somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘সাংবাদিকতা-অপসাংবাদিকতা’র সূত্র ধরে

০২ রা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘সাংবাদিকতা-অপসাংবাদিকতা’র সূত্র ধরে
মেহেরুল হাসান সুজন

বগুড়া অঞ্চলে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে- ‘তাওয়া (কড়াই) গরম থাকতে থাকতে রুটি ভেজে নিতে হয়’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রবাদটি বেশ সত্যই বটে। কোনো ইস্যু টাটকা থাকতে থাকতেই সে বিষয়ে কথা বলা জরুরি। তাওয়া ঠা-া হয়ে গেলে আটার খামির যতই নরম করি না কেন তা আর রুটি বানানোর অবস্থায় থাকবে না। সাংবাদিকতা-অপসাংবাদিকতা নিয়ে গত কয়েকদিনে সোনার দেশে প্রতিবেদন-উপসম্পাদকীয়তে বেশ আলোচনা চলছে। এই আলাপ তোলাটা বেশ জরুরি হয়ে পড়েছিলো। তাই শ্রদ্ধাভাজন সাংবাদিক আনু মোস্তফা ও রাশেদ রিপনকে বিন¤্র অভিনন্দন। আলোচনার সূত্রপাত করার কারণে তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। তাদের আলোচনার রেশ ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার দুঃসাহস দেখানোর জন্য শুরুতেই তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিচ্ছি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে অতি সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরে সাংবাদিকতা চর্চা শুরু করেছি। তাই নগর সাংবাদিকতা নিয়ে বলার মতো বয়স এখনো আমার হয় নি বলেই বোধ করছি। আমার আলোচনার ক্ষেত্র তাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েই রাখবো। বিষয় কিন্তু একই থাকবে। সাংবাদিকতা-অপসাংবাদিকতা কিংবা সাংবাদিক-সাংঘাতিক। পাশাপাশি মতিহারের সবুজ চত্বরে সাংবাদিকতার অস্তিত্বের যে নড়বড়ে দশা তাতেও খানিকটা আঁচ পড়তে পারে এই লেখায়।

সাংবাদিকতা করার মানসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দামি’ বিভাগ বলে পরিচিত বেশ কয়েকটি বিভাগে ভর্তির সুযোগ এড়িয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। সাংবাদিকতা চর্চার শুরু সেই প্রথম বর্ষ থেকেই। মাসখানেক হলো অ্যাকাডেমিক পাঠ শেষ হয়েছে। এই সাত বছরে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে রাজশাহীর সাংবাদিকতার স্বরূপ কিছুটা দেখেছি অল্প জ্ঞানে সমৃদ্ধ চোখে। অপসাংবাদিকতার যে বিষয়গুলো অগ্রজ রাশেদ রিপন ও আনু মোস্তফা তুলে ধরেছেন তার সঙ্গে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার চালচিত্রটার বেশ মিল পেয়েছি বলেই আজ এই লেখার জন্ম দিতে উৎসুক হয়েছি।

আমার বেশ ভালোই মনে আছে ২০০৫ সালের মার্চ মাসে যখন সাংবাদিকতা শুরু করি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাত্র কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। তাদের সংখ্যা তখন বড়জোর ১০ জন হবে। ভাবতে বেশ ভালোই লাগে এখন সেই সংখ্যা ৪০ এর কোঠায়। ক্যাম্পাসে এখন সাংবাদিকের সংখ্যা কিন্তু এর দ্বিগুণ। তাহলে বাকিরা কারা? কলা অনুষদ আর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক ছিলেন অনেক আগে থেকেই। এখন বিজ্ঞানের বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরাও এই চর্চায় যুক্ত হয়েছেন। একে আমি কখনোই নেতিবাচক হিসেবে দেখি নি। কিন্তু নেতিবাচকতা ঘটে গেছে এর ভেতরেই। আবার ওই যে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা চর্চার সংখ্যা বললাম, ওই সংখ্যার ভেতরেও কিন্তু নেতিবাচকতা রয়েছে। হয়তো এবার ছোট মুখে বড় কথাটা লিখেই ফেলবো-সবমিলিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নেতিবাচক সাংবাদিকতার পাল্লাই ভারি।

