যুদ্ধের ইতিহাস বরাবরই আমার প্রিয়।পাঠক হিসেবে কোন বাচ-বিছার না করেই সব যুদ্ধ ইতিহাস আমি পড়ি।মানে কিনা ছাপার হরফে সব যুদ্ধ ইতিহাসই আমার পাঠ্য।এবং সব পাঠকের মত দুই বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস স্পেস্যালি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস বেশী প্রিয়। হিটলার চরিত্রটির মধ্যে এত বেশী রকমারিতা আছে যা বারবার পড়লেও পুরোনো হয়না।ব্লগটি ধারাবাহিক ভাবে লেখার ইচ্ছা অাছে।ব্লগটি লিখতে আমি কিছু বইয়ের সরাসরি সাহায্য নিয়েছি।যেমনঃ(1)Battle For The World’by-Max Warner(2) The Rise And Fall Of The Third Reich’by- William L. Shirer(৩)থার্ড রাইখ-জিল্লুর রহমান এ ছাড়াও অনেক বই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সবচেয়ে সুখপাঠ্য বইটি হচ্ছে The Rise And Fall Of The Third Reich’by- William L. Shirer
কিন্তু দুঃখের বিষয় বইটির কোন হুবহু বাংলা অনুবাদ নেই।
এই ব্লগটিতে হিটলার নায়ক। হিটলারই প্রতিনায়ক।এখানে হিটলারের জাতিয়তাবাদী গুন এবং চরম একনায়কতন্ত্রের দোষ।তার দেশের প্রতি ভালবাসা ইহুদীদের প্রতি নৃশংসতা সবই বিচার করবেন বিবেচক ব্লগারগন।সামুতে এটাই আমার প্রথম পূর্ণাঙ্গ পোষ্ট।বাংলা টাইপ যচ্ছেতাই স্লো।অাশাকরি নবিন ব্লগারের বানান ভুল ও ব্লগ লেখার অপপ্রয়াস উৎসাহিত করবেন।
ভূমিকা
অবসান ঘটছে পুরোনো জার্মান প্রজাতন্ত্রের।
১৯৩৩ সাল।জার্মানীর ইতিহাসেঘটতে চলেছে এক নতুন ঘটনা।
উৎকন্ঠা আর অস্বস্তিকর আবহাওয়া সারা বার্লিন জুড়ে।
জার্মানবাসী লাভ করবে এক নতুন শাষনতন্ত্র-নামঃ থার্ডরাইখ।
বিচিত্র ঘটনাবহুল সেই ইতিহাস। এডলফ হিটলারের কথা ভাবলে সত্যিই ভেসে ওঠে একরাশ বিষ্ময়!!
এডলফ হিটলার
ওটো ভন বিসমার্ক
পল ভন হিন্ডেনবার্গ
ফ্রেডারিখ দ্য গ্রেট
বিসমার্ক, হোহেন জোলার্ন আর সম্রাট হিন্ডেনবার্গের উত্তরসুরী হিসেবে ওই অষ্ট্রিয়ান কৃষক বংশের সন্তান!!!
এটা তখন যে এক অসম্ভব কল্পনা!!!
প্রথম মহাযুদ্ধে পরাজিত হলে ভার্সাই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয় জার্মানীকে।ভার্সাই চুক্তি বা সন্ধির শর্ত হিসেবে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয় জার্মানীর সেনাবাহিনীকে।
ঠিক করা হয়,শান্তি রক্ষার জন্য যত বড় সেনাবহিনী রাখা প্রয়োজন জার্মনীর তার চাইতে বড় সৈন্যবাহিনী গড়ে তুলতে দেওয়া যাবেনা। মোদ্দাকথা জার্মান সেনাবাহিনীতে সৈন্যের সংখ্যা কখনও ১ লক্ষের বেশী হতে পারবেনা।আর অফিসারের সংখ্যা হবে মাত্র ৪ হাজার।সব ধরনের যুদ্ধ উপকরণ, অস্র,গোলা-বারুদ এ সবের পরিমানও নির্দিষ্ট কোটায় বেঁধে দেওয়া হয়। নিষিদ্ধ হয় সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক অর্ন্তভূক্তি। জার্মানীর নৌ ও বিমান বাহিনীও এই নিষেধাজ্ঞার অর্ন্তভূক্ত হয়। হিটলার বা বলা চলে বেশীরভাগ জার্মান নাগরিক মনে করতেন এটা জার্মন জাতির জন্য চরম অবমাননাকর সন্ধি। বরং সন্ধি চুক্তি নয়, সন্ধির নামে বিশ্বাসঘাতকতা।
আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে জার্মানীর অর্থনৈতিক দুরবস্থার পেছনে ছিলো ইহুদীদের কালো হাত। ভার্সাই চুক্তির পেছনেও হাত ছিলো ইহুদীদের-মনে করতেন হিটলার।
অতএব প্রতিশোধ নিতে হবে।হিটলার তার যুদ্ধ উন্মাদনায় নরহত্যার নজির স্থাপন করেছেন।
আজ তেষট্টি বছর পরও মানুষ ভুলতে পারেনি সে-সব ভয়াবহ স্মৃতি।আজো শত-শত বই,নাটক,সিনেমা,ডকুমেন্টরি নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে। রুশব্লক ভূক্ত দেশ গুলো লেখে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা পশ্চিমারা লেখে পশ্চিমের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তু প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব কার তার বিচার করবে ইতিহাস।
............চলবে
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধঃ জানুন নাৎসী রননীতি ও ব্লীৎসক্রীগের ইতিহাস-২
তৃতীয় পর্ব