somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতির পাতায় বিটিভি : প্রসঙ্গ বিদেশি সিরিয়াল

০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়টা আশির দশকের শেষ দিকে অথবা নব্বই দশকের শুরুতে। সেই সময়টা মনের পাতায় এলেই শান্ত সৌম্যভাব কাজ করে। তখন শহরের ধূলোবালি হয়তো কম ছিলো এখনকার চেয়ে। নাগরিক যান্ত্রিকতায় ছেয়ে যাওয়া এই শহরের বুকে হয়তো একটু বেশি প্রাণের স্পন্দন ছিলো। সেই সময়ের শিশুদের শৈশবে হয়তো শান্ত নীরবতার স্থান এখনকার চেয়ে একটু বেশি। দুপুর শেষ করে বিকেলের ছুটোছুটি কিংবা নিরর্থক ক্রীড়ার আয়োজনও ছিলো তখন বেশি। আর বিকেল শেষে সন্ধ্যার আগে অথবা দুপুর শেষে বিকালের আগে টেলিভিশনের পর্দায় কার্টুনের আনাগোনাও তখনকার সময়ের এই আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছিলো। সেই সময়ের টেলিভিশন এখনকার মত রাত দিন নির্ঘুম বিচরণ করতো না। ঘড়ির কাঁটায় পাঁচটা বাজা তাই সবার জন্যই এক ধরণের উৎসবের আয়োজনের অংশ ছিলো। তেমনি কোন কার্টুন দেখা বিকালে কার্টুনের পরিবর্তে কোন এক অনুষ্ঠানে মনযোগ ভিন্ন খাতে যায়। বাচ্চা এক মেয়ে যখন আছাড় দিয়ে একজন বড়সড় মানুষকে ফেলে দেয় কেমন যেন অনাহূত আগ্রহ কাজ করে মনে। সেই বিস্ময়ে প্রলেপ বুলান বড়রা মেয়েটি রোবোট এই কথা বলে। মানুষ কিংবা রোবোট বিষয়ক পার্থক্য কিংবা ধারণা না থাকলেও যান্ত্রিক ভাবে কথা বলা সেই মেয়েতিই প্রথম আগ্রহ নিয়ে আসে বিটিভিতে প্রচারিত বিদেশি সিরিয়ালের প্রতি। আজ দুই যুগ পরে যখন সেই মেয়েটিকে খুঁজি অন্তর্জালের বুকে, স্মল ওয়ান্ডার নাম নিয়ে সে হাজির হয় আমার মনিটরের পাতায়। আর সেই মেয়েটিকে খুঁজতে গিয়ে পেয়ে যাই সেই সিরিজের সূচনা সংগীতটিও।



তবে স্মল ওয়ান্ডারে মেয়েটির রোবোটিক ধরণ ছাড়া আর কিছু অবশ্য খুব বেশি ভাবে মনে পরে না। কিন্তু শৈশবের মনে রাখা অনেক স্মৃতিগুলো ধরে রেখেছে আমার অতি প্রিয় 'তিন চাল্লি'র সিরিয়াল। হ্যা থ্রি স্টুজেস আমরা বন্ধুরা তিন চাল্লি বলে ডাকতাম। তাদের হাস্য রসাত্মক কর্মকাণ্ডে আমাদের মুগ্ধতা ছিলো বরাবরই। সময় বদলে যায়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনেও এই চমৎকার সিরিয়াল দাগ কেটে থাকে মনের কোনে। তাই সময়ে অসময়ে আমি খুজে নেই এই সিরিয়ালের মজার মাজার দৃশ্যগুলো। মো কার্লি ল্যারির মাঝে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগতো ল্যারিকে। সেই সিরিজের মজার অংশ গুলো দেখা যাক।



