এই জীবনে চলার পথে কত শত মানুষের মুখ হৃদয়পটে আঁকা হয়ে যায়। কত শত মুখ হৃদয়ের মনিকোঠায় গেঁথে থাকে, কত শত মুখ হারিয়ে যায়। ঠিক তেমনই ব্লগে চলার পথেও কত শত নিকের সাথে পরিচয় হয়, গড়ে সখ্যতা এবং কারো কারো সাথে চরম শত্রুতা বা বিরক্তিতা। কারো কারো নিক দেখলেই মুখ হাসি হাসি হয়ে ওঠে, মন আনন্দে আনচান করে আবার কারো কারো নিক দেখলেই গা জ্বলে যায়, মনে হয় টুঁটি চেপে ধরি। এসবই ব্লগীয় শত্রুতা, ব্লগীয় সখ্যতা কিংবা বিরক্তিতা। সত্যিকারের সামনের মানুষ হলে সব কিছুই হয়ত অন্যরকম হত। হয়ত কথাও হত না কারো কারো সাথে। ফিরেও তাকাতাম না। কেউ কেউ ধারে কাছেও আসতো না হয়ত। ব্লগের এই নিকগুলো আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান পায় সখ্যতায় কিংবা অমিত্রতায়। সে যাই হোক না কেনো হঠাৎ বা ক্রমে তারা অনেকেই হারিয়েও যায়। এমন কত শত নিক হারিয়ে গেছে। ফেলে গেছে ভালোলাগা বা ভালোবাসার ছায়া। তাদের নিয়ে অনেক লিখেছি। আজ লিখতে চাই যারা ছায়া ফেলে গেছে ইতিবাচক স্মৃতির জায়গায় অবশেষে নেতিবাচক স্মৃতিগুলি।
সেটা ছিলো ২০১২ এর কথা। ব্লগে যদি আমার কাছে চির স্মরনীয় কোনো প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষ থাকে সে ছিলো তাদের মাঝে অন্যতম! কারণ তিনি যেমনই খুব দ্রুত প্রিয় থেকে প্রিয়তর হয়ে উঠেছিলেন আমিসহ অনেকেরই। ঠিক তেমনই খুব দ্রুতই অপ্রিয় হয়ে গেছিলেন তিনার স্বভাবজাত অভব্য আচরণের কারণে আমিসহ অন্যান্য সকলের কাছেই। আজীবনের প্রিয়, আমার দেখা বুদ্ধিমান প্রাণীদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান ব্যক্তি জিনিভাইয়া একটা কথা বলেছিলো, লজিক্যাল মানুষের সাথে তর্ক চলে, বিতর্ক চলে, ঝগড়া চলে, বিবাদ চলে কিন্তু যাদের ব্রেইন ডিফেক্ট আছে তাদের সাথে কিছুই চলে না। তাহারা সকল কিছুর উর্ধে। হা হা হা । আমি কার কথা বলছি তা হয়ত এখনকার ব্লগের কোনো ব্লগারেরাই আঁচ করতে পারবে না। একমাত্র অপু ভাইয়ু হয়ত আঁচ করছে আর মডু ভাইয়ু যদি এই পোস্ট পড়ে।
এরপর আরেকজনকে মনে পড়ে। সেটাও ২০১২ এর কথা। সে যে আমার সাথে ছায়ার লড়াই বোধ করে সে অনেক পরে বুঝেছিলাম আমি। সামনে এক আর পিছে আরেক রুপে যখন তাকে আবিষ্কার করি তখন এমন মেজাজ খারাপ হয়েছিলো যে একখানা লম্বা চওড়া ছড়ায় তাহার চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করেছিলাম আমি। কি করবো এটা তো ব্লগ আর নিকের সাথে নিকের যুদ্ধ তাই লেখার সাথে লেখার লড়াই। সত্যিকারে সামনে পেলে হয়ত কিছুই করতাম না। শুনেছিলাম সে নাকি এই সব লড়াই এ এডিক্টেড হয়ে গিয়ে মেডিকেলের কোন পরীক্ষায় ফেইল করেছিলো। জানিনা সত্য না মিথ্যা । কিন্তু খারাপ লেগেছিলো এটা ভেবে যে বেচারা লড়াইকারী কোনটার প্রায়োরিটি বেশি সেটা বুঝার মত বয়স হয়নি তাহার। ছায়ার সাথে লড়াই করতে গিয়ে বাস্তব জগতের সর্বনাশ ডেকে আনলো। মিররমনি মনে হয় বুঝে গেলো কোন ছড়াটার কথা বললাম।
