পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ গতকাল বুধবার ঢাকায় আসেন এবং আজ সকালে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন। মধ্যাহ্নভোজের পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং এর পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এখনোই তাদের কাছ থেকে আমাদের পাওনা আদায় করার মোক্ষম সময়। তাই প্রয়োজন দক্ষ কুটনৈতিক সংলাপ ও ঝানু কুটনীতিবিদ। বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপের মাধ্যমে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।
বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৯৭১ পূর্ববর্তী সময়ের হিস্যা অনুসারে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে। ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০ কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা এসেছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য যা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখা থেকে এই অর্থ লাহোর শাখায় সরিয়ে নেওয়া হয়। পাকিস্তান থেকে চলে চলে আসা বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৯০ লাখ টাকা ও সঞ্চয়পত্রের অর্থ ফিরিয়ে দেয়নি পাকিস্তান।
যুদ্ধকালে রূপালী ব্যাংকের করাচি শাখায় রাখা ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাও ফেরত দেয়নি। জনসংখ্যার ভিত্তিতেই অবিভক্ত পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশের অংশীদার ছিল বাংলাদেশ। বিদেশি মুদ্রা আর্জনে বাংলাদেশের অবদান ছিলো ৫৪ শতাংশ। আর যে কোনো সমতার নীতি অনুসরণ করলেও বাংলাদেশ অন্তত ৫০ শতাংশ দাবি করতে পারে। সেই হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থের অর্ধেক ৪৩৫ কোটি রুপির দাবিদার বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের আগে যে বিদেশি ঋণ এসেছিল অবিভক্ত পাকিস্তানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ আরো অন্যান্য ডেনারদের ঋণ ছিল। সেই বিদেশি ঋণ যা বাংলাদেশে ব্যয় হয়নি কিন্তু স্বাধীনতার পর দায় নিতে হয়েছে পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
পাকিস্তানের কাছ থেকে কড়ায় গন্ডায় আমাদের পাওনা বুঝে নেওয়ার এখনোই মোক্ষম সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২১