ভুল করে ঠিক জিনিস পাওয়ার মত ব্যাপার হয়তো থাকে কখনো। এমনই হয়েছিলো আমার ক্ষেত্রে ম্যাকগাইভারের ক্ষেত্রে। কোন এক বুধবার রাতে টিভি অন করে রেখেছিলাম আমরা তিন ভাই বোন। হঠাৎ করেই সেই সিরিয়াল হবার ঘোষণা হলো। আমরা নামটা খুব গুরুত্ব দিয়ে শুনি নি। শুনবার দরকারও মনে করি নি। তারপরে শুরু হয়ে যাবার পরে আমরা জমে গেলাম সিরিজে। বলা বাহুল্য ইংরেজি বুঝার মত যথেষ্ট জ্ঞান তখনো হয়নি। কিন্তু শুধু ছবির এ্যাকশনেই রীতিমতো মন ভরিয়ে ফেলেন। মজা হলো ম্যাকগাইভার যা ই করতেন খালি হাতে করতেন। মানে হাতে কোন অস্ত্র নাই। তার মাথার জোরেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যেত। বাংলাদেশ জুড়ে তুমুল সাড়া ফেলেছিলো এই সিরিজ। আমার মনে আছে ম্যাকগাইভারের নাম স্কুলের ছেলেরা মজা করে ভেঙে ভেঙে সুর করে বলত আকাশের মেঘ অস্ট্রেলিয়ার গাই পাথরের ভার-- ম্যাকগাইভার। সেই সময়ের কথা মনে পড়লে এখনো নস্টালজিক হয়ে যাই। সেসময়ে বাজারে পোস্টারের চল ছিলো প্রচুর। তাই প্রথম সুযোগেই ম্যাকগাইভারের পোস্টার আমাদের বাসায় শোভা পায়। এখানেই ভালোবাসার শেষ নয়। আমার বোন পোস্টার দেখে ম্যাকগাইভারের স্টারিং রিচার্ড ডিন এন্ডারসন এর ছবিও একে ফেলে আর্ট পেপারে। সেই ম্যাকগাইভারের ইন্ট্রো মিউজিক দেখতে পারেন স্মৃতি ঝালাই করতে এখানে



সেই সময়ে আরো দুইটা টিভি সিরিয়াল হতো। ওশিন এবং ডালাস । ওশিন সিরিয়ালটা আমার মা খুব পছন্দ করতো। তাই দেখলে তার সাথে বসে ওশিন দেখতে হবে এমন একটা নিয়ম ছিলো। আর ডালাস দেখার ব্যাপারে ছিলো নিষেধাজ্ঞা। অর্তর্জাল ঘেটে ওশিন এবং ডালাসের ইন্ট্রো পাওয়া গেলো





যা হোক বলছিলাম ম্যাকগাইভার এর কথা। ম্যাকগাইভার শেষ হয়ে গেলে মন ব্যাপক খারাপ হয়ে যায়। সে সময়ে ম্যাকগাইভারের জায়গায় যে সিরিয়াল শুরু হয় তার নাম হলো http://en.wikipedia.org/wiki/The_Fall_Guy' target='_blank' >দি ফল গাই । হলিউড স্টান্টের এ্যাডভেঞ্চার নিয়ে গড়ে উঠা এই সিরিজ অবশ্য আমাকে খুব বেশি আনন্দ দেয় না। মানে খুব বেশি ভালো লাগে নি। হলিউড নামক জিনিসটির সাথে পরিচয় ঘটে এই সিরিয়ালের হাত ধরে। আর এখনও মনের মাঝে গেঁথে আছে শুরুর গানের "হেই হেই " বলা। শুরুর গানটি শুনতে পারেন এইখান থেকে



ফল গাইয়ের মূল নায়ক সিক্স মিলিয়ন ডলারম্যানের লি মেজরের চাইতে সাইড নায়ক ডগলাস বারকে ভালো লাগতো বেশি। সেই বারের অভিনীত আরেক সিরিয়াল উইজার্ড শুরু হলে তাতে ডুবে যেতেও সময় লাগে না খুব বেশি। এখানে বামন সাইমন আর তার সাথেকার এলেক্সের কার্যকলাপ গিলতে থাকি ক্রমাগত। বিশেষ করে সাইমনের বিশেষ ভঙ্গিতে এলেক্স বলা খুব মজা দিত তখন। কাছাকাছি সময়ে বিটিভিতে শুরু হয় রেভেন নামের টিভি সিরিজ। ব্যাপক ফাইটিং (তখনো এ্যাকশন জাতীয় শব্দের সাথে পরিচয় হয় নাই) হতো বলে আমাদের মহলে খুব দ্রুতই রেভেন বেশ জনপ্রিয় হয়ে যায়। স্কুলে রেভেনের স্কিল দেখায়া মারপিট করে মার খাওয়া ছাত্রের সংখ্যা নিতান্ত কম হয় না। উইজার্ডের সূচনা দএখতে পারেন নিচের লিংকে