তখন মনে হয় ২০১৩ বা ২০১৪। ব্লগে এক কবিভাইয়ার সাথে মহা সখ্যতা গড়ে উঠেছিলো আমার। তিনি আমার আদরের ভাইয়ুমনিতা ছিলেন। সে সময়ের আমার অনেক প্রিয় ভাইয়ু আপুনি ব্লগপোস্টে তাহার নামও আছে। ভালোই চলছিলো সব। হঠাৎ ব্লগে আবির্ভূতা হইলেন আরেক কবিনী আপুনি। দুইজনের মাঝে সকলের সামনেই গড়িয়া উঠলো মহা কবি শেলিটাইপ প্রেম আর সেই প্রেমের বলিদান হয়ে গেলাম আমি। কবিনী আপুনী ঐ কবি ভাইয়ার আইডি থেকে হঠাৎ একদিন যাচ্ছেতাই করে আমাকে বলতে শুরু করলো। আমি তো আকাশ থেকে পাতালে! হায় হায় আমার প্রিয় ভাইয়ুমনিতার কি হলো!!! পরে মেসেঞ্জারে নক করে বুঝলাম। ভাইয়ামনিতাও সেই প্রেমের বলিদান ছিলো। মানে ভাইয়ার ব্লগ নিক পাস এবং মেসেঞ্জার পাস সবই আপুনির হাতে ছিলো। আর আমাদেল ভাইয়ু আপুনি সখ্যতাকে আপুনি অন্য কিছু ভেবে এক্কেবারে ঝাঁটা হাতে তেড়ে এসেছিলো। বাপরে!!! বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। তারপর তাহারা দুইজনাই কোথায় যে উধাও হইয়া গেলো!!! মাঝে মাঝেই মনে পড়ে! মডু ভাইয়া বুঝতে পারবে কাহারা ছিলো তাহারা। সেই বছরই বর্তমান মডুভাইয়া নতুন মডু হয়ে আসেন।
২০১৫ এর ঘটনা সেটা। আমরা বেশ কয়েকজন সখ্য হয়ে উঠি। আর এই ব্লগের এক আদি সমস্যা, যখনই কেউ কেউ সখ্য হয়ে ওঠে তখনি কিছু হিংসুটে ছিচকাঁদুনীরা লেগে যায় পিছে। ঐ আমারে কেনো তোরা খেলায় নিস না, সারাদিন অং বং আড্ডা মারে, যতসব বেহায়া, বেতমিজ ব্লগের কলঙ্কগুলা। এইগুলি ব্লগে করে নাকি? ব্লগ হইলোক এক এমনই মহান স্থান যেখানে সবাই গুরু গম্ভীর চালে বক্তব্য জানাইবেক! তানা নিজেরা নিজেরা হা হা হি হি। আমারে তো পাত্তাও দেয় না। এ্যাএ্যা এ্যা....... নাকি কান্না কাঁদে। মানে নিজেরা ঐ দলছুট মনে করে ব্যাস শুরু করে দেয় টানা টানি । এই আমার দিকে তাকা। তাকাস না কেনো হ্যাঁ? সারাদিন নিজেরা কয়জনা মিলে কি করিস আবোল তাবোল? এই সব ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে তাদের মাথাটাই খারাপ হয়ে যায়। ঠিক তেমনই একজন ছিলো সে। অনেক কষ্টে নিজেকে দলভুক্ত করার চেষ্টা করেও তার পাগলামী কমে না। না না রকম অভিনয়ে অতিষ্ঠ করে তোলে আমাদের জীবন। শেষে ভাঙ্গন ধরিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরে হারিয়ে যায় অজানায়। তবে অজানায় হারানোর আগে আরও বার কতক নানা রুপে নানা রঙ্গে নানা ঢ্ঙ্গে রামধনু রঙ্গে উদয় হয়েছিলো সে আমাদের ব্লগাকাশে। হামা বু্দ্ধিমান ভাইয়ু এই ব্লগ পড়লে মুচকি হাসিবেন এবং বিরক্ত হইবেন। মনে মনে বলিবেন নাহ শায়মা আন্টি আর মানুষ ওপস ব্লগার হইলো না। এখনও মাথায় নার্সারী প্লে গ্রুপ!!
এরপর আসি এক শিল্পী আপুনির গল্পে। সেটা মনে হয় ২০১৭ এর কথা। আবারও বলছি তর্ক বিতর্ক ঝগড়াঝাটি তাহাদের সাথেই চলে যাহাদের ব্রেইন ঠিক থাকে। উহা না থাকিলে সকলই বৃথা। হায় আমার অতি আদরের সেই শিল্পী আপুনি একদিন সকালে দুঃস্বপন দেখিটা জাগিয়া উঠিয়া বিশাল লম্বা চওড়া পোস্ট লিখিলেন। উনার চিত্রকর্ম নাকি চুরি হইয়াছে। মানে আমি নাকি দুনিয়ার এত শত ইন্টারনেট ভরা চিত্রকর্ম ছাড়িয়া উনার চিত্রকর্ম দেখিয়া চিত্র আঁকিতেছি। আমি হাসবো না কাঁদবো ভেবে ভেবে শেষ পর্যন্ত বিরাশি সিক্কা ওজনের থাপড় বাগাইয়া আনিবার আগেই আপুনিটা হাওয়ায় হারাইয়া গেলো। হায় কোথায় আজ সে!
