প্রথমেই সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী নিয়মিত আপডেট দিতে না পারার জন্য।
গত কয়েক দিনে আমাদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়েছে। কিছু কিছু কাজ আমার একাই করায় বেশখানিকটা চাপের মধ্যে ছিলাম। পাশাপাশি চাকুরিটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা জন্যই আমি নিয়মিত হতে পারছিনা।
থানা-পুলিশ, ডাক্তার-উকিল, মানবধিকার সংগঠন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বারিধারা-ধানমন্ডি, গুলশান-বনানী, লালমাটিয়া-ফকিরাপুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে সদর ঘাটের লঞ্চ র্টামিনাল কিংবা সারা রাত নিউমার্কেটের ফুটপাতে মিলিয়ে পার করতে হয়েছে এই দিনগুলো। সর্বশেষে আমি নিজে অসুস্থ্ হয়ে পড়ি গত বুধবার রাত থেকে বুকের ব্যাথায়। এই সবসীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমি বেশ কয়েকবার আপডেট দিতে চেয়েছি। বাসায় ফেরার পর সিটিলেট জুম সার্ভিসের অসহযোগিতা, আমার সীমাবদ্ধতাগুলোকে আরো প্রকট করে তুলে।
কৈফিয়ত না বাড়িয়ে এই কয়েকদিনের আপডেট গুলো জানাচ্ছি।
১. ব্লগার জানার আর্থিক ও বিশেষ সহযোগিতায় আক্তারকে প্রথমে আমরা বারিধারার এম এ ওহাব মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কাছে নিয়ে যাই। তিনি এক্সরে করতে দেন এবং ২য়দিন রির্পোট দেখে কাছে ড. শামছুদ্দিন আহমেদের কাছে রেফার করেন।
২. ড. শামছুদ্দিন আহমেদ প্রাথমিকভাবে এক্সরে রিপোর্ট দেখে একটি আপরেশনের জন্য পরামর্শ দেন। এটির প্রাথমিক ব্যয় ৭০-৮০হাজার টাকা। (শুধুমাত্র আপারেশ প্যাকেজ)
৩. ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তাকে দুদিন নেওয়া হয়েছে। সেখানেও এক্সরে করা হয়েছে। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে আবার আগামী মঙ্গলবার আবার যেতে বলেছেন।
৪. প্রথম আলোর হাসান ভাই ইতিমধ্যে আক্তারের সঙ্গে দেখা করেন এবং প্রথম আলোতে রিপোর্টটি প্রকাশ প্রায় গতকাল ০৩.০৯.০৯। বেশ কয়েকজন প্রথম আলোতে যোগাযোগ করেন। তার মধ্যে একজন আজ সকালে ১১টায় ১০০০০/=টাকা দিয়ে যান। হাসান ভাইয়ের উপস্থিতিতে।
৫. প্রথম আলোর রিপোর্টের পর সরকারী পর্যায় থেকে যোগাযোগ করা হয়।
৬. ধানমন্ডি থানায় আক্তারকে নিয়ে একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি জিডি করেন। যার নাম্বার হল ১৯৪৮ , ২৭.০২.০৯।
৭. বিভিন্ন ব্লগাদের পরামর্শে আইন-সালিশ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সহযোগীতার করবে বলে জানিয়েছেন।
৮. আক্তারের বাবাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একদিন ব্যবধানে গতকাল আক্তারকে আবার একটি এজিওর রেস্ট হাউজে পাঠানো হয়েছে।
৯. আক্তারের চিকিৎসার মূলকাগজপত্র একটি আইন প্রয়োগ সংস্থার কাছে রয়েছে। অল্প কিছু ফটোকপি তার কাছে ছিল কিন্তু গত বুধবার তাও হারিয়ে যায়। এই মুর্হূতে তাদের কাছ থেকে কাগজগুলো আনা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তাই আক্তারের বাবাকে আবার আসতে বলা হয়েছে কাগজগুলো সংগ্রহরের জন্য।
১০. গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের একজনের পরামর্শে আপারেশনটি পঙ্গু হাসপাতালে করার জন্য বিস্তারিত বরিবার পঙ্গু হাসপাতালের সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ করা হবে।
সর্বশেষ একটা খারাপ সংবাদ। আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ওর ডান হাতটি ক্রমেই খুব ধীরে চিকন হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ফোন দিয়ে পরামর্শ জানাচ্ছেন। জানা, মঞ্জু ভাই, হাসান, মুয়েদ, জহির, তারেক, জাহিদ, নাম প্রকাশের অনিচছুকসহ সকল ব্লগারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।