somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নুরুল আলম আতিকের 'ডুবসাঁতার'

১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটি গল্পের চমৎকার গাঁথুনি অবশ্যই নির্মাতার গল্পবলার দক্ষতাকেই প্রমান করে। গল্পটির চিত্রায়ন সিনেমা হয়ে উঠবে এমন কোন কথা নেই। ডুবসাঁতার এ রেনুর গল্পটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার গল্প। একটি গল্প শুধু একজনকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় না। তার পরিপার্শ্ব থাকে। নান্দনিক কিংবা নিন্দিত চারপাশ থাকে। ডুবসাঁতারের গল্পগত বুন শৈলী নান্দনিক। এটি অবশ্যই একজন সিনেমাকরিয়ের দক্ষতা ও মুন্সিয়ানার ছাপ। ডুবসাঁতারে রেনুর গল্প মানে শুধু রেনু একা নয়। তার চারপাশের মানুষগুলোকেও চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। রেনুর বালিকাবেলার বন্ধু ও ভাইয়ের চরিত্রটি ডে বর্তমানে অন্ধ, তাকে খুব চমৎকার ভাবে আনা হয়েছে। রেনুর অবাধ্য ছোটভাই, মধ্যবিত্ত পরিবেশ, রেনুর মা-- এ চরিত্রগুলোর উপস্থাপনা মেকি মনে হয়নি। খুবই স্বাভাবিক সাবলীল আর সহজ মনে হয়েছে। সিনেমার গল্প হবে শয়নভঙ্গিও মতো সহজ সরল স্বাভাবিক। একজন সিনেমা করিয়েকে এটা জানতে পারতে হবে। ডুবসাাঁতারের বুনন সেকথাই মনে করিয়ে দেয়।

তারপরও ...চিত্রকল্প।
ডুবসাঁতার এর চিত্রায়ন যথেষ্ট নান্দনিক মনে হয়েছে। কিছু কিছু ছবি খুব চমৎকার ভাবে তোলা সম্ভব হয়েছে। এর চেয়ে ভালো আর সম্ভব নয়- এমন। তবে এই ধারাবাহিকতাটি ধরে রাখার মত দক্ষতা একজন সিনেমা করিয়ের থাকতে পারতে হবে। কিছু কিছু দৃশ্য দেখে খুবই নিম্নমানের মনে হয়েছে। সিনেমা এখানে তার ভাষা হারিয়ে ফেলবার সংকটে পতিত হয়েছে। সিনেমাকরিয়ে’র পরিমিতিবোধ এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও আমাদেরকে সিনেমানির্মনের মহাযজ্ঞ ও বিভিন্ন সীমাব্ধতার কথা মাথা রাখতে হবে। নির্মানের নেশা যেটিকে ছাড়িয়ে গেছে।

এবং ... সঙগীত।
ডুবসাঁতারের আবহসঙগীত অনেকটাই হৃদয়ছোয়া এবং দৃশ্যের সাথে সঙগতিপূর্ণ। কিন্ত আপাদমস্তক এই টেলিফিল্মটিকে ইনজেকশনের মাধ্যমে তিন চারটি গান প্রবেশ করিয়ে এটিকে সিনেমা বানাবার চেস্টা করো হয়েছে। এই মতামতটিকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। এটি একটি নাগরিক জীবনের গল্প এতে কয়েকটি লোকজ গান আনাটাকে দুই ভাবেই দেখা সম্ভব। নাগরিক জীবনে এটি আপ্রাসঙ্গিক ও ভাবা যেতে পারে। আবার এও ভাবা সম্ভব যে এই চরিত্রগুলোর বুকের গহীনে লুকিয়ে ছিল বাংলার আবহমান লোকজ উপাদানসমূহ। যিনি সিনেমা-দেখিয়ে তার চোখের প্রসারতা থাকতে হবে। একটি গতানুগতিক ও সুনির্দিষ্ট ভাবনার মধ্যে তাকে আটকে ফেলাটা বোকামী।