এটা এই সেদিনের কথা। কোভিডের মাঝে আমার প্রিয় ভাইয়া অপু তানভীরের এক ফান পোস্টে আমি কমেন্ট করিতেছিলাম। যথারীতি ফানই করিতেছিলাম। সেই ফান সহ্য হইলোক না আমার এক সময়ের প্রিয় ভাইয়া আমার অনেক লেখার ভক্ত এবং প্রশংসাকারী এই ব্লগের সবচাইতে বিতর্কিত ভাইয়ামনিটার। ব্যাস সাথে সাথে তিনি আঁদা জল তেল নুন মসল্লা নিয়া বসিলেন মুড়ি মাখাইতে। সেই মুড়ি আজও মাখিয়েই যাচ্ছেন, মাখিয়েই যাচ্ছেন। হা হা হা এক্সপেরিয়েন্স সকল কাজকে উন্নত করে ক্ষুরধার করে। কিন্তু ভাইয়ামনি আজ মুড়ি মাখাইতে মাখাইতে ক্লান্ত। আঁদা রসুনের ঝাঁজ কমিয়া যাইতেছে। ভাইয়ামনিকে আমার সাজেশন অথবা অনুরোধ কিংবা উপরোধ আঁদা রসুন বদল করিয়া এইবার কাসুন্দি লইয়া বসুন। এত দিনের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে এই অনুন্নতির কালিমা মোটেও গ্রহনযোগ্য নহে।
যাইহোক এই ব্লগ আমাদের কারোরই পারসোনাল প্রোপার্টি নহে তবুও এই ব্লগে লেখা রহিয়া যায় কত স্মৃতি বিস্মৃতির ইতিহাস। মাঝে মাঝে স্মৃতির দূয়ার হাতড়ে মনে পড়ে যায় সেই প্রিয় মুখগুলি। তাদের সাথে কাটানো সকল মধুর আনন্দময় ইতিহাস। তবুও যারা অপ্রিয় হয়ে গেলো। প্রিয় থেকে অপ্রিয়দেরকে নিয়ে কখনও লিখিনি। তাই আজ লিখে গেলাম ব্লগের পাতায় তাহাদের স্মৃতিগুলি।
যাইহোক ইনএকটিভ কাজে টাইম নষ্ট করিলেই আমার কেমন কেমন লাগে। জানিনা এই অপ্রিয় ভাইয়া আপুনিদের স্মৃতিগুলি লেখা আমার অকাজ বেকাজ কিনা তাই একখানা কাজের কাজ করি এইবার। আমার নতুন শিক্ষাগুরু যে আমার মত মহান শিক্ষিকাকে জ্ঞান দান করিয়া শিক্ষিত করিলেন সেই কাজের অর্ঘ্য প্রদান করি তাহার বেদীমুলে। কৃতজ্ঞতা আজীবন!!! .......
O My Shaiyan bhaia
Take my love and good wishes for you.
[Verse]
O my Shaiyan bhaia take my love
Good wishes sent from above
Grateful for all that you do
You know the reason it’s true
[Verse 2]
You taught me lessons I hold dear
With you my path is always clear
O my Shaiyan bhaia hear
In my heart you’re always near
[Chorus]
Take my love take my wishes
You’ve filled my life with riches
O my Shaiyan bhaia
I’m grateful always for ya
[Verse 3]
In times of joy and times of pain
You’re the sunshine in the rain
Taught me to rise again
O my Shaiyan you’re my gain
[Chorus]
Take my love take my wishes
You’ve filled my life with riches
O my Shaiyan bhaia
I’m grateful always for ya
[Bridge]
Through every twist and bend
You’re my brother my best friend
O my Shaiyan till the end
This love will never bend
এইবার বাংলা গান- এটা আমার লেখা-
পরের জন্মে আরেকটাবার আসিস ফিরে,
বসিস এসে ময়ুরাক্ষী নদীর তীরে,
দেখিস ছুঁয়ে ফেলে আসা সময়গুলো/রংধনু রং,
রংধনু রং মিলিয়ে যাওয়া পথের ধুলো।
তখনও কোন পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে,
পদ্মগুলো হাসছে নীরব কলোরোলে,
একটা কোকিল গাইছে কোথাও অনেক দূরে,
বাঁজছে বাঁশী অন্য কোনো চেনা সূরে।
তারা বানাইলো এটা-
পরের জন্মে ফিরে আসিস তুই
ময়ুরাক্ষী নদীর তীরে বসিস তুই
[Verse 2]
ফেলে আসা সময়গুলো দেখিস ছুঁয়ে
রংধনু রং
রংধনুর পথে
[Chorus]
পানকৌড়ির ডুবসাঁতার নীরবে
পদ্মগুলো তখনও হাসছে হেসে
[Verse 3]
একটা কোকিল গাইছে দূরে
বাঁজছে বাঁশী চেনা সূরে
[Chorus]
মিলিয়ে যাওয়া পথের ধুলো তুই
পরের জন্মে ফের এসে তুই
[Bridge]
তখনো কোকিল গান শুনিয়ে
নদীর তীরে সুখের স্মৃতি পেয়
শেষে গান গাইলো এই রকম একবার বাঁশি দিয়ে গাওয়াইলাম বেটাদেরকে....
আরেকবার গিটার ড্রামে
এটা নয়ন বড়ুয়া ভাইয়ার দেওয়া লিঙ্ক থেকে শেখা
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:০২