আমাদের পৃথিবীতে এখন বোধহয় কবিদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।সময় আসলেই বদলেছে,মাঝরাতের রাস্তায় পূর্ণিমা দেখতে বের হওয়া কবিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে খুব দ্রুত,মাঝরাত এখন টাকার দখলে- ওয়াইন,চাপা কথা,চাপা হাসি সব দখল করে নিয়েছে আর রাতের খোলা রাস্তায় বাইক রেসে নাকি অনেক সুবিধা। হায়!কি দুর্ভাগ্য আমাদের,কবিরা সব মরে যাচ্ছে,হেরে যাচ্ছে নিয়ত।
আমরা যারা যুবক ছিলাম তারা ভেবেছিলাম সব বদলে যাবে।আমাদের যাদের ভেতরে কবিতা ছিল,গান ছিল,ভালবাসার হাহাকার ছিল আমরা জানতাম কিছু একটা হবে,এই মৃত সময়ে সব কবিরা একসাথে এসে এই সভ্যতার ইটগুলো এক এক করে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিবে,একসাথে রাস্তায় শুয়ে আমরণ অনশন করবে গোলাপের স্বাধীনতার জন্য,কবিতার জন্য,মানুষের জন্য।কবিরা এসে সব চিড়িয়াখানা গুড়িয়ে দিবে, মুগ্ধ নয়ন আরও দীর্ঘ হবে হরিণশাবকের ছুটোছুটি দেখে।
তবে এর কিছুই হয়নি।কবিদের সকলকে দণ্ড দেয়া হয়ে গেছে অনেক আগেই,কালি ফুরিয়ে গেছে,কবিতা লেখার জন্য শেষ কাগজটুকুও রাখেনি কেউ।সমাজে কবিরা বড়ই অযোগ্য,অবাঞ্ছিত – কবিতা লিখে পেট চলেনা— কবিদের পেছনে লোমহর্ষক হাসাহাসি দেখে এই যুক্তি মেনে নিলাম আমরা এই নিদারুন অর্থনৈতিক সময়ে,চোখের সামনে কবিরা সব লাশ হয়ে গেল।
মাঝে মাঝে ভাবি পেটের দায়ে হাজার কবিতা খুন করে ফেলেছি।আমরাই কবিবিহীন প্রজন্মের মূলনায়ক- কবিরা আমাদের যুগে কবিতা লিখবে কেন??