বর্তমানে ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭০,০০০টি যার আয়তন ৯৪০,০০০ একর বা ৩,৮০৮ বর্গ কিমি জমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এস সম্পত্তির মোট মূল্য ১,০০,০০০ কোটি রুপি বা ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ভারতীয় রেলওয়ে ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর পর ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম সম্পত্তি। ওয়াকফকৃত এই সম্পত্তিতে রয়েছে প্রায় ৯ লাখ স্থাপনা। এ সবকিছুই গড়ে উঠেছে মুসলিম শাসক, রাজনীতিক ও সাধারণ মুসলিমদের দানে, ফলে ওয়াকফকৃত সম্পদ পরিচালনা ও ভোগের একমাত্র দাবিদার মুসলমানরা।
মোদী গং তথা হিন্দুত্ববাদী বিজিপি সরকারের বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে দুর্বল করে দেওয়া এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও দখল করার আইনি পথ তৈরি করা যারা কিনা ইদানিং প্রতিটি মসজিদের নিচে মন্দির খুঁজে পাচ্ছে তারাই এখন নজর দিয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বে! কী আশ্চর্য!!
আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমরাও সদস্য হতে পারবে এমনকি তারা বোর্ডের প্রধান নির্বাহীও হতে পারবে। লক্ষনীয় বিষয় হলো রাম মন্দির অথবা অন্যান্য বড় হিন্দু স্থাপনার ট্রাষ্ট্রিবোর্ডে কোন মুসলিম নেই যারা কিনা সমতার কথা বলছে! এই বিলের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পদের ওপর রাষ্ট্রীয় হিন্দুত্ববাদী দখল প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা স্পষ্ট। এটি কোনো আইনি সংস্কার নয়, বরং মুসলমানদের ধর্মীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দেওয়ার হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের নগ্ন রূপ।
যারা নিজ দেশে সংখ্যলঘুদের নানা ভাবে প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রী থেকে সাধারণ কর্মী বিরতিহীনভাবে পদপিষ্ট করছে যেখানে সংখ্যা লঘু মুসলিমরা কোন কোন জায়গায় প্রকাশ্যে আযান দিতে পারেনা, গরুর মাংসের ধোয়া তুলে পিটিয়ে মারে। যেখানে নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের ধর্মীয় স্থাপনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ তাদেরকে ৩য় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেও গণ্য করেনা তারাই কিনা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ নিরাপত্তা চেয়ে কেঁদে কেটে আকুল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