ফুটবল খেলায় মহামেডান আবাহনী থাকে নির্বাচনে জয় ও পরাজয় থাকে, তেমনি একটি যুদ্ধেও পক্ষ বিপক্ষ থাকে। একটি পক্ষ জয়ী হয়, অন্য পক্ষটি বিজয়ী হয়। যে পক্ষটি পরাজয় বরন করে সে পক্ষ যে ন্যায়ের পক্ষে নয় তা সবসময় নিশ্চিত করে বলা যায় না। যেমন ওহুদের যুদ্ধে প্রিয় নবী ( দঃ ) আহত হয়েছিলেন, তাই বলে কি তা ন্যায়ের যুদ্ধ ছিল না?
সংসদ নির্বাচনে মহাজট বিজয়ি হয়েছে। ৪ দলীয় জটের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে কারচুপির কথা বলেছেন। প্রখাত ব্লগার উন্মু আব্দুল্লাহ নির্বাচনী রায় প্রভাবিত করার কথা বলেছেন। আমি তবু মেনে নিচ্ছি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও মহাজট বিজয়ী হত। ৪ দলীয় জটের পরাজয়ের একটি প্রধান কারন বিএনপি দলীয় নেতা মন্ত্রীদের দুর্নীতির অভিযগ। লক্ষ করে থাকলে জামাত নেতাদের ভট কমে নি। যদিও আমরা মাত্র ২ টি আসন পেয়েছি তবু পরাজয়ের ব্যাবধান খুব কম এবং অনেক আসনে আমাদের ভট বেড়েছে। ক্ষমতায় থেকে জামাতের মন্ত্রীদের সততার ফসল হিসেবে এ সাফল্যকে দেখা যায়।
মহাজট জয়ী হয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অত্যাচারের খবর পত্র-পত্রিকায় আসে। তার সাথে সবাই মুক্তিযুদ্ধে অপরাধের শাস্তি দাবি করেছেন। আমি বলতে চাই যে আমরাও যে কন ধরনের অপরাধের শাস্তি চাই। মুক্তিযুদ্ধে জামাতের অনেক নেতা অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। অনেকে পাকিস্তানে ভুট্ট এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাজের সমালচনা করেছেন। আমরা বাঙ্গালি মুসলমান হয়ে পাশের মুসলমানের জন্য কি আমাদের প্রান কাঁদে না? আমাদের অনেকে শান্তি কমিটি গঠন করে অস্থির যুদ্ধের সময়ও সেবা করেছেন।
সেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাহায্য চেয়ে ভাল কাজ করেছেন। প্রথমে পাকিস্তান, আমেরিকা, চীনের মত দেশের বিচার হতে হবে যারা স্বাধীনতাকে সমর্থন করে নি। এরপর দেশের যারা বিভিন্ন হত্যা, ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল, তাদেরও মুক্তি দেয়া হবে না।
যুদ্ধপরাধী কন দলের নয়। বিজয়ের পরেও যারা হত্যা লুন্ঠন ও ডাকাতি করেছেন তাদেরকে মুক্তিযদ্ধা বললে মুক্তিযুদ্ধের অপমান হয়। ভাল মন্দ মিশেই মানুষ। কন দলের সবাই ভাল, কন দলের সবাই খারাপ তা কখন হবে না। অনেক মুক্তিযদ্ধা আছেন জামাতের নেতা হয়েছেন, অনেক লুটপাতের হতা আছেন যারা আওয়ামলীগ করেন। তাই দলমতনির্বিশেষে যুদ্ধপরাধীর বিচার চাই। অপরাধী যেই হক সাজা তাকে পেতেই হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাকশালীরা যেমন দলীয় করন করেছে যুদ্ধপরাধীর বিচারও তেমন দলীয়করন না হক।