somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি কি কানাডা'র নতুন অভিবাসী হয়ে আসছেন? তাহলে এ লেখাটি আপনারই জন্যে - পর্ব ৭

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কানাডা'র নতুন বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্টদের জন্য তথ্যমূলক ধারাবাহিক লেখার এই পর্বে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছি। বিগত পাঁচটি পর্ব প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত অনেকে ই-মেইলে আমাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন।
পর্ব ১ , পর্ব ২ , পর্ব ৩ , পর্ব ৪ , পর্ব ৫
পর্ব ৬
ব্যাক্তিপর্যায়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিনা বলে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু যারা প্রশ্ন করেছেন এবং করছেন, তাদের সেই সব 'Uncensored' প্রশ্নগুলো হুবহু তুলে দিয়ে সেগুলোর সম্ভাব্য উত্তর নিয়েই আজকের আয়োজন। প্রসঙ্গত: আবারও জানিয়ে রাখছি, প্রশ্নসমূহের উত্তরগুলো একান্তই আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত মাত্র। কানাডার নতুন ইমিগ্র্যান্ট বিষয়ক কারও যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে ব্লগের এই প্ল্যাটফরমে সেটি ব্যাক্ত করার অনুরোধ রইলো। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করবো সঠিক উত্তরটি রেফারেন্সসহ দেবার। পর্ব ৬ এবং পর্ব ৭ - এই দু'টি পর্ব নিয়মিত আপডেট করার ইচ্ছে রয়েছে। চলুন তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করা যাক:

প্রশ্ন ১: সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার কোন নাম রেজিস্ট্রেশন করা নেই বিধায় আপনার ব্লগে কোন প্রশ্ন/ কমেন্ট করতে পারছিনা। আপনার সাথে যোগাযোগের উপায় কি?
উত্তর: [email protected] এই ঠিকানায় আপনার প্রশ্নগুলো পাঠিয়ে দিন। আর উত্তরের জন্যে সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার পাতায় চোখ রাখুন। অথবা ফেসবুক পেইজেও আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন Facebook page: Click This Link Email: [email protected]

ব্লগে রেজিস্ট্রেশন এবং কমেন্ট বিষয়ক প্রশ্নের জন্যে সম্মানিত মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সময়াভাবে যদি আপনার ইমেইল-এর উত্তর না দিতে পারি, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

প্রশ্ন ২: আমি সম্প্রতি স্বপরিবারে কানাডার ইমিগ্রেশন ভিসা পেয়েছি। টরন্টোতে আমার কোন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু নেই যাদের মাধ্যমে আমি বাসাভাড়া অথবা এয়ারপোর্ট পিক-আপ বিষয়ে সাহায্য পেতে পারি। এ বিষয়ে আপনার সাজেশন কি?
উত্তর:
১. যেভাবেই হোক, কোন না কোন পরিচিত মানুষ খুঁজে বের করুন যিনি আপনাকে শুরুতে বাসা ভাড়া না করে দিক, অন্তত: মাসখানেক থাকার জায়গা যেন করে দেন। নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে টরন্টোর পরিচিত মানুষের সাহায্য ছাড়া শুরুর দিনগুলো আসলেই কঠিন।
২. টরন্টো থেকে প্রতিসপ্তাহে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন বাড়িভাড়ার অ্যাডভারটাইজমেন্ট থাকে।
৩. kijiji.ca হাউজ অথবা রুম রেন্টাল-এর জন্যে ভালো একটি ওয়েবসাইট
৪. এয়ারপোর্ট পিক-আপ ট্যাক্সি-এর জন্যে টরন্টোর পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।

প্রশ্ন ৩: World Education Services এর মাধ্যমে আমি নিজের শিক্ষাগত কাগজপত্র Varify করিয়েছি। আমার Spouse-এর গুলোও কি করাবো?
উত্তর: করিয়ে আনাটাই ভালো। বিশেষ করে ভবিষ্যতে কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এখন World Education Services -এর দ্বারা পরীক্ষিত কাগজ প্রদান করতে বলে।
আপডেট: আমার সাজেশন হবে, যদি আপনার কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন ভিসা হয়ে থাকে এবং অদূরভবিষ্যতেই আপনি কানাডায় চলে আসবেন, তাহলে World Education Services থেকে কাগজ প্রসেসের ঝামেলায় না গিয়ে কানাডায় আসার পর ICAS এর মাধ্যমে কাগজ প্রসেস করুন। আর যদি বাংলাদেশে বসেই আপনার উচ্চশিক্ষার জন্যে কাগজ প্রসেস করতে হয়, সেক্ষেত্রে World Education Services থেকে তা করুন।

