জামাল ভাস্করের পোস্টে রাসেলের মন্তব্যটি বর্তমান ব্লগীয় পরিস্থিতি অনেকখানি উন্মোচিত হইছে, তাই এখানে পোস্ট আকারে দিলাম। আশা করি রাসেল মাইন্ড করবেন না।
এইখানে নৈর্ব্যক্তিকতা খুঁজে লাভ নাই, আদতে কোথাও নৈর্ব্যক্তিকতার চর্চা হয় না, একটা আপাত সমতা প্রদানের লোকদেখানো প্রচেষ্টা থাকে, তবে মানুষের নিজস্ব অভিরুচি এখানে প্রধান্য পায়।
কতৃপক্ষ কিংবা যারা মডারেশনের দায়িত্বে আছে তাদের অভিমান, অহং- এসব বিষয় কতৃপক্ষীয় সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিবেচনায় নীতিমালা এবং নৈতিকতার অবস্থানে নৈর্ব্যক্তিকতা কাম্য হলেও- কতৃপক্ষের ভাবধারা এমন- তারা এই যে দাক্ষিণ্য দেখাচ্ছেন এই সোশ্যাল ব্লগিং সাইটে সবাইকে মিনিমাংনায় লেখার সুযোগ দিয়ে- এটাতে যারা এখানে আছে তাদের সবার ধন্য হয়ে যাওয়া উচিত।
তাদের অভিমানের জায়গাটাতে যেই আবেগ- এই যে রাশেদ নামক ব্যক্তি তাকে যেই সম্মানটা দেওয়া হয়েছিলো, স্টিকি পোষ্ট করে রেখে রাশেদ এই সম্মানটা রাখে নি।
স্টিকি পোষ্ট করে রাখার ধারণাটাই তো ব্যক্তিতোষণের ধারণা- এখানে ব্যক্তিতোষণের ধাঁচ থাকলেই বা কি? আমাদের ভেতরেও একই আবেগই কাজ করছে- বিজ্ঞাপণের মোড়কটাই এমন,
এখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা আলোচিত হয়ে থাকে। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করা হয়- সেখানে যখন কৌশলী প্রচারণায় উস্কানির চর্চা হয় তখন কতৃপক্ষের বক্তব্য এটা আসলে যারা সে সময়ে দায়িত্বে ছিলো তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে ঘটেছে।
ব্যান করা, ব্যান করানো, আপত্তি জানানো- এই স্কুলের বাচ্চার জায়গা থেকে সরে আসতে না পারাটাও একটা বড় ব্যর্থতা-
সবাই অভিযোগ জানানোর মানুষ খুঁজছে- বড় ভাই ধরছে-
সবারই এই রীতি-নীতিতে অসুস্থ লাগে- দায়িত্ববোধ জন্মানোর সুযোগ নেই- দায়িত্বশীল হতে শেখার বিষয় নেই-
আধুনিকতার সংজ্ঞায় পড়ে প্রশ্ন উত্থাপন এবং মতামত প্রচার এবং প্রকাশের স্বাধীনতা- প্রশ্নের সাথে আমাদের মান অপমান বোধ থাকে- আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যর্থতা থাকে- আমাদের রাজনৈতিক ভুল এবং আমাদের নিজেদের সামস্টিক ব্যর্থতা এবং আমাদের অযোগ্যতার বিষয় থাকে।
এই জায়গাটাকে মেনে নিতে হবে। সামাজিক ভাবে আমরা যেই পাকিস্তান এবং ধর্মতোষণের জায়গা তৈরি করে রেখেছি- আমাদের ভেতরে অগাধ- প্রশ্নবিহীন বিশ্বাসের যে জায়গা- সেই জায়গাটা ভাঙতে আমাদের কেউ শেখাচ্ছে না। আমরা অন্ধ বিশ্বাসী- অন্ধ বিশ্বাসের জায়গাটা সব খানেই আছে-
অন্ধ বিশ্বাসী শুধুমাত্র ধর্মেই তা না- আমাদের এই যে আবেগের জায়গা- এটা থেকে আমরা বের হতে পারছি না-
১০ দিনের বনবাসের শাস্তিটা অনেকটা স্কুলের দুষ্টু ছাত্রকে ক্লাশের বাইরে নীল ডাউন করে রাখার মতো একটা বিষয়- কথা হলো
আমরা যখন মননে এখনও স্কুলের লেবাস পড়ে আছি তখন কতৃপক্ষ কঠোর শিক্ষকরের ভুমিকায় নামলেই বা কি দোষ? কঠোর এবং অযোগ্য শিক্ষকের পরিমাণ কম না- আমাদের মডারেটর পোষ্টে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত- যাদের বেতন দিচ্ছে সামহোয়্যার ইন কোম্পানি- তাদের অন্য অনেক কাজ আছে- এই সাইটের দেখভাল করা তাদের মূল কাজ না, এটা একটা বোঝা- এই বোঝা পালনে কারো তেমন আগ্রহ নেই- আর আগ্রহ নেই বলেই তারা যখন কতৃপক্ষের চোদনে এখানে এসে কতৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের কতৃত্ব ফলানোর প্রচেষ্টাতে একটা অক্ষম ক্ষোভ কাজ করে- এই ব্যক্তি আবেগের বলি হয় রাশেদ এস্কিমো-
মূল পোস্টঃ Click This Link