রেভেনের সূচনা ভিডিওটাও পেয়ে গেলাম অন্তর্জাল ঘেটে।



তবে ঐ সময়ে আমার সবচেয়ে প্রিয় টিভি সিরিজ ছিলো http://en.wikipedia.org/wiki/The_a-team' target='_blank' >দি এ টীম । দারুণ একশন সাথে হিউমার মিশে ছিলো পুরা সিরিজ জুড়েই। হানিবলের কঠিন ভাব, ফেইসের বুলাবুলি, মরড্যাকের পাগলামি আর মি টি এর এ্যাকশন আসলেই দুর্দান্ত। মি টি এর মাথার অদ্ভুত টি শেপ চুলও দারুণ জনপ্রিয় হয় আমাদের মাঝে। সেসময়ে উম্মাদে দি এ টীম কে প্যারোডি করে দি এতিম নামে ফিচার কার্টুন করেছিলো সেটাও বেশ মনে পড়ে। দি এ টীম এর সূচনা সংগীত শুনে এখনো নস্টালজিক হই সেই পুরনো সময়ের কথা ভেবে।


হঠাৎ করে মোড় ঘুরে যায় বিটিভির গতি প্রকৃতির। কারণ এইবার বাংলায় ডাব হয়ে আসে ভারতে হয়ে যাওয়া সঞ্জয় খানের সোর্ড অফ টিপু সুলতান । সম্ভবত এ যাবতকালে বিটিভিতে প্রচারিত সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ এটা। আমার মনে আছে সেই সময়ে প্রতি রবিবার নয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত ঢাকা শরের রাস্তাঘাটে জন সমাগম কমে যেত এই জনপ্রিয় সিরিয়ালের কল্যানে। বাংলায় ডাব করা আর সেই সাথে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে করা বলে ছেলে বুড়ো সবার কাছেই ব্যাপক আবেদন নিয়ে উপস্থিত হয় এই সিরিজ। টিপু সুলতানের মৃত্যু দৃশ্য দেখে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলাম এ কথা মনে পরে বেশ। টিপু সুলতান যখন মরে যায় দু ইংরেজ সেপাইয়ের কথোপকথন বেশ মনে পরে। "হু ইজ হি?" । আরেকজন বলে, "আই ডোন্ট নো। বাট হি ফট লাইক আ টাইগার"। টিপু সুলতান শুরুর আগে বেশ কিছু বাংলা কথাবার্তা ছিলো। ভালো লাগার প্রচণ্ডতা এত বেশি ছিলো শুনতে শুনতে মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো। টিপু সুলতানের সূচনা মিউজিকটা খুবই দারুণ



টিপু সুলতান শেষ হয়ে যাবার পরে বিদেশি সিরিয়ালে বেশ মন্দা শুরু হয় বিটিভিতে। আকবর দ্যা গ্রেট নামক সিরিয়ালটি তেমন আলোড়ন তুলতে পারে নি বললেই চলে। সেখানে শেরশাহকে ভিলেন দেখানোর ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ দৃষ্টিকটু লেগেছিলো সে কথা মনে আছে। একই সময়ে শুরু হয় আরব্য রজনী অবলম্বনে বাংলায় ডাবকৃত সিরিয়াল আলিফ লায়লা। সেখানে হাফ প্যান্ট পরা টিউবলাইট হাতে নিয়ে যুদ্ধ করা সিন্দবাদকে দেখলে যতটা ভালো লাগা কাজ করতো তার চেয়ে অনেক বেশি হাস্যকর মনে হতো সেই সময়। অথচ সেই হাসির মাঝেই তাদের অদ্ভুতুরে বাংলা ডায়লগের জন্য দেখতাম মাঝে সাঝেই। ডায়লগের কথা যখন আসলোই বলতে হবে আরেক সিরিয়াল গুল সানোবারের কথা। সেটা একটা সিরিয়াল ছিলো বটে। মাঝে সাঝে দেখলেও তাকে মনে হতো বদরুল আলম (বালাম) এর গানের মতো। মানে কোন পর্বকেই একটা থেকে আরেকটাকে আলাদা করা যেত না। মনে হত একই পর্ব বারবার দেখছি।