প্রশ্ন ৪: আমার বাচ্চার চাইল্ড ইমিউনাইজেশন কার্ড/ ভ্যাক্সিনেশন কার্ড বাংলায় লেখা, সেটি ইংরেজি ভার্সন কিভাবে যোগাড় করবো?
উত্তর:
১. যেখান থেকে বাচ্চাকে ভ্যাক্সিন দিয়েছেন সেখানে যোগাযোগ করুন।
২. মহাখালীতে EPI ভবন থেকে Blank Immunization Card যোগাড় করে সেটিতে নিজ দায়িত্বে ইংরেজিতে লিখে নিন।
৩. বাংলায় লেখা ভ্যাক্সিনেশন কার্ডও টরন্টো নিয়ে আসতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবেনা, কারণ বাংলাদেশ থেকে বাংলাভাষায় নিয়ে আসা ভ্যাক্সিনেশন কার্ডের তথ্যবলি আপনি টরন্টোর স্কুল থেকে দেওয়া ফরমে প্রদান করলেই কাজ হবে।

প্রশ্ন ৫: টরন্টোতে বাচ্চাদের ডে'কেয়ার সেন্টার বিষয়ে বলবেন কি?
উত্তর:
১. কর্মজীবি বাবা-মা'রা তাদের ছোটা বাচ্চাদেরকে ডে'কেয়ার সেন্টারে রাখতে পারবে
১.১ টরন্টোতে ডে-কেয়ার বেশ ব্যয়বহুল। সুতরাং 'সাবসিডি' বা খরচ যেন কম হয় এমন ব্যবস্থার ডে-কেয়ারের জন্যে চেষ্টা করতে হবে।
২. কমখরচে অর্থাৎ সাবসিডি ডে'কেয়ার পেতে হলে কত খরচ হতে পারে সেটি জানতে হলে 'সিটি অব টরন্টো'র ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন
৩. আপনার বাচ্চা সাবসিডি ডে'কেয়ার পাবে যদি:
- আপনি এবং আপনার Spouse কম আয়ের মানুষ হন (বাৎসরিক ট্যাক্সেবল আয় ৩০ হাজার ডলারের কম)
- আপনি এবং আপনার Spouse দু'জনেই ট্যাক্সেবল কর্মজীবি/ স্টুডেন্ট হন
৪. আপনার বাসার কাছাকাছি সাবসিডি ডে'কেয়ার পাবার জন্যে সিটি অব টরন্টোর ওয়েবসাইটে খোঁজ নিন

প্রশ্ন ৬: আমি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। টরন্টোতে হালাল মাংসের দোকান এবং মসজিদ কাছাকাছি পাবো কি?
উত্তর: আপনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হলে জেনে রাখুন কানাডাতেই আপনি আপনার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারবেন। মসজিদের লিস্ট জানতে হলে এই লিংক-এ ক্লিক করুন । হালাল মাংসের দোকান এবং মসজিদ আপনি যে এলাকায় থাকবেন, সেখানেও খোঁজ নিতে পারেন। বাংলাদেশি, পাকিস্থানী গ্রোসারী স্টোরগুলোতে হালাল মাংস (মুরগী, গরু ইত্যাদি) পাওয়া যায়। 'ফ্রেশকো'-তেও হালাল মাংস পাবেন, তবে দাম হয়তো একটু বেশি।

যেহেতু টরন্টোতে পর্ক (শূকরের মাংস) সবজায়গায় পাওয়া যায়, তাই কোনপ্রকার মাংস কেনার আগে জেনে নিন সেই মাংস হালাল কিনা। কোন মাংসে যদি বেকন ক্রাম্বল, বেকন স্ট্রিপস, পেপেরনি, হ্যাম, সসেজ, সালামি ইত্যাদি লেখা থাকে, তাহলে সেটি পর্ক হবার সম্ভাবনা বেশি। আবার অনেক আইসক্রিমে 'পর্ক' -এর তেল থাকে। কাজেই আইসক্রিম কেনার আগেও সতর্ক থাকুন।

আপডেট:
স্কারবরো এলাকায় কম খরচে ভালো মানের হালাল মাংস এবং গ্রোসারীর জন্যে গ্রেট ফুড তুলনাহীন। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ২৪ নম্বর বাসে Valdane Drive -এ নেমে পড়ুন। এখানেই গ্রেট ফুডের সন্ধান পাবেন।