কথাটি একেবারেই আমার নিজস্ব মতামত। কোনো পরিসংখ্যান বা গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য নয়। শুধু নিজে এই মতিহারে সাংবাদিকতায় জড়িত থাকার অভিজ্ঞতা থেকে যেটুকু পর্যবেক্ষণ করেছি তা-ই এই লেখায় তুলে ধরছি। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় এই নেতিবাচকতার জের বা সূত্র কোথা থেকে? সেটি মোটামুটি গবেষণার বিষয় হতে পারে। শুধু মোটাদাগে বলতে পারি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের সংগঠন তৈরির ঝোঁক আর বিভক্তি থেকেই এই নেতিবাচক সাংবাদিকতার সূত্রপাত। তবে আজ সেদিকে যাবার ইচ্ছে নেই। নেতিবাচক সাংবাদিকতার অন্য দিকে একটু নজর দেবার ইচ্ছেটাই আজ বেশি। কারণ, রাশেদ রিপনের প্রতিবেদন এবং আনু মোস্তফার উপসম্পাদকীয় আমাকে সেদিকেই টেনেছে। এখন প্রসঙ্গে আসি। এই যে প্রায় ৮০ জন সাংবাদিক এই ক্যাম্পাসে, এরা কোন গণমাধ্যমে কাজ করেন? বাংলাদেশের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর যেগুলো বেশ প্রচলিত তেমন সংবাদপত্রের সংখ্যা ৮০ হবে বলে তো মনে হয় না। তাহলে এরা কোথাকার পরিচয় দিয়ে বেড়ান? অনেকের তো বেশ শক্তপোক্ত পরিচয়পত্রও রয়েছে। বাস্তবতা হলো এই ৮০ জনের বেশিরভাগই অনলাইন সাংবাদিকতায় যুক্ত বলে জানি আমরা। তারা বিভিন্ন অনলাইন সংবাদপত্রের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। এদের সংখ্যা এতোটাই বেড়ে গেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনলাইন সাংবাদিকদের পরিচয় দেয়ার বহরে আমরা কাগজে কাজ করি তারা বেশ আতঙ্কেই থাকি। অনলাইন সাংবাদিকতা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। দেশের সাংবাদিকতায় গতি আনতে এই সাংবাদিকতা বেশ জরুরিই ছিলো। কিন্তু এসব অনলাইনের ঠিকানা নিয়ে ইন্টারনেটে ক্লিকের পর ক্লিক করে যদি বারবার ‘ব্রাউজার ক্যান নট ফাইন্ড দ্য সার্ভার’ লেখাটাই চলে আসে, তাহলে আর কী বলার আছে! কিংবা যদি সাইটে ঢুকে দেখা যায় আমার সহকর্মীটির অনলাইন সংবাদপত্রটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে বছর দেড়েক আগে বা এখনো ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’ লেখা দেখা যায়-তবে আর কী বলবো! বাস্তবতা হলো এ ধরনের সাংবাদিকে ভরে গেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার এই শেষ বয়সে শিক্ষকদের কাছ থেকে আমাদের শুনতে হয়- ‘তোমাদের পেছনে দুদিন ঘুরলেই তো এখন একটা সাংবাদিকতার কার্ড পাওয়া যায়। আমাকেও দিও একটা।’ শিক্ষক আমার হাসতে হাসতে কথাটুকু বললেও এটি হজম করতে কতখানি কষ্ট হয় তা আমার অন্তরই জানে। তবে ঘটনা কিন্তু সত্য। আমার শিক্ষক কিন্তু একটুও বাড়িয়ে বলেন নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো সাংবাদিকরা এতোটাই উৎপাদনক্ষম যে কয়েক বছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ফেলেছি।

আমাদের উৎপাদিত সাংবাদিকের সংখ্যা এতোটাই বেশি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সংবাদ সম্মেলনে এখন আয়োজকরা বেশ বিব্রত হয়ে পড়েন। খুব সম্প্রতি একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় করি। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন সাংবাদিকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করে। প্রথমে তারা সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিয়ে বেশ সংশয়ে পড়েছিলেন। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তারা। আমি বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেও কর্মশালায় যোগ দেয়ার মতো তেমন সাংবাদিক পাচ্ছিলাম না। কিন্তু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার পরই টের পেলাম এবার আমি নই, আয়োজকরাই বিব্রত হয়ে পড়বেন। জানি না তারা শেষ পর্যন্ত বিব্রত হয়েছিলেন কি না, কিন্তু আমি শেষতক চরম বিড়ম্বনায় পড়ে গেলাম। কারণ, একেকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এমন সব অনলাইন সংবাদপত্রের পরিচয় দিচ্ছেন তাতে আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম।

এ তো গেলো একটা দিক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনার খবর যোগাড় করতে গিয়েও এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় আমাদের। সেদিন একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘ভাই, আপনার হলে তো দেখি সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক।’ এই বিবরণও সত্য। মোটামুটি ১৪ জন সাংবাদিক থাকেন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলেই। রাজনৈতিক সরকারের আমলে আমরা আগে হলে থাকাকে নিরাপদ মনে করতাম না। আর এখন প্রথম বর্ষ-দ্বিতীয় বর্ষে পড়া সাংবাদিকরা প্রায় সবাই হলে থাকেন। হলে তাদের দাপট নিয়েও শোনা যায় বেশ চটকদার গল্পও। আমি বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্র হলেও ডাইনিংয়ে খুব একটা নিয়মিত না। দু-চারজন কর্মচারী ছাড়া অন্যরা তেমন চেনেও না আমাকে। অনেক দিন পর সেদিন ডাইনিংয়ে খেতে গেলাম। পানি দিতে এসে একজন কর্মচারী একজন সাংবাদিকের নাম করে জানতে চাইলেন, ‘ভাই উনি খুব বড় সম্বাদিক না?’ আমি হেসে কারণটা জানতে চাইলাম। বললেন, ‘না কয়েকদিন আগে ডাইনিংয়ে ওনাকে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় আমাদের একজনকে যা তা বুলে গালি দিয়েছে।’ আমি কিছু বলতে পারলাম না। কারণ, সম্ভবত যে সাংবাদিকের কথা বলা হচ্ছিলো তিনি প্রথম বষ (পুরাতন) বা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হবেন। তার ব্যাপারে হলের একজন কর্মচারীর এমন অভিযোগ আমাকে ব্যথিত করলো। বাস্তবতা হচ্ছে, সাংবাদিকতার জোরে হলে হলে এখন সাংবাদিকদের নামে এমন ক্ষমতাচর্চাকারীও ঢুকে পড়ছে। এর পরিণতি খুব একটা ভালো হবে বলে মনে হয় না।