তবে ইংরেজি সিরিয়াল দুইটা পরবর্তীতে চালু হয় যা আমার কাছে এক কথায় দারুণ লেগেছিলো। প্রথমটা ছিলো ডার্ক জাস্টিস । সেখানে একটা কথা বেশ মনে গেঁথে গিয়েছিলো। জাস্টিস মে বি ব্লাইন্ড বাট ইট ক্যান সি ইন দ্যা ডার্ক। থিমের কারণে আর এ্যাকশনের কারণে দারুণ লাগতো এই সিরিয়াল। এর সুচনার থিমটা দেখলাম নিচের লিংক থেকে



সেই সময়ের দ্বিতীয় যে সিরিয়ালটার কথা বলবো সেটা হলো http://en.wikipedia.org/wiki/Time_Trax' target='_blank' >টাইম ট্র্যাকস । সাই ফাই সম্পর্কে আইডিয়ার সূচনাও মূলত এই সিরিজের হাত ধরে । ড্যানিয়েল ল্যামবার্ট আর সেলমার গল্প দেখতে দারুণ লাগতো। তখন বেশ বিপদে পরে যেতাম এজন্য সপ্তাহে দুইটা সিরিয়াল দেখলে বাসা থেকে বিপদে পড়তে হতো। অথচ ডার্ক জাস্টিস আর টাইম ট্র্যাকস এর কোনটাই ফেলানো কঠিন ছিলো আমার জন্য। টাইম ট্র্যাকসের ইন্ট্রো দেখতে পারেন নিচের লিংক থেকে



সাই ফাইয়ের কথা আসাতে মনে পরে গেলো আরো দুটো সিরিয়াল Click This Link target='_blank' >গার্ল ফ্রম টুমরো এবং স্পেল বাইন্ডার এর কথাও। সাই ফাই এবং সেই সাথে উঠতি বয়সের সুন্দর নারী প্রীতি ভালো লাগা জন্ম দিয়েছিলো এই দুটো সিরিজের জন্য। দুটো সিরিজের ইন্ট্রো দিলাম নিচের লিংকে




http://en.wikipedia.org/wiki/Mr._Bean' target='_blank' >মি বিন আর পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্স এর কথা না বললে গল্প অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সন্দ্যায় হওয়া এই দুটো কমেডি সিরিজ কতটা আগ্রহ নিয়ে দেখতাম বলে বুঝানো যাবে না। পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্সের সূচনা গানের লাইন দুটো আজও ভাসে কানে। মাই লাইফ মাই ড্রিম , নাথিং কসেস স্টপ মি নাও-- ভিডিও পেলাম ঐটার


মি বিনের কথা নতুন করে বলবার কিছু নাই। এই লোকটার কার্যকলাপে বোধ করি কবর থেকে লাশ ও হেসে উঠবে। কোন রকম ডায়লগ ছাড়াই কীভাবে দর্শক মাতিয়ে রাখা যায় তার দুর্দান্ত নমুনা হতে পারে এই লোক। তার সিরিজ গুলো দেখা হয় সময়ে অসময়ে এখনো।

