কয়েক মাস আগে কিছুটা ঘুরাঘুরির কাজে সুনামগঞ্জ জেলায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি চারিদিকে খালি পানি আর পানি। হাওড় বাওড় আর খানাখন্দে ভর্তি। এ যেন ওয়াটার ওর্য়াল্ড মুভির সেই জগতে এসেছি।

যেখানে এক মুষ্ঠি মাটি আর একটা লেবুর জন্য যুদ্ধ লেগে যায়। জেলার বেশীর ভাগ এলাকা বছরের বেশীর ভাগ সময় পানির নিচে থাকে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় থাকতে হয়েছিল কিছুদিন। এই এলাকার মূল বাহন নৌকা এবং মোটর সাইকেল। এই তাহিরপুর উপজেলাতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় হাওর। শনির হাওড়, মাথিনের হাওড় এবং সর্বোপরি টাঙ্গুয়ার হাওড়। শনির হাওড় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এবং দক্ষিণে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম হাওড় (দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওড় হলো মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওড়)। টাঙ্গুয়ার হাওড়ই বাংলাদেশের সর্ববৃহত হাওড়। যা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় শ্রেণীর পাদদেশে অবস্থিত এবং পশ্চিমে নেত্রকোনা জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। একদিন নৌকায় করে হাওড়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছিল। আমার মোবাইল ক্যামেরায় তোলা টাঙ্গুয়ার হাওড়ের কিছু ছবি এ্যাড করলাম।
১। গলা উঁচু করে থাকা হিজলগাছ।
২। মাঝে মাঝে কিছু আইলের মত উঁচু লাইন চোখে পড়ে। যেগুলো ছোট নদী তীরের বা খালপাড়ের অংশ।
৩। হিজল গাছের সারি। কিছুদুর পরপর পানির মধ্যে মাথা উঁচু করে থাকা হিজল গাছ দেখতে চমৎকার লাগে। পুরো হাওড় এলাকায় এরকম হিজল গাছের সারি চোখে পড়বে অহরহ।
৪। সন্ধ্যা ঘনানো গোধূলী বেলা। জলের বুকে আকাশের খেলা। আমাদের ফেরার সময় তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