গাজীপুর-৪ আসনের (কাপাসিয়া) সাংসদ তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি জাতীয় সংসদের স্পিকার। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় তাঁর পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি বলে স্পিকার আবদুল হামিদ জানান। একই সঙ্গে স্পিকার এ পদত্যাগপত্রটি সোহেল তাজ নিজে করেছেন কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন।
আজ বুধবার সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের স্পিকার বলেন, ‘সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করা হলো না।’
গত ২৩ এপ্রিল জাতীয় সংসদের সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করে পত্র পাঠান সোহেল তাজ। তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আবু কাউসার ওই দিন প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছিলেন, তিনি সোহেল তাজের পদত্যাগপত্রটি সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কার্যালয়ে নিয়ে যান। ওই কার্যালয়ের মোহাম্মদ শামীম নামের একজন কর্মকর্তা পদত্যাগপত্রটি জমা রাখেন। ওই সময় স্পিকার কার্যালয়ে ছিলেন না।
স্পিকারকে উদ্দেশ করে লেখা পদত্যাগপত্রে সোহেল তাজ বলেনঃ-
‘মহোদয়,
আসসালামু আলাইকুম। আমার নির্বাচনী এলাকা ১৯৭, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া)। আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৭(২) ধারা মোতাবেক আপনার নিকট আমার পদত্যাগপত্র পেশ করলাম। ধন্যবাদান্তে,
তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)।’
সোহেল তাজ ২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।