somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্ন মৃত্যু অথবা ভালোবাসার গল্প

১২ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বপ্নেরা সুন্দর হয়,ভালোবাসা বিষণ্ণ হয় , জন্ম হয় শুভ্র অথবা শীতল। আগমনে চঞ্চল হয় এক অথবা দুফোটা জলকণা। আর নিশ্চলতার মাঝে শুরু হয় গতির। সেই গতির টানেই শুরু হয় তার অথবা তাদের যাত্রা।শুভ্রতার বুক হতে সে নেমে আসে কেবল। আঁধার অরণ্য তাকে আলো দেখিয়ে শোনায় একটানা একঘেয়ে নৈঃশব্দ্যের গান। সেই গানে তারা সঞ্চারিত হয় ক্রমশ। পাথরের বুক চিড়ে বের হয়ে আসে যেন।জন্ম হয় শুভ্র, শুভ্রতা বিলীয়মান হয় জীবনের গতিতে।তপ্ত রৌদ্র বেগবান করে তার স্রোতকে।নিশ্চল পাথুরে ভালোবাসায় বেড়ে উঠে সে ক্রমাগত বিদীর্ণ করে তার জননীর বুক অথবা সে জননী যেন হাসিমুখে বরণ করে নেয় জন্মের বেদনা। সে অথবা তারা ছুটে চলে বারিধারা হয়ে ক্রমাগত জীবনের স্রোতে।

তারপরে , তারপরে গান শুনে সে। শব্দের গান ক্রমাগত তার কানকে বিদীর্ণ করে। তার বেড়ে উঠার পথ ক্রমাগত পঙ্কিল হয়।সে তাদেরকে দেখতে পায় না কিছুদূর গিয়েই। পথ আলাদা হয়ে যায় তাদের-- অথবা তারাই আলাদা করে নেয় তাদের চলার পরিধিকে।চলার পরিধি বড় হয়, বড় হয় জন্মের মত কষ্ট নিয়ে।ভালোবাসার নীল আকাশ ক্রমাগত দূরে সরে যায় ধূসর বিষণ্ণতা নিয়ে।তবু সে ছুটে চলে দূরের আকশের সাথে কথা বলে। তাদের মনে জাগে জন্মের কথা, পাহাড়ের কথা নৈঃশব্দ্যের কথা।এগিয়ে যায় সে সময় অথবা জীবনের স্রোত বেয়ে।তার পথ বেয়ে হয়তো নতুন বারিরা আসে। আসতেই থাকে তারা ক্রমাগত..... কখনো চেনা কখনো অচেনারূপে।সেইসব বারিদেরও থাকে জন্মের গল্প অথবা ভালোবাসার গল্প অথবা দুটোই। কখনো সে টের পায় বিষণ্ন কোন নিস্তরঙ্গ গল্পের। যা বয়ে নিয়ে আসে কিছু তার মতো করেই তাদের মাঝে।

তার অথবা আমার অথবা আমাদের পরিসর বিস্তৃত হয়। আমরা জাগিয়ে যাই আমাদের পাশের কোন সত্তাকে অথবা আমরা দেই নতুন জন্মের। সেই জন্ম লাভ করে হয়তো শুভ্র বিষণ্ণতায়। আমাদের মাঝ হতেই জন্ম নেয় নতুন স্রোতের নতুন সময়ের নতুন জীবনের। আমরা এগিয়ে যাই "আমরা" হয়ে। কেউ কেউ হয়তো "আমরা" হতে চলে যায় আবার কেউ "আমরা"র মাঝে যুক্ত হয়। আমরা যেন দিগভ্রান্ত কোন এক তরীর মত ইতস্তত ছুটে বেড়াই......কখনো নোঙর করি কোন এক অজানাতে। তারপরে "অজানা" পুরোপুরি জানা হবার আগেই আমরা জন্ম দেই বিরহের।বিরহের বিষাদ আমাদের কাছে বিদায়ী সূর্যের রক্তিম আভা মনে হয়। আমাদের ভালোবাসার আকাশের কষ্টে আমরা মুষড়ে যাই যেন।

আমি অথবা সে অথবা আমাদের গল্প এগিয়ে চলে।আমি অথবা সে আমাদের জন্য অথবা "আমরা" তার জন্য অথবা আমার জন্য।বিরহ বিষাদ স্বপ্ন জন্ম ভালোবাসা নিয়ে আমরা ক্রমেই ছুটে যাই। আমাদের চলার পথ আর আগের মত পাষাণ বিদীর্ণকারী গতি নিয়ে যায় না। পিছনের স্রোত আমাদের ক্রমে এগিয়ে নিয়ে যায়। জোছনার গল্প স্বপ্নের গল্প হয় না আগের মতো।ভালোবাসা নিয়ে আকাশ আমাদের কাছে আসে কান্না অথবা বৃষ্টির ন্যায় আমাদের রূপ নিয়ে। আমরা জোছনার গল্প নৈঃশব্দ্যের গল্প পাহাড়ের গল্প বলে চলি কেবল।ভালোবাসার আকাশ স্বপ্নকে মেলে ধরে কোন এক জোছনা ভেজা রাতে।

কান্নারা কষ্ট হয় না ....... আকাশের ভালোবাসা হয়ে সে মিশে যায় আমাদের মাঝে। আমরা এগিয়ে যাই। তারপরে আবার যেন আমরা অথবা তারা থেকে আমি অথবা সে হয়ে যায়। তার পথ ধরে এগি্যে যেতে থাকে। হঠাৎ করেই তার সামনে শূন্যতা অথবা অসীমত্ব দেখতে পায় সে। অসীম নীলের মাঝে সে ছড়িয়ে যায় মৃত্যুর নীলে নীল হয়ে।জন্মের মতো বিষণ্ণতা নিয়ে তা হয় না। বরং সে চলে যায় জোছনার স্বপ্ন সবার মাঝে ছড়িয়ে। সেসময় আকাশ লাল থাকে বিরহ বিষাদে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×