৩ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত অর্থাৎ ৪ জানুয়ারির শুরু থেকে একটু একটু করে নেমে আসে তুষার। রোড লাইটের নিয়ন আলো কাচের জানালাকে ভেদ করে এক ঝলক চোখে এসে পড়তেই মনে হলো, আবহাওয়া পুর্বাভাসকে সত্যি প্রমান করে আলো-আধারের পর্যাবৃত্ত তরঙ্গ ছায়া শুরু হয়ে গেছে। তখনই ক্যামেরা হাতে বাইরে এসে একটি ছবি তুলে নেওয়া।
তারপর ঘুম, রাতে শেষে ঘুম থেকে উঠে প্রস্ততি শেষে ল্যাবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে বাইরে উকি দিতেই মনটা খুশিতে ভরে গেল। কি অপরুপ দৃশ্য, প্রকৃতি নিজেই সেজেছে শুভ্রতার অলংকারে। ক্যামেরাটা হাতে নিলাম। বের হয়েই বাসার সামনে থেকে একটি ছবি নিলাম। তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে গেলাম, অন্যরাও নিশ্চয় আসবে সবাই মিলে ছবি নেওয়া যাবে, উপভোগ করা যাবে কয়েক দশকের রেকর্ড পরিমান তুষারপাতের দৃশ্য। কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলা। ভালো না লাগলে কিন্ত মাইনাস দিয়েন না।

১) মধ্যরাতে তুষার যখন শুরু হয় তখন বাসার সামনে থেকে

২) বাসা থেকে বের হয়েই

৩) ক্যাম্পাসে ঢুকতেই বিয়ে বাড়ির গেট সাজানো তুষার দিয়ে!

৪) প্রধান লেকটিতে চলে এসেছে অনেক বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী

৫) লেকের ধারে বসার বেন্চগুলোতে তুষার এসে ঘুমোচ্ছে

৬) তুষারে উপরের দৌড়াদৌড়ি খেলা

৭) বালিকা বলে এই ভ্দ্রমহিলাকে ছাড় দেওয়া হয়নি
৮) তুষার দিয়ে আক্রমন

৯) ছাড় দেওয়া হয়নি বড়ভাই ব্লগার শুভ৭৭কে
১০) শুভভাই নিজেও মনে হচ্ছে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে উঠেছিল
১১) ক্যাম্পাসে রাখা প্লেনটিকে ঘিরে ছিল তুষার

১২) মঙ্গোলিয়ান মেয়েটি তুষার দিয়ে বানিয়েছিল সাদা নারী
১৩) মনে হচ্ছে স্বপ্ন

১৪) তুষার আবৃত পড়ন্ত বিকেলের দৃশ্য
১৫) ক্যাম্পাসের একটি পার্ক

১৬) গাছটি দেখে সত্যজিৎ রায়ের আঁকা ছবিটির কথা মনে পড়েছিল

১৭) যে লেকের উপর বেশি ঘুরাফেরা হয়েছিল, সামারের দৃশ্য

১৮) সামারে নেওয়া ক্যাম্পাসের প্রশাষনিক ভবনের সামনে

১৯) তুষারে ঢাকা প্রশাষনিক ভবনের সামনে!

শুভ৭৭ এর মত আমাদের সাথে ছিল সামুর আরো অনেক ব্লগারও! কয়েকজন: হুমায়ুন_কবির_হাকিম, বিলাস আহমেদ, সমুদ্রের তীরে। এই ছবি পোষ্টটি তৈরি করার সময় মনে হলো সামুতে সরাসরি কম্পিউটার থেকে ছবি নেওয়ার ফিচারটি যদি থাকতো তাহলে বেশ সুবিধা হতো। তারপরও সামুর পাতায় নিজে হাতে তোলা কয়েকটি তুষার দৃশ্য জমা রাখতে পেরে আমার ভালো লাগছে।