ঈদ এখন এক নিরানন্দময় উপলক্ষ্য।
কিতাবে আছে ধনী-গরীব অবিভাজনের কথা বরং এদিন আরো প্রকটতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয় বিভেদরেখা কেননা আমরা আমাদের রাষ্ট্র- সমাজব্যবস্থা ও জনগণকে সেভাবে দিয়েছি ঘিয়ে ভাজা রেসিপি! কত লোক পরিবারের সাথে ইদ করতে বাড়ি যেতে পারেনি, সেই হিসাব কারো কাছে আছে? তাদের খবর কেউ রেখেছে? কত পরিবারে ইদের বাজার হয়নি। সে খবর কেউ রেখেছে? এরকমই আমাদের ইতিহাস। আমরা দেখেও দেখি না। শুনেও শুনি না।
সারাবছর দেখা নেই, সাক্ষাৎ নেই, মোলাকাত নেই,
মহব্বত নেই প্রেম নেই- ঈদ এলেই আবর্জনার মতো আসিতে থাকে নির্জলা মিথ্যাচারপূর্ণ 'ইস্টিকার ম্যাসেজ!' আহা প্রেম গলিয়া গলিয়া পড়ে কিন্তু মুহূর্তেই উড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় কর্পূরবাড়ি! আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী দশ জোড়া জুতো কিনেছে। বললাম, এত জুতো কেন? বলল, এবার আপনার ছোট ভাই টানাটানির মধ্যে আছে। নইলে আমি ২০/২৫ জোড়ার কম কিনি না। যেসব মেয়েরা বাবার কাছে থাকাকালীন সুখ- বিলাসিতা করতে পারেনি, তারা স্বামীর ঘরে এসে মন ভরে বিলাসিতা করে নেয়।
গত একমাস যারা আমরা-
অনেক কষ্ট বা সাধনাপূর্বক কুলুপ এঁটে নির্বাকতা বরণ করেছিলাম তাদের জন্য মহাসুসংবাদ- গাঁ মানুক আর না-ই মানুক আপনিই আবার মোড়ল! আসুন প্রস্তুতি নেই কলহ-কুৎসা-রটনা-মিথ্যাচার-অনাচার- চোগলখোরিসহ যাবতীয় সুকর্মের! আমি শুধু দেখি চারিদিকে ক্রিমিনাল গুলো ওৎ পেতে আছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায়। দিন শেষে অন্যের পকেট কেটে তাদের খালি হাতে বাসায় ফিরতে হয় না। আমরা সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছি। এবং মনে মনে ভাবি আমরা জিতে গেলাম।
সবকিছু বদলায় শুধু বদলায় না কুকুরের লেজ-
এ কথা যারা বলেন বা আমিও বলি বটে এবং বুনো শুয়োরের পালে খুঁজে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি! আমি কি সাধু? আমি কি ভালো? আমি কি মহৎ? আমি শালা বিরাট বদ। অন্যায় দেখেও আমি চুপ থাকি। ভিক্ষুক হাত পাতলে ধমক দেই। রেস্টুরেন্টে খেয়ে হাজার টাকা বিল দেই। টিপ দেই শখানেক। অথচ ভিক্ষুককে দেই ধমক। গতকাল মসজিদের সামনে থেকে তরমুজ কিনছিলাম। তখন এক ভিক্ষুক এসে আমার হাত ধরলো। ভিক্ষুকের পুরো শরীর নোংরা। হাতের নখে ময়লা জমে আছে। ভিক্ষুকটার উপর খুব রাগ হলো। ইচ্ছা করলো একটা লাথথি দেই। হারামজাদা ভিক্ষা চাইবে, ভালো কথা। নোংরা হাতে আমাকে ধরলো কেন?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৯