এইটা কিছুক্ষন আগে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে তৈরি করা ফেসবুক নোট।বেশি কিছু লিখতে পারলাম না বলে নোটটি শেয়ার করে দিলাম।
আর কত মৃত্যু এভাবে চোখের সামনে দেখতে হবে আমাদের??বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীতে ঘুরতে গিয়ে ডাকাতদের হাতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই ছাত্রকে এভাবে লাশ হয়ে ফিরে আসতে দেখেও চোখ বুজে থাকবো আমরা ??ঘটনার রাতেই প্রক্টরকে পুরো ঘটনা জানানোর পরেও পুরো রাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদেরকে উদ্ধারের কোন চেষ্টা-ই করা হয়নি,যদি তা করা হত তাহলে অন্তত আমাদের প্রিয়দুটি মুখের কথা মনে করে এই অপরাধবোধে ভুগতে হতনা যে “অনিক – খায়রুল, তোদের জন্য কিছুই করতে পারলামনা”।পিতৃহীন খায়রুল এবং বাবা মায়ের বড় ছেলে অনিকের মৃত্যুর এই দায় আমাদের,এই দায় সব ছাত্রের,এই দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অবহেলা এবং ফারুক স্যার কর্তৃক লাশের মুখের সামনে দাড়িয়ে সিগারেট খেয়ে লাশের প্রতি চরম অবমাননার দরুন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তিন দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ ও অনির্দিষ্ট কালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
তিন দফা দাবিঃ
১।দায়িত্বে অবহেলার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
২।লাশের প্রতি অবমাননার দরুন ফারুক স্যারকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩।অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি কারজকর করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলা হল।