গত শীতে চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম একটা কাজে। মাঝে একদিনের একটা ছুটি ছিল। তখনই কাপ্তাই ঘোরার সুযোগ হলো। চট্রগ্রাম শহর থেকে বাসে করে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টার রাস্তা কাপ্তাই। পাহাড় আর লেক যেন একজন আরেকজনকে আলিঙ্গন করে আছে পরম স্নেহে।
অপরূপা কাপ্তাই লেক
টিলার উপর থেকে তোলা ছবি
কাপ্তাই লেকে পর্যটকরা
অপরূপা কাপ্তাই লেক
কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য
টিলার উপরে বিশ্রামাগার
বাস নিয়ে নামিয়ে দিল কাপ্তাই বাস স্ট্যাণ্ডে। ওখান থেকে সি.এন.জি তে করে প্রথমে গেলাম নৌ-বাহিনী পিকনিক স্পট 'লেক প্যারাডাইস'-এ। অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা।
কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনের দর্শনীয় স্থানগুলোর চিরাচরিত সেই সমস্যাগুলো এখানেও দেখলাম। কয়েক শ' মানুষ এখানে ২০-৩০ টা বাস নিয়ে মাইক বাজিয়ে শান্ত, স্নিগ্ধ এলাকাটার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে। দু:খ হলো, মনে মনে বললাম, কবে মানুষ হবো আমরা।?
কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য - নৌকা থেকে তোলা ছবি
নৌকা ভ্রমণের সময় ছবিটা তুলেছি
নৌকা ভ্রমণের সময়
লেক প্যারাডাইসে টিলার উপর উঠে অপরূপা কাপ্তাই লেক কে প্রাণ ভরে দেখলাম। তারপর লেকে নৌকা করে কিছুক্ষণ ঘুরলাম।
নৌকা ভ্রমণের জন্য এখান থেকেই নৌকাতে উঠতে হবে
নৌকাতে ওঠার জন্য সিরিয়াল ধরতে হয়
নৌ-বিহার
লেক প্যারাডাইস থেকে ফেরার পথে
লেক প্যারাডাইসে তোলা ছবি
লেক প্যারাডাইস
কাপ্তাই লেক
এরপর গেলাম জুম রেস্তোরাতে। এখানেও সেই মানুষজন মাইক বাজিয়ে পুরো শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে অশান্তি ডেকে এনেছে।
জুম রেস্তোরা
জুম রেস্তোরা
জুম রেস্তোরা
জুম রেস্তোরা
জুম রেস্তোরাতেই দুপুরে খেয়ে নিলাম। তারপর আরও কিছুক্ষণ লেকের পাশে ঘুরে সন্ধ্যা নামার আগেই ফিরে এলাম চট্রগ্রাম শহরে।
আমার ভ্রমণ বিষয়ক অন্য লেখাগুলো:
আলীকদমে অ্যাডভেঞ্চার
রূপসী দাসিয়ার ছড়া: বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে ভারতীয় এক ছিটমহল
চলুন, ঘুরে আসি মুম্বাই
বারিক্কা টিলা: বাংলাদেশের মানচিত্রে যেন ছোট্ট একটি ভূ-স্বর্গ
টাঙ্গুয়ার হাওড়: যার সৌন্দর্যের তুলনা সে নিজেই
কালিমপং-লাভা-লোলেগাঁও: যেন পৃথিবীর বুকে একটুকরো স্বর্গ
সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত মসূয়া