প্রশ্ন ৭: আমি সপরিবারে এপ্রিলের মাঝামাঝি টরন্টো আসবো আশা করি। ডলার কেনা কি এখনই শুরু করে দেবো?
উত্তর:
অবশ্যই। জানুয়ারি/ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ এর তথ্য অনুযায়ী কানাডিয়ান ডলারের অনেক কম দামে কিনতে পারবেন (৬৬ টাকা = ১ কানাডিয়ান ডলার, যেটা একটা সময় ৮৬/৮৭ টাকা পর্যন্ত ছিল)। সুতরাং দাম কম থাকতে থাকতেই ডলার কিনে ফেলুন।

কানাডিয়ান ডলারের প্লাস্টিক নোট সাধারণত জাল হয়না। কাজেই ১০০ ডলারের নোট-ই যে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে এমনটি নয়; যদি কম দামে ৫০, ২০, ১০, ৫ ডলারের নোট পান, সেগুলোও কিনে নিতে পারেন। বাংলাদেশে ১০০ এবং ৫০ ডলারের নোট কিনতে বা বিক্রি করতে গেলে সঠিক দাম পাওয়া যায়, ছোট নোটগুলোতে কম দাম দেয়। কানাডায় ঢুকে গেলে সবধরনের নোটেই আপনি সমান দাম পাবেন।

ঢাকা'র গুলশান এলাকার ভালো নামকরা কোন মানি এক্সচেঞ্জ থেকে কানাডিয়ান ডলারের সাথে আমেরিকান ডলারও কিনে নিন। কিন্তু আমেরিকান ডলার কেনার সময় সাবধান! টরন্টোতেও আমেরিকান জাল নোটের ছড়াছড়ি। টরন্টো আসার পর ব্যাঙ্ক অথবা মানি এক্সচেঞ্জ ছাড়া আমেরিকান ডলার না ভাঙ্গানোটাই ভালো।

যদি স্থায়ীভাবে কানাডা চলে আসেন, তাহলে বাংলাদেশের সকল ব্যাঙ্কের সবধরণের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আসাটাই ভালো।

প্রশ্ন ৮: আমি একজন ব্যাচেলর। টরন্টোতে আসার পর কম খরচে থাকতে হলে মাসিক কিরকম ভাড়া পড়বে?
উত্তর:
ব্যাচেলর হলে শুরুতে রুম/ বেইজমেন্ট/ অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করে থাকলে খরচ কম পড়বে। আপনার নিজের একরুম (ইন্টারন্টেসহ বা ছাড়া), শেয়ার্ড কিচেন, শেয়ার্ড ওয়াশরুম ব্যবহার করলে এলাকাভেদে মাসিক ৩৫০-৫০০ ডলার পড়বে।

প্রশ্ন ৯: মাত্র কানাডার ইমিগ্র্যান্ট ভিসা পেলাম। আগামী জুন মাসে কানাডায় ঢোকার শেষ সময়। এখন ফেব্রুয়ারি মাসের ঠাণ্ডার সময়। তার ওপর ভাবছি বাংলাদেশ থেকে আরও কিছু টাকা ইনকাম করে তারপর কানাডায় ঢুকবো। তাই বউ-বাচ্চা নিয়ে একটু দেরি করেই আসবো ঠিক করেছি। আপনার পরামর্শ চাইছি।
উত্তর:
১. ঠাণ্ডার দেশ কানাডা'তে সামারের সময়টুকু ছাড়া বাকী সময় ঠাণ্ডা থাকবেই। কাজেই ঠাণ্ডার দেশে ঠাণ্ডার কথা চিন্তা করে দেরিতে আসা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২. যদি স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে ভিসা পাবার পর একটা দিন বাংলাদেশে থাকবেন তো একটা দিন কানাডার জীবন থেকে আপনি পিছিয়ে গেলেন। যত তাড়াতাড়ি এখানে এসে পড়বেন, তত তাড়াতাড়ি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যে মঙ্গল।
৩. বাংলাদেশ থেকে কত টাকা আপনি পরবর্তী কয়মাসে আয় করবেন? পক্ষান্তরে বাংলাদেশে কালক্ষেপন করে কানাডার সুযোগ-সুবিধাগুলো থেকে আপনি নিজে ও পরিবারকে বঞ্চিত করছেন। তাই আবারও বলছি, কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকার মানসিক ইচ্ছা থাকলে ভিসা পাবার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ ত্যাগ করে কানাডায় চলে আসুন।

প্রশ্ন ১০: বাংলাদেশ থেকে টরন্টো আসার সময় কিকি ডকুমেন্ট সাথে করে নিয়ে আসবো?
উত্তর:

১. সকল কানাডিয়ান ডকুমেন্ট (পাসপোর্ট, ল্যাণ্ডিং পেপার ইত্যাদি)
২. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল এবং ফটোকপি (মার্কশীট, সার্টিফিকেট, সিলগালা করা খামসহ ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি)
৩. সকল ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স এর মূল এবং ফটোকপি
৪. সকল ভলান্টিয়ার কাজের মূল এবং ফটোকপি
৫. World Education Services থেকে আপনার মার্কশীট, সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি মূল্যায়ন করিয়ে নিন। এ বিষয়ে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলগুলোতে যোগাযোগ করুন
৬. কানাডায় পরবর্তী উচ্চশিক্ষার জন্যে ভ্যালিড IELTS, GRE ইত্যাদি স্কোর সাথে করে নিয়ে আসুন
৭. আপনার এবং পরিবারের সবার বার্থ সার্টিফিকেট, ম্যারেজ সার্টিফিকেট (যদি থাকে), সাথে করে নিয়ে আসুন
৮. বাংলাদেশী ড্রাইভার্স লাইসেন্স (কমপক্ষে ৬ বছরের পুরনো) থাকলে সেটিও আনুন

প্রশ্ন ১১: টরন্টো ডাউনটাউনে খুব কম খরচে সপ্তাহখানেক থাকার জন্যে কোন জায়গা আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, আছে। ডাউনটাউনের অ্যাডেলেইড এবং চার্চ স্ট্রীটের ইন্টারসেকশনে YMCA -তে খোঁজ নিন। মনট্রিয়লেও YMCA পাবেন।

প্রশ্ন ১২: টরন্টোতে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন কানেকশন নেবার জন্যে কোন পরামর্শ আছে কি?
উত্তর:
ইন্টারনেটের জন্যে আমার পছন্দ CIK telecom অথবা,
Teksavvy এর কেবল কানেকশন। নতুন্ ইমিগ্র্যান্টদের জন্যে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে Chat-r Prepaid (মাসিক ২০ অথবা ৩৫ ডলারের) আমার মনে হয় ভালো। পরে অবস্থা বুঝে একটু Explore করে ভালো Deal দেখে Wind , Public Mobile , Vergin , Mobilicity - এগুলোর সুযোগ-সুবিধা বুঝে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন একটা কোম্পানীর সাথে ২-৩ বছরের প্ল্যান-এ যেতে পারেন।

প্রশ্ন ১৩: গরম জ্যাকেট, উইন্টার বুট অথবা ওভারকোট কেনার ক্ষেত্রে টরন্টোতে দামী শপিং মলের পরিবর্তে অন্য কোথাও কি একটু কমে ওসব জিনিস পাওয়া যাবে?
উত্তর:

১. Vaughan Mills শপিং মলে চলে যান। এখানকার ফ্যাক্টরী আউটলেটের দোকানগুলোতে সব বিশ্বমানের জিনিসের দাম টরন্টোর শপিং মলগুলোর তুলনায় কম।
২. টরন্টোর 'ইউনিয়ন' সাবওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন সকালে Vaughan Mills যাবার এবং ফিরে আসার ফ্রি বাস সার্ভিস রয়েছে।

প্রশ্ন ১৪: টরন্টো'র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন?
উত্তর:

১. 'মাল্টিকালচার এবং শান্তির দেশ' কানাডার টরন্টো শহরে আইনশৃঙ্খলা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু এখানেও চুরি/ ডাকাতি/ খুন/ ধর্ষণের মতো ঘটনা যে ঘটেনা, তা নয়। কাজেই নিজে সর্বদা সাবধান থাকা ভালো এবং আপনার বা আপনার পরিবার বা আপনার বাচ্চা বা আপনার পোশা প্রাণী (যেমন কুকুর) দ্বারা অন্য কোন মানুষ কোনভাবেই যেন শারীরিক বা মানসিকভাবে বিরক্ত/ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, সেটি খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনার।
২. টরন্টো পুলিশ'কে সবাই ভয়ের চোখেই দেখে
৩. ডাউনটাউন টরন্টো-তে আপনি অনেক ভবঘুরে, নেশাখোর, চোর, বাটপার, হোম-লেস মানুষ ইত্যাদি পাবেন। কাজেই ডাউনটাউন টরন্টো-তে সাবধানে চলাচল করাটাই ভালো
৪. রাস্তাঘাটে বিপদ-আপদ হলে নিজ ফোন অথবা আশেপাশের ফোনবুথ থেকে 911-এ কল করে দিলেই মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারব্রিগেড ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হবে।
৫. আপনার ছোট বাচ্চাটিকে সাবধানে রাখুন। কোনভাবেই যেন বাচ্চার কোনপ্রকার ক্ষতি না হয়। আপনার দ্বারা বাচ্চার কোন ক্ষতি হলে আপনি অথবা আপনার পরিবার পুলিশের কাছে জবাবদিহি/ জেল-জরিমানা/ শাস্তি পেতে পারেন
৬. কানাডায় আপনি বা আপনার পরিবার কোনভাবেই কোনপ্রকার ছোট বা বড় অপরাধমূলক কাজে জড়াবেননা।
৭. রাস্তায় কোন অ্যাক্সিডেন্ট দেখলে বাংলাদেশি কায়দায় সাহায্য করার জন্যে দৌড়ে যাবেননা বা দাঁড়িয়ে থেকে তামশা দেখবেননা। ভিক্টিমকে সাহায্যের জন্যে পুলিশ/ অ্যাম্বুলেন্স/ ফায়ারব্রিগেড ঘটনাস্থলে চলে আসবে। আপনি সর্বোচ্চ 911-এ কল করতে পারেন।

প্রশ্ন ১৪: সম্প্রতি কানাডার টরন্টো শহরে এলাম ইমিগ্র্যান্ট হয়ে। এখনও পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড হাতে পাইনি। জরুরী প্রয়োজনে দেশে যেতে হবে। PR Card ছাড়া কানাডা ছাড়লে কোন সমস্য হবে কি?
উত্তর:

১. নতুন ইমিগ্র্যান্টদের ইমিগ্রেশন এর কাজগুলো সাধারণত টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসে হয়। PR Card ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে কানাডায় ঢুকতে দেবেনা।
২. বর্তমান Trend অনুযায়ী একজন নতুন ইমিগ্র্যান্ট টরন্টোতে ল্যাণ্ড করার ঠিক দুই মাসের মাথায় PR Card হাতে পাবেন।
৩. অনেকসময় এই দুই মাসের মধ্যে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বাসার ঠিকানায় PR Card না পাঠিয়ে সরাসরি অফিসে দেখা করে PR Card সংগ্রহ করতে বলে। সুতরাং যদি PR Card ছাড়া কেউ দেশে চলে যান তাহলে বিপদ।
৪. PR Card -এর তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ গোপনীয় বিষয়। সুতরাং PR Card-এর বাহক ছাড়া এই কার্ড অন্য কেউ বহন করা সম্পূর্ণরুপে বে-আইনী কার্যকলাপ

প্রশ্ন ১৫: সম্প্রতি আমার PR Card হারিয়েছে। আমি এখন টরন্টোতে। কিন্তু দেশে যাওয়াটাও খুব জরুরী। এখন করণীয় কি?
উত্তর:

১. দ্রুত গবর্ণমেন্ট অব কানাডা'র ওয়েবসাইটে উল্লেখিত কল সেন্টারে যোগাযোগ করুন। আপনি কানাডার বাইরে থাকলেও উক্ত ওয়েবসাইটের প্রদত্ত গাইডলাইন অনুসরণ করুন
২. PR Card হারালে এবং তার জন্য পুনরায় অ্যাপ্লাই করলে নতুন PR Card হাতে পেতে অনেক সময় লেগে যায় (ছয় মাস বা তার বেশি)। আপনাকে যদি জরুরী ভিত্তিতে PR Card ছাড়াই বাংলাদেশে যেতে হয় তাহলে উল্লেখিত ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাই কমিশনে যোগাযোগ করুন এবং Application for a Travel Document (Permanent Resident Abroad) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন

প্রশ্ন ১৬: টরন্টোতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সুবিধাগুলো কি কি?
উত্তর:

১. টরন্টো শহরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীর নাম TTC
২. টরন্টোতে TTC কাভারেজ স্থানগুলোতে TTC বাস, সাবওয়ে ট্রেন এবং স্ট্রীট কারের সুবিধা পাবেন। অন্যকোন শহর যেমন, মিসিসাগাতে TTC সুবিধা পাবেননা। ওই শহরে তাদের নিজস্ব পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, মিসিসাগার জন্যে miway
৩. TTC Cash fares: Adult $3.00, Post-Secondary Student $3.00, Senior (65+) / Student (13-19) $2.00, দুই থেকে ১২ বছর বয়সের বাচ্চার জন্য ৭৫ সেন্ট
৪. TTC অ্যাডাল্ট মেট্রোপাস $133.75/প্রতি মাস এবং Senior (65+) / Student (13-19) $108.00/ প্রতি মাস
৫. TTC মাসিক মেট্রোপাস ব্যবহার করার পর সেগুলো ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখুন, বছর শেষে ট্যাক্স রিটার্নের সময় কাজে আসবে
৬. এছাড়া GO Transit এর বাস এবং ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন যা একটু খরচসাপেক্ষ
৭. এক প্রভিন্স থেকে অন্য প্রভিন্সে ট্রেনে যাতায়াত করতে হলে viarail -এর সার্ভিস চমৎকার
৮. এক প্রভিন্স থেকে অন্য প্রভিন্সে অথবা আমেরিকায় বাসে যাতায়াত করতে হলে মেগাবাস আমার প্রথম পছন্দ। এছাড়াও রয়েছে গ্রে-হাউণ্ড , কোচ কানাডা ইত্যাদি
৯. কমখরচে নর্থ আমেরিকায় হোটেল এবং এয়ারলাইন্স টিকিটের জন্যে প্রাইসলাইন ডট কম আমার কাছে সেরা বলে মনে হয়
১০. গাড়ি ভাড়া করার জন্যে এন্টারপ্রাইজের উপরে কিছু নাই

প্রশ্ন ১৭: টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে প্লেন থেকে নামার পর কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের ফরমালিটিজ কি? সেখানে কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে?
উত্তর:

১. প্লেন থেকে নামার পর প্রথমবার কানাডা ভিজিটকারী হিসেবে 'ফার্স্ট টাইম ভিজিটর' হিসেবে 'ভিজিটর' লাইনে দাঁড়াবেন। কোন লাইনে দাঁড়াবেন সেটা কনফিউজড থাকলে, কর্তব্যরত কর্মকর্তাগণ আপনাকে সাহায্য করবেন।
২. কাউন্টারে কর্তব্যরত কর্মকর্তাকে আপনার পাসপোর্ট এবং সি.ও.পি.আর. ফরম দেখান এবং তার দেখানো নির্দেশ অনুযায়ী দিক অনুসরণ করুন
৩. ইমিগ্রেশনে ফরমালিটিজ খুবই সহজ এবং ঝামেলাবিহীন
৪. ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার কাছে টরন্টোতে একটা ঠিকানা এবং ফোন নম্বর চাইবে যে ঠিকানায় আপনার পি.আর কার্ড দুই মাস পর পৌঁছে যাবে। সি.ও.পি.আর. ফরমে আপনার স্বাক্ষর -এর প্রয়োজন আছে।
৫. এরপর লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করুন
৬. পোর্টার বা ট্রলি সংগ্রহ করুন
৭. এরপর কাস্টমস-এ চলে আসুন
৮. কাস্টমস-এ আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি বাংলাদেশ থেকে সাথে করে আপনার যা মালামাল এনেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও যদি কোন মালামাল আনেন, সেগুলোর কোন লিস্ট আছে কিনা?

বাংলাদেশ থেকে এধরনের লিস্ট করে আনা ভালো, তবে ম্যান্ডেটরী নয়। একটু মনে করে দেখুন, এই মালামাল 'লিস্ট করার কথা' আপনাকে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আগেই চিঠিতে উল্লেখ করেছিল। আপনার লিস্ট-এ যেসব জিনিসপত্রের কথা উল্লেখ থাকবে, সেগুলো 'কানাডিয়ান কাস্টমস্ ডিউটি ফ্রি' হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এখন যেসব মালামাল, টাকা, গহনা নিয়ে কানাডা ঢুকছেন, এবং ভবিষ্যতেও যদি বাংলাদেশ থেকে আনেন, তাহলে সবকিছুই কাস্টমস ডিউটি ফ্রি হবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনার কাছে পূর্বে ইস্যু করা চিঠিতে কোথাও উক্ত লিস্টগুলোর মালামাল 'ট্যাক্স ফ্রি' হবে - এই কথাটি লেখা নেই। অর্থাৎ, কানাডায় ঢোকার সময় সেগুলো ডিউটি ফ্রি হবে কিন্তু ঢোকার পর ব্যাঙ্কে ডলার রাখলে সেগুলোর ওপর সরকার কর্তৃক ট্যাক্স ধার্য্য হতে পারে।