একই সময়ে শুরু হওয়া আরও দুটো সিরিয়াল ছিলো মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড আর রবিনহুড । রবিন হুডের চাইতে মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড ভালো লাগলো বেশি। তবে ছাগলা দাড়ি নিমোর গুটি চালাচালি দেখে বিরক্ত লাগতো। জুলভার্নের বইটা আগে পড়া হয়েছিলো বলে হয়তো একটু হতাশ হয়েছিলাম। তবে রবিন হুডের কার্যকালাপে খুব বেশি মজা পেতাম না। তার বন্ধু ফায়ার টাক অবশ্য বেশ ভালো ছিলো। সেই সময়ে রাতে হতো Click This Link target='_blank' >হারকিউলিস । দেবদেবী পুরাণে আগ্রহ থাকায় বেশ লাগতো দেখতে। থেটিস হেরা থেকে শুরু করে সবাইকে দেখা যেত। আর দেখা যেত পৌরানিক গল্প। সিরিয়ালগুলোর ইন্ট্রোর লিংক দিলাম নিচে







তারপরে অনেক সময় কেটে যায়। কোন এক ইংরেজি এক্সটেমপোরি স্পিচে আমার এক বন্ধু যখন তার প্রিয় টিভি সিরিয়াল হিসাবে একস ফাইলসের নাম বলে নিজেকে কেমন জানি বেকুব বেকুব মনে হয়। সেই বেকুব লাগা বাড়ে সিরিয়ালটা দেখার পরে। তখন বয়স নেহায়েত কম না। অথচ ফক্স মোল্ডডার আর স্ক্যালির ইংরেজির বর্ণও উদ্ধার করতে পারি না। সে কী যন্ত্রণা। পরে আশ্বস্ত হই এক বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে। সেই ডাক্তার দম্পতি আমার সাথে বসে একস ফাইলস দেখে যখন মানে বুঝতে ব্যর্থ হয় নিজের মনে সান্তনা খুঁজে পাই। তবে নায়িকা আর সূচনা মিউজিকের টানে তারপরেও দেখা হয় একস ফাইলস।


এক বিংশ শতাব্দীতে ঢুকার পরে কোন এক অজানা কারণে টিভি দেখায় বেশ বিরতি পরে। তাই এরপরে অনেক সিরিয়াল বিটিভিতে চললেও দেখা পরে না তেমন। আর তাছাড়া স্যাটেলাইট ও একাধিক বাংলা চ্যানেলের চাপে বিটিভিও জৌলুস হারায় কিছুটা। নিজের ভালো লাগা শেষ সিরিজের নাম করতে হলে বলতে হবে Click This Link target='_blank' >সিন্দবাদের কথা। এই সিন্দবাদ আলিফ লায়লার টিউবলাইট সিন্দবাদ না। বরং এইটা হইলো মডার্ন স্মার্ট সিন্দবাদ। সাথে মিভের উপস্থিতি এর তুমুল জনপ্রিয়তাকে ভিন্ন মাত্রায় পৌছে দেয়। মনে করতে পারি আমাদের কলেজে সপ্তাহে একদিন টিভি দেখার বিরতি থাকতো সেটা হলো সিন্দবাদের জন্য। আর তখন টিভির রুম ভরে যেত এর তুমুল জনপ্রিয়তায়। সিন্দবাদের ইন্ট্রো দেখে নস্টালজিক না বরং সিরিজটিই দেখা শুরু করেছি বলা যায়।



শুরু করেছিলাম স্মল ওয়ান্ডার নামক সিরিজ দিয়ে। এই ব্লগ লেখার ফাঁকে সিরিজটার ১৫ টা এপিসোড দেখে ফেলেছি। সেই পুরনো সময়ের সিরিয়াল আবেদন হারায়নি এতটুকুও। ফাঁকে ফাঁকে সেই রোবট ভিকি চরিত্রে অভিনয় করা মেয়েটির নার্সরূপী বর্তমান ছবিও খুঁজে পেলাম। একইভাবে রোবোট বোনের ভাইটির বর্তমান ছবি দেখেও বেশ মজা লাগলো। সময় এগিয়ে যাবে আমি আমরা সবাই বুড়ো হবো অথবা হারিয়ে যবো মহাকলে। শুধু হারিয়ে যাবে না শৈশব স্মৃতিগুলো কবিতা গান নাটক সিনেমা কিংবা সিরিয়ালের ভাঁজে ভাঁজে আঁটকে থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫৯
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×