কিছুদিন আগে সতীর্থ সাংবাদিক আনিসুজ্জামান উজ্জল তার ব্লগে লিখেছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নতুন এক ধারার সাংবাদিকতার চল শুরু হয়েছে। সেটি হলো ‘সিসি’ (ই-মেইলে একই ফাইলের কপি একাধিক প্রাপকের কাছে পাঠানো) সাংবাদিকতা। এই সিসি সাংবাদিকতা এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। দু-চারজন এখন নিউজ লেখেন। এরপর তা সিসির মাধ্যমে কপির পর কপি চলে যায় অন্যের কাছে। সেগুলোতে ওপরে খানিক বদল করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন অন্যরা। এভাবেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সাংবাদিকের সাংবাদিকতা। আশ্চর্যের একটি ঘটনা গত জানুয়ারির দিকে ঘটেছে। আলোচিত ফেলানী সীমান্ত হত্যা নিয়ে সোনার দেশে আমার একটি উপসম্পাদকীয় ছাপা হয় সে সময়। এর কয়েকদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিক ওই লেখাটির শিরোনাম ও প্রথম প্যারা বদল করে বাকিটা হুবহু রেখে সোনার দেশেই পাঠিয়ে দেন উপসম্পাদকীয় হিসেবে। কত অযোগ্য সংবাদকর্মী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় ঢুকে পড়েছে তা এই উদাহরণেই স্পষ্ট হয়। ওসব প্রমাণপত্র আমার কাছে সংরক্ষণ করা আছে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে মিলিয়ে নিতে পারবেন সে আশায় লেখা দুটো রেখে দিয়েছি যতœ করে।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক প্রসঙ্গই আসে। কিন্তু পাঠকের ধৈর্য আর কাগজের কলেবরের দিকেও দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তবুও সবকিছু ছাপিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রসঙ্গ। একসময় ক্যাম্পাসে দেখেছি কোনো ছাত্রসংগঠনের নেতা বা ক্যাডার মোবাইল ফোনেও যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিককের হুমকি বা গালাগালি দিতো, তাহলে পরদিন অন্তত মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করে প্রতিবাদ জানাতাম আমরা। আর এখন দিনের আলোয় আমাদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ও মুখে অশ্রাব্য ‘গোষ্ঠীউদ্ধার করা’ বাক্য নিয়ে কেউ তেড়ে আসলেও আমরা ‘না ঠিক আছে, কোনো ব্যাপার না’ বলে মৌন থাকি। খুব অবাক শোনালো যখন জানলাম, কয়েকদিন আগে একটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাংবাদিকের জামার কলার ধরে কয়েক ইঞ্চি শূন্যে তুলে হুমকি দিয়েছে ছাত্রসংগঠনের কয়েকজন ক্যাডার। রাতের সে ঘটনা ওই সাংবাদিক বেমালুম চেপে গেছে। জানি না কী কারণে তার এমন মৌনতা অথবা ‘কিল খেয়ে কিল হজম করা’র সংস্কৃতি। তবে ঘটনাগুলো সামগ্রিক অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার জন্য অশনিসংকেতের বার্তাই দেয়। টান পড়ে অস্তিত রক্ষার সংগ্রামেও।

আসলে রাজশাহী মহানগরীর সাংবাদিকতার যে নেতিবাচক দশা তার সঙ্গে অনেকাংশেই এখন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতার চিত্র সমান হয়ে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজির রমরমা সংস্কৃতি যে চালু হবে না-তা বলা থেকে বিরত থাকবই বা কী করে! ‘কিল খেয়ে কিল হজম করা’র সংস্কৃতি যখন প্রতিবাদী মতিহারের সাংবাদিকদের অন্তরে ঢুকে পড়েছে তখন আগামীতে এর চেয়ে ভালো পরিস্থতি আশা করাও যে দুষ্কর। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের সংবাদ তৈরির বিষয়বস্তু এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে গেছে যে, আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের জনসংযোগ দফতরটি বিলুপ্ত ঘোষণা করবে। কারণ, তাদের যুক্তি হবে-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরাই তো দফতরটির ভূমিকা পালন করছে, এখন আর টাকা খরচ করে আলাদা দফতর রাখার দরকার কী!

সোনার দেশ
০২ নভেম্বর ২০১১
Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×