা যা করতে হয়...
---- আগের দিন মধ্যরাতের পর রোগীকে কোন প্রকার খাবার খাওয়া যাবে না। অর্থাৎ রোগীকে সম্পূর্ন খালি পেটে থাকতে হবে।
---- রোগী কোন ওৌষুধ সেবন করলে পূর্বে থেকেই ডাক্তারকে জানাতে হবে।
----- ---- এর দিন রোগীকে আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে যাতে খুব স হজে পোশাক রিমুভ করা যায়।
---- রোগীর শরীরে কোন প্রকার গ হনা থাকলে খুলে রাখতে হবে।
---- রোগিকে খুব দূরে থেকে জার্নি করে না আসাই ভালো।
ESWL- এর কিছু জটিলতা...
---- টুকরো টুকরো পাথর প্রস্রাবের সাথে বের হওয়ার সময় ব্যথা হতে পারে।
---- পাথরের টুকরো গুলো প্রস্রাবের গতি পথ ব্লক করে দিতে পারে।
---- প্রস্রাবে ইনফেকশন হতে পারে।
---- জ্বর হতে পারে।
---- কিডনীর আশে পাশে ব্লিডিং হতে পারে।
তবে জটিলতার আশংকা খুব কম।
লেখাটা আমার নিজের অভিগ্গতা এবং গুগল মামার সহায়তায় লিখেছি। ভুল হলে পাঠক ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মাত্র ২দিন আগে আমি এই অপারেশনটি করিয়েছি।