কানাডিয়ান কাস্টমসে দেখানোর জন্যে বাংলাদেশ থেকে আসার সময় সাদা কাগজে কানাডিয়ান এবং আমেরিকান ডলারের পরিমাণ, গোল্ড, জামাকাপড়, ইউটেনসিল, ইলেকট্রনিকস (ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা) ইত্যাদির একটা সাধারন লিস্ট করে আনুন। এবং ভবিষ্যতে আরও ডলার, গোল্ড ইত্যাদি আনবেন, সেগুলোও আরেকটি কাগজে লিখে কাস্টমসে জমা দিয়ে দিন। এতে করে ভবিষ্যতে যদি কখনও যদি বাংলাদেশ থেকে ১০,০০০ ডলারের বেশি অর্থ/ সম্পদ কানাডায় আনেন, এবং ইমিগ্রেশনে তা ডিক্লেয়ার করেন, তাহলে সেই অর্থ/ সম্পদ 'ডিউটি ফ্রি' হবে।

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপনাকে পূর্বে ইস্যুকৃত চিঠিতে স্পষ্টভাষায় উল্লেখ আছে যদি আপনি কানাডায় কোন চাকুরী 'প্রি-অ্যারেঞ্জ না করে আসেন, তাহলে 'কানাডায় সেটেলমেন্ট বাবদ' আপনাকে নিম্নোক্ত ডলার আনতে হবে:
১. একজনের জন্যে ১১,৮২৪ ডলার
২. দুই জনের জন্যে ১৪,৭২০ ডলার (স্বামী-স্ত্রী)
৩. তিন জনের জন্যে ১৮,০৯৭ ডলার (স্বামী-স্ত্রী এবং ১ টা বাচ্চা)
৪. চার জনের জন্যে ২১,৯৭১ ডলার (স্বামী-স্ত্রী এবং ২ টা বাচ্চা)

উল্লেখিত ডলারের কম পরিমান অর্থ কানাডায় আনলে এবং সেই কম পরিমাণের কথা ডিক্লেয়ার করলে অনেক ক্ষেত্রে এয়ারপোর্টে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঝামেলা করার ইতিহাস রয়েছে। অর্থাৎ, আপনাকে তখন পৃথকভাবে ইন্টারভিউ-এর সম্মুখীন হতে হবে কেন কম পরিমাণ অর্থ এনেছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে কম অর্থ ডিক্লেয়ার করেও কারও সমস্যা হয়নি।

বাংলাদেশ থেকে যে ডলার নিয়ে আসবেন, সেই ডলার ব্যাঙ্কে রাখলে ব্যাঙ্কে আপনার যতক্ষণ অর্থ থাকবে, ততক্ষণ অন্যকোন সরকারী বেনিফিট (যেমন, স্টুডেন্ট লোন) আপনি কানাডা সরকারের কাছে দাবী করতে পারবেননা অথবা করলেও অন্যদের থেকে কম বেনিফিট পাবেন।

প্রশ্ন ১৮: টরন্টো'তে ট্যাক্স এবং ট্যাক্স রিটার্ন বিষয়ক কিছু বলবেন কি?
উত্তর:

১. প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি তে বিগত বছরের ট্যাক্স রিটার্ন করা বাধ্যতামূলক
২. টরন্টোতে ড্যানফোর্থ এলাকায় পরিচিত অনেক দেশী 'অ্যাকাউনটেন্ট' পাবেন যারা ২৫ ডলারের বিনিময়ে আপনার ট্যাক্স রিটার্নের কাগজপত্র তৈরি করে দিবেন
৩. টরন্টোতে যেকোন জিনিস কিনতে হলে সরকারকে মূল দামের উপরে ১৩% ট্যাক্স দিতে হবে। কাজেই উদাহরণ হিসেবে কোন জিনিসের দাম ৫০ ডলার দেখে কম মনে করার কিছু নেই বা খুশি হবার কিছু নেই। কারণ ট্যাক্সসহ সেই জিনিসের আসল দাম ৫৬.৫০ ডলার। ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের বেলায় (যেমন প্রিন্টার) এখানে মূলদাম এবং ট্যাক্সের সাথে অতিরিক্ত কিছু ডলার Environmental handling fee হিসেবে দিতে হয়
৪. প্রতিবছর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেবার পর মাস তিনেকের মধ্যেই কানাডা রেভিনিউ এজেন্সির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু টাকা অটোমেটিক পেয়ে যাবেন যা নির্ভর করবে-
ক. আপনি এর আগের বছর ট্যাক্সেবল কত টাকা আয় করেছেন
খ. আপনি স্বল্প আয়ের মানুষ কিনা (বাৎসরিক আয় ৩০ হাজার ডলারের কম)
গ. আপনি বছরে মোট কত টাকা বাড়ি ভাড়া প্রদান করেছেন
ঘ. আপনি TTC মাসিক পাস ব্যবহার করেছেন কিনা ইত্যাদি
৫. আপনি যদি আগের বছর কোন প্রতিষ্ঠানে ট্যাক্সেবল আয় করে থাকেন, অথবা বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজের স্টুডেন্ট হন, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ থেকে আপনার নামে একটি T4 ডকুমেন্ট ইস্যু হবে যেটি আপনার বাসার ঠিকানায় উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে চলে আসার কথা অথবা অনলাইনে সেই প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়/ কলেজ-এর ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই কাগজটি আপনি পেতে পারেন। যদি আপনার বাসায় কর্মপ্রতিষ্ঠান থেকে মেইল না আসে, তাহলে ট্যাক্স রিটার্নের আগে সেই প্রতিষ্ঠানে T4-এর জন্য যোগাযোগ করুন।
৬. টরন্টোতে কোন দ্রব্যের দাম ৪ ডলারের কম হলে মূল দামের উপরে ৫% ট্যাক্স দিতে হবে। চার ডলারের উপরে দাম উঠলেই সেই ট্যাক্সের পরিমাণ ১৩% হয়ে যাবে।