তাছাড়া ... অভিনয়।
সিনেমার সবগুলি চরিত্রের কুশলী অভিনয়শিল্পিদেরকে নেয়া হয়েছে। যাকে যে চরিত্রে শতভাগ উপযক্ত মনে হয়েছে তাকেই সম্ভবত ডাকা হয়েছে। এটিও একজন নির্মাতার দক্ষতা।
সিনেমার ভাললাগা দর্শকের রুচি, সংস্কৃতিবোধ ও স্বাদনির্ভর। সুতরাং সবাই তার নিজের মতো করে সিনেমা দেখার ও ভালোলাগার দায়ভার বহন করুক।

ফুটুক
যার যার চোখের ফুল
নিজের মতো করে।



প্রধান চরিত্র :
রেনু : জয়া আহসান
রোকন : অশোক বেপারী
রেহান : শাহরিয়ার শুভ
মা, আয়েশা : ওয়াহিদা মল্লিক জলি
চোর, পাখি : দেবাংশু হোর
ড্রাগ অ্যডিক্ট, ইমরান : ধ্রুব
পুনম : শ্রাবস্তী আদনান তিন্নি
সানি : স্বাধীন খসরু
মিথিলা : সুষমা সরকার
রেনুর অফিস কলিগ১ : অপু
কলিগ২ : কাকলি
কলিগ৩ : শামিম ভিস্তি
দিভিয়া : স্বাগতা
ছোট রেনু : সাদনিমা
ছোট রোকন : কুনাল
তরম্নণী মা : মীনা
পাড়ার মাসত্মান : শাহরিয়ার সজীব
দোকানি : জুনায়েদ হালিম

সংলাপ : মাতিয়া বানু শুকু
সিনেমাটোগ্রাফি : রাশেদ জামান
আর্ট ডিরেক্টর : লিটন কর
সম্পাদনা : ইকবাল কবির জুয়েল
সাউন্ড ট্র্যাক : ভিক্টর
গান : জয়া, শেহজাদ, স্বাগতা, প্রদীপ
কালারিস্ট : বিদ্যুৎ, মুভিওলা
স্টিল : শেহজাদ, মুমিত, তুমান, রাজিভ
প্রিন্ট ডিজাইন : সব্যসাচী হাজরা

প্রযোজনা : ক্যাওস সেভেন

চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : নূরুল আলম আতিক
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৩
১০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি....

বিএনপি জানে তাদের মূল প্রতিপক্ষ কারা.....
ছাত্রসমন্বয়করা জানে রাজনীতিতে তাদের দৌড় কতদূর...

তারেক রহমানের যখন দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসছে তখনই হাসনাত গং নানান কাহিনী শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা সংক্রান্ত পূর্বাভাস

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

পিউ রিসার্চের ২০১৫ সালের একটা জরীপের ফলাফল নিয়ে এই পোস্ট দিলাম। পিউ রিসার্চ একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সামাজিক জরীপ এবং গবেষণা সংস্থা। এই জরীপের বিষয় ছিল, ২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্বেতশুভ্র সোর্ড লিলি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৪



সোর্ড লিলি বা মেক্সিকান সোর্ড লিলির নামের সাথে লিলি থাকলেও এটি আসলে লিলি বা লিলি পরিবারের কোনো ফুল নয়। কিভাবে কিভাবে যেনো এর নামের সাথে লিলি জুড়ে গেছে। এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ কেন দাবী করলো না এনসিপি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৫


বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে আওয়ামী লীগ দলটি এখন ফুটবলের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ না পুনর্বাসন ইস্যুতে বড়ো ছোটো সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। নবগঠিত রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

"মিস্টার মাওলা"

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০৯


বিটিভিতে খুব সম্ভবত আগে একটি বাংলা ছবি প্রচার করা হতো , নাম 'মিস্টার মাওলা'। নায়ক রাজ রাজ্জাক, অভিনিত ছবির সার-সংক্ষেপ কিছুটা এমন: গ্রামের বোকাসোকা, নির্বোধ ছেলে মাওলা‌। মাকে হারিয়ে শহরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×