উত্তরে-দক্ষিনে, পূর্বে-পশ্চিমে, ঈশানে-নৈঋতে
বাড়ছে দেবালয়;
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা
আহা! কি মনোরম....
কিন্তু দেবতার পৃথিবী কই?
শয়তানের চরণে পূজো দিয়ে তৃপ্ত
আমি তুমি ও সে ...
বারুদের দোকানে বসে
শান্তির প্রতিশ্রুতি দেয় সমাজপতি।
নেশায় বুঁদ নগরে নাগরিক
করতালি দেয়, হাসে,
শঙ্খ বাজায় ভ্রান্ত উল্লাসে...
আর নেতার বুক পকেটে তখন
ধারালো খঞ্জর, চাপাতি চকচক করে হাসে।
রাতভর কানাকুয়োর বাসায় চলে
আজরাঈলের ফিসফিসানি।
রাজপথে, মাঠে ময়দানে,শোবার ঘরে
খুনির আস্ফালন আর মৃত্যুর গোঙ্গানী।
আততায়ীর বুক পকেটে নিশ্চিন্ত ঘুমায় রাষ্ট্র
নগর উদ্যানে শুয়ে থাকে বেওয়ারিশ লাশ
পাটক্ষেতে, ধানেক্ষেতে, ডাস্টবিনে
খন্ডিত মানব মস্তক,
রক্তের নহরে ক্ষুধার্ত কুকুরের উল্লাস।
ডোমঘরে হরদম ব্যস্ততা, স্তব্ধ বিবেকের কন্ঠস্বর
শোকের মিছিলে চুপিসারে নেমে আসে লজ্জিত ঈশ্বর ।