চাইনিজ জাতি বরাবরই বুদ্ধিমান। এক চাইনিজের থেকে শিখলাম কিভাবে ট্যাক্স বাঁচাতে হয়। টিমহর্টনস-এ কফি খেতে গিয়ে দেখলাম সেই চাইনিজ ভদ্রলোক কফি এবং স্ন্যাক্স অর্ডার করলেন। কফিসহ স্ন্যাক্সের মোট দাম ট্যাক্সের আগে ৪ ডলারের বেশি আসলো। সেই ভদ্রলোক তখন ক্যাশিয়ার কে বললেন প্রথমে শুধু কফির ২.১০ ডলার দামটা রাখো। স্ন্যাক্সের টাকাটা ভদ্রলোক আলাদাভাবে ক্রেডিটকার্ড দিয়ে পে করে দিলেন। এতে করে তাকে ১৩% ট্যাক্স প্রদানের পরিবর্তে আলাদাভাবে প্রতি খাবারের জন্যে ৫% হারে ট্যাক্স দিতে হলো। এরপর তিনি আমাকে বললেন, "বুঝলে ভাই, এভাবেই আমি প্রতিদিন সবখানে অতিরিক্ত ট্যাক্সের টাকা বাঁচিয়ে চলি। কানাডা সরকারের অনেক টাকা, আমি কানাডা সরকারকে অতিরিক্ত ১৩% ট্যাক্স কেন দেবো বলো?"

আপডেট:
১. মার্চ ২০১৫ থেকে টি.টি.সি অ্যাডাল্ট মাসিক পাসের দাম ১৪১.৫০ ডলার
২. স্কারবরো এলাকায় কম খরচে ভালো মানের গ্রোসারীর জন্যে গ্রেট ফুড তুলনাহীন। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ২৪ নম্বর বাসে ভালডেন ড্রাইভে নেমে পড়ুন। এখানেই গ্রেট ফুডের সন্ধান পাবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
কানাডা'র ইমিগ্রেশন প্রসেসিং খুব কঠিন কিছু কি? এটা সত্যি যে, ইমিগ্রেশন প্রসেসিং সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু অসম্ভব নয়! সামহোয়্যারইন ব্লগের পয়গম্বরের ব্লগ এবং ফেসবুকের পেজটি Facebook page: Click This Link Email: [email protected] আপনার সাথেই আছে ইমিগ্রেশন প্রসেসের প্রতিটি স্টেপে, প্রতিটি সমস্যার আন্তরিক সমাধানে। কানাডা'র ইমিগ্রেশন নিয়ে টেনশন একেবারেই ঝেড়ে ফেলে দিন মাথা থেকে। ফেসবুকের এই পেজে শেয়ার করুন আপনার কানাডা'র ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যেকোন প্রশ্ন অথবা সমস্যা। ব্লগ এবং ফেসবুকের এই প্ল্যাটফরমে আমি চেষ্টা করবো সঠিক রেফারেন্স নির্ভর তথ্যটি আপনাকে জানানোর।

Facebook page: Click This Link
Email: [email protected]

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!

লিখেছেন ডার্ক ম্যান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭



গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রথম আলু

লিখেছেন স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯



লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে



ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে




লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!





মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×