১. কল্পনা করুন...
৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট খালেদা জিয়া তার গৃহকর্মী ফাতেমা সহ হেলিকপ্টারে করে সৌদি আরব পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা শহরে তুমুল উল্লাস হয়। বিভিন্ন জায়গায় জিয়ার ম্যূরাল ভাঙা হয়। খালেদা জিয়ার বাড়ি ফিরোজা-তে অগ্নি সংযোগ করা হয়। গৃহবন্দী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়া হয়। বিএনপি’র প্রায় সব এমপি মন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে…
২. এই পর্যন্ত সবই ঠিক আছে। কিন্তু এর পর কী হতে পারত চলুন তা চিন্তা করি…
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ছাত্ররা দাবি করল বিএনপি-কে নিষিদ্ধ করতে হবে। ওবায়দুল কাদেরের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই বিএনপি-কে নিষিদ্ধ করতে হবে। জনগণ সেটাই চায়। প্রতিটা নেতা টক শোতে খালেদার বিচার আর বিএনপি’র নিষিদ্ধের পক্ষে কথা বলত। শেখ হাসিনা ঘোষণা দিত, ক্ষমতায় গিয়েই বিএনপি-র নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করে দিবে...
৩. অথচ...
১৬ বছর দৌড়ানি খেয়েও বিএনপি এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে না। এত নেতা কর্মী, গুম, খুন হওয়ার পরও আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করতে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ এক সুযোগ পেয়েই বিএনপি ক্ষমতায় যাতে কোনদিন না আসে সে ব্যবস্থা করেছিল বিভিন্ন সিস্টেমে। ২য় বার সুযোগ পেলে বিএনপি-কে তাদের কথা মত 'মুসলীম লীগ' বানিয়ে দিবে। জুলাই বিপ্লব না হলে ২০২৯ পর্যন্ত মির্জা আব্বাস, দুদুরা পল্টনে থাকত। সালাউদ্দিন এখনও ভারতে থাকত। আর বিএনপি এখনও সেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নে কোন কিছু বলছে না। সব দায় শুধুই ছাত্রদের। তারাই শুধু বলছে নিষিদ্ধ করার কথা…
৪. বিএনপি কি বোঝে না এই আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলেই আবার বিএনপি-র প্রতি প্রতিশোধ নিবে। এমনকি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের ভাল মত কাজও করতে দিবে না। হরতাল, অবরোধ দিয়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিবে। প্রশাসন, পুলিশ, আর্মিতে বিশাল সংখ্যক আওয়ামী সমর্থক রয়ে গিয়েছে। ফেসবুক দেখলে বোঝা যায় এদের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই, বরং অপেক্ষায় আছে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য…
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২০